ঢাকা ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ

আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না: ডা. শফিকুর রহমান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:১৮:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩১৮ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, তাদের নেতৃত্ব পরিবর্তন করলে হবে না, তাদের চিন্তাধারা পরিবর্তন আনতে হবে। তাদের আচরণের পরিবর্তন আসতে হবে। তারা এদেশে মানুষ, রাজনীতি করার সকলের অধিকার আছে। আমাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা যেমন অন্যায় ছিল তেমনি অন্য কারো রাজনীতি নিষিদ্ধ করাও অন্যায়। তবে বিশ্ব অনেক দেশে যে দল গণহত্যা করেছে এবং তা প্রমাণিত হয়েছে সেই দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেটা সময়ের পরিক্রমায় দেখা যাবে আজকে বললে আজকে সম্ভব না। ১৪ দল বসে আমাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছেন। ছাত্রদের আন্দোলনের মোটিভ ঘোরানোর জন্য জামায়াত ইসলামের উপর (রাজনৈতিক নিষিদ্ধ ঘোষণা মাধ্যমে) এভাবে সর্বশেষ জুলুম করা হয়েছিল। আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না।

১ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন নগর শিক্ষা পল্লী পার্ক অডিটোরিয়ামে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আয়োজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যের শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, হাজার হাজার মামলা করব এমনটা আমাদের ইচ্ছা নেই। মিথ্যা মামলা করে হয়রানি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা জাতির কাছে আহ্বান জানিয়েছি এই ধরনের অপকর্ম কেউ যেন না করেন। এটাকে আমরা অপকর্ম বলবো। ১০ জন দোষী মানুষের সাথে একজন নির্দোষ মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে হ্যারাস করার জন্য আসামি করা হয়। তাহলে পুরোটাই দোষী হব আমরা। আমরা বলেছি এ ধরনের কাজ কেউ করবে না। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের সংগঠনকে আমরা বলে দিয়েছি যাকে তাকে আসামি না করার জন্য। আমরা বড় নির্যাতিত একটি দল। যে সত্যিকারের মামলার আসামি হবে, তাকে আসামি করা হবে।

তিনি বলেন, হাজার হাজার মামলা করব এমনটা আমাদের ইচ্ছা নেই। আমাদের ইচ্ছা একটা মামলায় একজন অপরাধীর শাস্তি ও শিক্ষার জন্য যথেষ্ট মনে করে। ঢালাওভাবে মামলা করব না, ঢালাওভাবে আসামি করবো না। অন্যান্য দলের নেতারা যে মামলা করছে, তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছেন থানা অথরিটি যেনো এটা চেক করে। আর আমরা বলি মামলা করার আগে আপনারা চেক করুন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের কুষ্টিয়া-যশোর অঞ্চলের কার্যনির্বাহী সদস্য ও পরিচালক মোবারক হোসাইন। টিম সদস্য ড. আলমগীর বিশ্বাস, খন্দকার এ কে এম আলী মহসিন, আব্দুল মতিন, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা জেলা জামায়াতের আমির, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, মুফতি আমির হামজা, কুষ্টিয়া জেলা ও উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ, ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় নেতারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যের শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান কুষ্টিয়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৪ জন শহীদ পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে মোট ২৮ লক্ষ টাকা উপহার হিসেবে প্রদান করেন।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না: ডা. শফিকুর রহমান

আপডেট সময় ০৮:১৮:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, তাদের নেতৃত্ব পরিবর্তন করলে হবে না, তাদের চিন্তাধারা পরিবর্তন আনতে হবে। তাদের আচরণের পরিবর্তন আসতে হবে। তারা এদেশে মানুষ, রাজনীতি করার সকলের অধিকার আছে। আমাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা যেমন অন্যায় ছিল তেমনি অন্য কারো রাজনীতি নিষিদ্ধ করাও অন্যায়। তবে বিশ্ব অনেক দেশে যে দল গণহত্যা করেছে এবং তা প্রমাণিত হয়েছে সেই দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেটা সময়ের পরিক্রমায় দেখা যাবে আজকে বললে আজকে সম্ভব না। ১৪ দল বসে আমাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছেন। ছাত্রদের আন্দোলনের মোটিভ ঘোরানোর জন্য জামায়াত ইসলামের উপর (রাজনৈতিক নিষিদ্ধ ঘোষণা মাধ্যমে) এভাবে সর্বশেষ জুলুম করা হয়েছিল। আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না।

১ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন নগর শিক্ষা পল্লী পার্ক অডিটোরিয়ামে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আয়োজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যের শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, হাজার হাজার মামলা করব এমনটা আমাদের ইচ্ছা নেই। মিথ্যা মামলা করে হয়রানি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা জাতির কাছে আহ্বান জানিয়েছি এই ধরনের অপকর্ম কেউ যেন না করেন। এটাকে আমরা অপকর্ম বলবো। ১০ জন দোষী মানুষের সাথে একজন নির্দোষ মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে হ্যারাস করার জন্য আসামি করা হয়। তাহলে পুরোটাই দোষী হব আমরা। আমরা বলেছি এ ধরনের কাজ কেউ করবে না। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের সংগঠনকে আমরা বলে দিয়েছি যাকে তাকে আসামি না করার জন্য। আমরা বড় নির্যাতিত একটি দল। যে সত্যিকারের মামলার আসামি হবে, তাকে আসামি করা হবে।

তিনি বলেন, হাজার হাজার মামলা করব এমনটা আমাদের ইচ্ছা নেই। আমাদের ইচ্ছা একটা মামলায় একজন অপরাধীর শাস্তি ও শিক্ষার জন্য যথেষ্ট মনে করে। ঢালাওভাবে মামলা করব না, ঢালাওভাবে আসামি করবো না। অন্যান্য দলের নেতারা যে মামলা করছে, তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছেন থানা অথরিটি যেনো এটা চেক করে। আর আমরা বলি মামলা করার আগে আপনারা চেক করুন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের কুষ্টিয়া-যশোর অঞ্চলের কার্যনির্বাহী সদস্য ও পরিচালক মোবারক হোসাইন। টিম সদস্য ড. আলমগীর বিশ্বাস, খন্দকার এ কে এম আলী মহসিন, আব্দুল মতিন, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা জেলা জামায়াতের আমির, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, মুফতি আমির হামজা, কুষ্টিয়া জেলা ও উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ, ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় নেতারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যের শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান কুষ্টিয়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৪ জন শহীদ পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে মোট ২৮ লক্ষ টাকা উপহার হিসেবে প্রদান করেন।