ঢাকা ০১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজারের ৪টি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সারা দেশে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত এম সাইফুর রহমানের সহধর্মিণীর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত আপনার এসপি সেবা’  চালু বিএনপি সময়ের হাসপাতালের যন্ত্রপাতি নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ” – নাসের রহমান মৌলভীবাজারে বাজারে বাজারে জনসংযোগে নাসের রহমান বিএনপির ৩১ দফার প্রচারপত্র বিলি, জনতার ঢল মৌলভীবাজারে হেক্সাস এবং বিট্রিশ কাউন্সিলের যৌথ উদ্দোগে চালু হয়েছে কম্পিউটার বেইজ আইএলটিএস এক্সাম সেন্টার জুড়ী মানবিক সোসাইটির উদ্যোগে ছাদিছ জামাতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত সময় ও সম্পদের কুরবানী দিতে রুকনদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। -মাওলানা হাবিবুর রহমান

ইন্দোনেশিয়ান তরুণীর সঙ্গে যুবকের বিয়ে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৭৪ বার পড়া হয়েছে

অবশেষে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বিয়ে হলো ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উর ফিদা ও পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের ইমরান নামে যুবকের। বুধবার সকালে জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাকিম আশিকুর রহমানের আদালতে এ বিয়ে হয়। আদালতের আইনজীবী মো. আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পরে যুবকের নিজ বাড়িতেই বুধবার সন্ধ্যায় গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেলের গ্রামের বাড়িতে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান হবে।

২০১৭ সালে প্রেমের টানে পটুয়াখালীর বাউফলের যুবক ইমরান হোসেনকে বিয়ের জন্য বাংলাদেশের আসেন ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উল ফিদা। ইমরানের বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়ায় ওই সময় ফিরে যেতে হয় তাকে। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সোমবার রাতে হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে নেমে বুধবার সকালে তরুণের গ্রামের বাড়ি এসেছেন ওই ইন্দোনেশিয়ান তরুণী।

ইমরানের বর্তমান বয়স ২৩ ও নিকি উল ফিদার বয়স ২০ বছর। নিকি উল ফিয়া ইন্দোনেশিয়ার সুরা বায়া বিভাগের জাওয়া গ্রামের মি. ইউলিআনতোর মেয়ে। তার মায়ের নাম শ্রীআনি

বর ইমরান হোসেন উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের খাজুরবাড়িয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। ইমরান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।

বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের খাজুরবাড়িয়া গ্রামে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িজুড়ে আলোকসজ্জা। চলছে উচ্চ শব্দে গান। চলছে হলুদ বাটার কাজ। বর ও কনে বসে আছেন। এলাকার উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন নবদম্পতিকে দেখতে। প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজন কেউ গানের সঙ্গে নাচ করছেন, কেউ একে অপরের গায়ে হলুদ মেখে উৎসবে মেতে উঠছেন। বরের পক্ষ থেকে উপস্থিত সকলকেই মিষ্টি মুখ করানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে গ্রামটিতে একটি উৎবের আমেজ বইছে।

পাশের ইউনিয়ন কালাইয়া থেকে বিদেশি বৌ দেখতে এসে নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, বিদেশি মেয়ে দেশি সাজে বৌ সেজেছেন।

অম্লান সাহা নামে এক প্রতিবেশী বলেন, ছেলে আমার সম্পর্কে ভাগ্নে। তার বিয়ে উপলক্ষে সাজসাজ রব এলাকায়।

ইমরানের পরিবার রলছে, ২০১৬ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইন্দোনেশিয়ান মুসলিম পরিবারের মেয়ে নিকি উল ফিয়ার সঙ্গে ইমরানের পরিচয় হয়। পরিচয়ের মাধ্যমে বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে তাদের সাঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। নিকি উল ফিয়া ইমরানকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইমরানের পরিবার থেকে কোন আপত্তি না থাকায় ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর হযরত শাহ জালাল বিমান বন্দরে নামে। সেখান থেকে ইমরান নিকি উল ফিয়াকে বাউফলের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে।

ইমরানের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের ওই সময় ইমরানের বয়স হয় ১৮ বছর। ২১ বছর না হওয়ায় আইনি জটিলতা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে নিজ দেশে ফিরে যায় নিকি উল ফিয়া। তবে যাওয়ার সময় আমাদের বলেছিল, ইমরানের বয়স না হওয়া পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করব। আজ অপেক্ষার দিন শেষ।

ইমরানের মা বিথী আক্তার বলেন, ছেলের বৌ বিদেশি হলেও সে মুসলিম পরিবারের মেয়ে। তার আচরণ খুবই সাবলীল। সে আমার শুধু ছেলে বৌ না- সে আমার কাছে মেয়ে হয়ে থাকবে।

