ইংল্যান্ডে ডিগ্রি অর্জন করলেন মৌলভীবাজারের তাকওয়া
- আপডেট সময় ০৫:৪৬:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩
- / ৫৪৮৯ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার কৃতি সন্তান তাকওয়া খানম ইংল্যান্ড এর ইউনিভার্সিটি অব বেডফোর্ডশায়ার থেকে গত ২৮ জুলাই ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
তাকওয়া খানম জেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সামাজিক ব্যাক্তিত্ব মোঃ মনির আলী ও হাজেরা বেগমের কনিষ্ট কন্যা,তিনি ২০২১ সালে ইংল্যান্ড এর ইউনিভার্সিটি অব বেডফোর্ডশায়ারে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগে পড়াশোনার জন্য লন্ডনে পাড়ি জমান।
তাকওয়া খানম ১৯৯৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার লামা জগন্নাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তাকওয়া খানম এর বড় ভাই মাহমুদুল হাসান বাবলু বলেন,আমার বোন বাহারমর্দান জয়গুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি,মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্স পাস করে। ছোট বেলা থেকেই সে অনেক মেধাবী ছিল, তার অদম্য ইচ্ছে শক্তির কারনেই সে আজকে ইংল্যান্ডের অন্যতম ইউনিভার্সিটি অব বেডফোর্ডশায়ার থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করেছে।
এ বিষয়ে লন্ডন থেকে মুঠোফোনে তাকওয়া খানম বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমাকে নিয়ে আমার বাবা এবং ভাইবোনদের স্বপ্ন ছিল আমি বড় হয়ে শু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রতিষ্ঠিত হই।
বাবা মা ভাইবোন আমাকে সবসময় সাপোর্ট দিতেন।
এই জন্য আমি মন দিয়ে পড়াশোনা করতাম আর আমার এই অর্জন আমার দেশের গর্ব। আমার রেজাল্ট নিয়ে আমি গর্ববোধ করি এবং এই অনুভূতি আমার কষ্টের সবকিছু লাঘব করে দিয়েছে। আর মনে হয়েছে আমার পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি। আমার বাবা-মা, ভাই- বোন আত্বীয় সজন শুভাকাঙ্ক্ষী সকলের
দোয়াতে আজ এত দূর এসেছি।
আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই আমার অর্জন আর সাফল্য ধারাবাহিক ভাবে যেন ধরে রাখতে পারি এবং দেশের নাম উজ্জল করতে পারি। আমি দেশের মানুষের এবং আমার নিজের শহরের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই।
তাকওয়া খানম এর ভাই এমবি মিডিয়ার চেয়ারম্যান জুবায়ের আলী আহমদ বলেন, সেই ছোট বেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি তার আগ্রহ অনেক, সেখান থেকেই তার সকল বিষয়ে আমরা সাপোর্ট করেছি,তার এই সাফল্যের জন্য আমরা সত্যি অনেক গর্বিত।
এ বিষয়ে কালের কন্ঠ শুভসংঘ যুক্তরাজ্য শাখার সমন্বয়ক তাকবির হোসাইন মান্না বলেন,প্রতি বছর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী ব্রিটেনে পারি জমান,তাদেরকে অনেক পরিশ্রম করতে হয় এখানে,জীবন যুদ্ধে এগিয়ে চলার জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রাণপন কষ্ট করতে হয়। তারপর যখনই তাকওয়ার মত ছাত্র-ছাত্রীদের এরকম সফলতা দেখতে পাই তখনই সব থেকে ভালো লাগে।