ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভাবের সাথে যুদ্ধ করে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে সুমাইয়া

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৩১০৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:মৌলভীবাজার শহরের পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান বাসিন্দা সুমাইয়া আক্তার এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় মৌলভীবাজার সরকারী কলেজ থেকে অংশ নিয়ে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে।

সুমাইয়ার বাবা আব্দুল বারেক ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান,তিনি পেশায় ছিলেন একজন ভাসমান সবজি বিক্রেতা।মা সাজেরা বেগম অন্যের বাসা বাড়ীতে কাজ করে সংসার চালান,পাশাপাশি সুমাইয়া টিউশনি করে নিজের পড়লেখার খরচ চালাতে মাকে সাহায্য করেছে।চার ভাইবোনের মাঝে দ্বিতীয় সুমাইয়া।তাদের পরিবার প্রায় ৩০ বছর যাবৎ মৌলভীবাজার শহরে বসবাস করছে,তাদের গ্রামের বাড়ী হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের পিয়াইম গ্রামে।

সুমাইয়া ২০১৫ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় বড়কাপন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পায়,২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় মৌলভীবাজার আলী আমজদ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পায় এবং চলতি বছরে মৌলভীবাজার সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পায়।

সুমাইয়া আক্তার একান্ত আলাপকালে জানায়,অভাবের সাথে যুদ্ধ করে অনেক কষ্টে আজ এই পর্যায়ে আসছি,সবার সহযোগিতা পেলে আগামীতে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে আমি একজন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হতে চাই।পারস্পরিক নামে একটি সংগঠন এবং স্থানীয় সমাজকর্মী ইমন আহমেদ ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।তার মা সাজেরা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্টে মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে আজ এতোটুকু নিয়ে আসতে পেরেছি। জানিনা আর মেয়েকে লেখাপড়া করাতে পারবো কিনা।তিনি সুমাইয়ার পড়ালেখার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

অভাবের সাথে যুদ্ধ করে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে সুমাইয়া

আপডেট সময় ০৪:০১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:মৌলভীবাজার শহরের পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান বাসিন্দা সুমাইয়া আক্তার এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় মৌলভীবাজার সরকারী কলেজ থেকে অংশ নিয়ে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে।

সুমাইয়ার বাবা আব্দুল বারেক ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান,তিনি পেশায় ছিলেন একজন ভাসমান সবজি বিক্রেতা।মা সাজেরা বেগম অন্যের বাসা বাড়ীতে কাজ করে সংসার চালান,পাশাপাশি সুমাইয়া টিউশনি করে নিজের পড়লেখার খরচ চালাতে মাকে সাহায্য করেছে।চার ভাইবোনের মাঝে দ্বিতীয় সুমাইয়া।তাদের পরিবার প্রায় ৩০ বছর যাবৎ মৌলভীবাজার শহরে বসবাস করছে,তাদের গ্রামের বাড়ী হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের পিয়াইম গ্রামে।

সুমাইয়া ২০১৫ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় বড়কাপন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পায়,২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় মৌলভীবাজার আলী আমজদ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পায় এবং চলতি বছরে মৌলভীবাজার সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পায়।

সুমাইয়া আক্তার একান্ত আলাপকালে জানায়,অভাবের সাথে যুদ্ধ করে অনেক কষ্টে আজ এই পর্যায়ে আসছি,সবার সহযোগিতা পেলে আগামীতে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে আমি একজন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হতে চাই।পারস্পরিক নামে একটি সংগঠন এবং স্থানীয় সমাজকর্মী ইমন আহমেদ ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।তার মা সাজেরা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্টে মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে আজ এতোটুকু নিয়ে আসতে পেরেছি। জানিনা আর মেয়েকে লেখাপড়া করাতে পারবো কিনা।তিনি সুমাইয়ার পড়ালেখার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।