ইমরান বলেন, নিকির সঙ্গে আমার যোগাযোগটা অব্যাহত ছিল। ধীরে ধীরে আমরা একে অপরের প্রতি আরো দায়িত্বশীল হয়েছি। দীর্ঘ বছরের অপেক্ষা এখন শুভ পরিণয়। ভাবতেই যেন এ এক অন্যরকম ভালো লাগা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ইন্দোনেশিয়ান তরুণীর সঙ্গে যুবকের বিয়ে

আপডেট সময় ০৪:১৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

অবশেষে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বিয়ে হলো ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উর ফিদা ও পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের ইমরান নামে যুবকের। বুধবার সকালে জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাকিম আশিকুর রহমানের আদালতে এ বিয়ে হয়। আদালতের আইনজীবী মো. আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পরে যুবকের নিজ বাড়িতেই বুধবার সন্ধ্যায় গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেলের গ্রামের বাড়িতে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান হবে।

২০১৭ সালে প্রেমের টানে পটুয়াখালীর বাউফলের যুবক ইমরান হোসেনকে বিয়ের জন্য বাংলাদেশের আসেন ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উল ফিদা। ইমরানের বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়ায় ওই সময় ফিরে যেতে হয় তাকে। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সোমবার রাতে হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে নেমে বুধবার সকালে তরুণের গ্রামের বাড়ি এসেছেন ওই ইন্দোনেশিয়ান তরুণী।

ইমরানের বর্তমান বয়স ২৩ ও নিকি উল ফিদার বয়স ২০ বছর। নিকি উল ফিয়া ইন্দোনেশিয়ার সুরা বায়া বিভাগের জাওয়া গ্রামের মি. ইউলিআনতোর মেয়ে। তার মায়ের নাম শ্রীআনি

বর ইমরান হোসেন উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের খাজুরবাড়িয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। ইমরান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।

বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের খাজুরবাড়িয়া গ্রামে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িজুড়ে আলোকসজ্জা। চলছে উচ্চ শব্দে গান। চলছে হলুদ বাটার কাজ। বর ও কনে বসে আছেন। এলাকার উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন নবদম্পতিকে দেখতে। প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজন কেউ গানের সঙ্গে নাচ করছেন, কেউ একে অপরের গায়ে হলুদ মেখে উৎসবে মেতে উঠছেন। বরের পক্ষ থেকে উপস্থিত সকলকেই মিষ্টি মুখ করানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে গ্রামটিতে একটি উৎবের আমেজ বইছে।

পাশের ইউনিয়ন কালাইয়া থেকে বিদেশি বৌ দেখতে এসে নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, বিদেশি মেয়ে দেশি সাজে বৌ সেজেছেন।

অম্লান সাহা নামে এক প্রতিবেশী বলেন, ছেলে আমার সম্পর্কে ভাগ্নে। তার বিয়ে উপলক্ষে সাজসাজ রব এলাকায়।

ইমরানের পরিবার রলছে, ২০১৬ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইন্দোনেশিয়ান মুসলিম পরিবারের মেয়ে নিকি উল ফিয়ার সঙ্গে ইমরানের পরিচয় হয়। পরিচয়ের মাধ্যমে বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে তাদের সাঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। নিকি উল ফিয়া ইমরানকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইমরানের পরিবার থেকে কোন আপত্তি না থাকায় ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর হযরত শাহ জালাল বিমান বন্দরে নামে। সেখান থেকে ইমরান নিকি উল ফিয়াকে বাউফলের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে।

ইমরানের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের ওই সময় ইমরানের বয়স হয় ১৮ বছর। ২১ বছর না হওয়ায় আইনি জটিলতা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে নিজ দেশে ফিরে যায় নিকি উল ফিয়া। তবে যাওয়ার সময় আমাদের বলেছিল, ইমরানের বয়স না হওয়া পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করব। আজ অপেক্ষার দিন শেষ।

ইমরানের মা বিথী আক্তার বলেন, ছেলের বৌ বিদেশি হলেও সে মুসলিম পরিবারের মেয়ে। তার আচরণ খুবই সাবলীল। সে আমার শুধু ছেলে বৌ না- সে আমার কাছে মেয়ে হয়ে থাকবে।

ইমরান বলেন, নিকির সঙ্গে আমার যোগাযোগটা অব্যাহত ছিল। ধীরে ধীরে আমরা একে অপরের প্রতি আরো দায়িত্বশীল হয়েছি। দীর্ঘ বছরের অপেক্ষা এখন শুভ পরিণয়। ভাবতেই যেন এ এক অন্যরকম ভালো লাগা।