ঢাকা ১০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
সন্ত্রাসী হামলায় সুদানে ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মৃত্যু যারা নির্বাচন চায় না তারাই হাদির ওপর পরিকল্পিত গুলিবর্ষণ করেছে মৌলভীবাজারে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা মৌলভীবাজারে আস্থা প্রকল্পের নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ডা. সিকান্দার সবতেরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয ও শাখাওয়াত-মিতা কিন্ডার গার্টেন এর উদ্যোগে বৃত্তি পরীক্ষা হাদীর উপর হামলার প্রতিবাদে শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে যারা বিজয়ী মানুষের অধিকার ফাউন্ডেশনের স্থায়ী পরিষদ গঠন মৌলভীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চ্যানেল ২৪ সাংবাদিক আব্দুর রব, পুড়ে গেল মোটরসাইকেল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নব বিমানসেনা দলের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকওয়াজ আসাদ মিলন এর মনস্তাত্ত্বিক কথন সিরিজ

এ্যাডজুটেন্ট আসাদ মিলন এর কলাম “ স্মৃতিতে নেই, শ্রদ্ধাতেও নাই “

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৪৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১৫৪৫ বার পড়া হয়েছে

আমারা সবাই জানি মানুষের স্মৃতি অনেক প্রখর, বলা যায় কম্পিউটারের চেয়েও অনেক শক্তিশালী। মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় ৮ বিলিয়ন নিউরন থাকে।মানুষের স্মৃতি সুখের হোক বা কষ্টের হোক মানুষ সেই স্মৃতি দ্বারা অনেক আবেগতাড়িত হয় এবং ভবিষ্যৎ কর্মেও অতীত স্মৃতির প্রভাব থাকে।বিশেষকরে শিশু কিশোর বয়সের স্মৃতি অনেক প্রভাব সৃষ্টি করে। কোন ব্যাক্তির সাথে স্মৃতির ইতিবাচকতা বা নেতিবাচকতা সেই ব্যাক্তির সাথে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের ভালো-মন্দের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করে।ব্যাক্তির সাথে অতিতে ঘটে যাওয়া ইতিবাচক কর্ম আচরণের জন্য উক্ত ব্যাক্তির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হয়।অপরপক্ষে নেতিবাচক স্মৃতির জন্য ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আন্তরিকতা বিলীন হয়।এজন্য মানব সম্পর্কের এই গতিপ্রকৃতি সুস্থ ধারায় প্রবাহের জন্য গার্ডিয়ান পর্যায়ের উচিত শিশু কিশোরদের সাথে ন্যায়ভিত্তিক ভালো আচরণ প্রদর্শন করা।

এক্ষেত্রে একটি বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কেস স্টাডি করতে পারি, পরিচিত এক যুবকের সাথে পথে দেখা,আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কোথায় যাচ্ছো,প্রতিউত্তরে জানলাম তার জন্য বিদেশ থেকে আসা মোবাইল সংগ্রহের জন্য সে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছে,আমি তাকে বললাম তোমার খালু মারা গেছে,চলো লাশ দেখতে যাই কিন্তু সে সেটা উপেক্ষা করে মোবাইল সংগ্রহের জন্য রওনা করলো।কিন্তু এরকম কেন হইলো? বিষয়টি লেখক আসাদ মিলন কে গভীরভাবে ভাবিত করেছে।খোঁজ নিয়ে জেনেছি ছোটবেলায় ঐ যুবক সেই খালুর বাসা বেড়াতে গিয়েছে বা তাদের পরিবারের পারস্পরিক আত্মীয়তার বন্ধন ইকুয়াল শ্রদ্ধায় প্রতিষ্টিত ছিলো না।এক্ষেত্রে লেখকের পর্যবেক্ষণ হলো,খালুর সাথে যুবকের অতীত স্মৃতি শুণ্য থাকায় খালুর মৃত্যু যুবকের হৃদয়ে ধরফরানি সৃষ্টি করেনি।যুবকের অন্তরাত্মা কেপে উঠে নাই।

তাই লেখক পর্যবেক্ষণ রাখতে চায়,

ক) সামাজিক মানবিক সংস্কৃতির উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে

খ) ছোটবেলা থেকেই নিকটাত্মীয়ের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক ও যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে

গ) বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে সন্তানদের নিয়ে যেতে হবে এবং অভিভাবক পর্যায়ের সুসম্পর্ক সন্তানের উপর প্রভাব সৃষ্টি করে বিধায় সবাইকে সচেতন হতে হবে।

“মানব সম্পর্কে থাকবে শ্রদ্ধা ভক্তি,

শিশু কিশোর যুবক ভবিষ্যতে হবে স্বাবলম্বী,

সুসম্পর্ক যোগাযোগ,

চলার পথের বিনিয়োগ।”

লেখক : সার্কেল এ্যাডজুটেন্ট, র‍্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পে

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

এ্যাডজুটেন্ট আসাদ মিলন এর কলাম “ স্মৃতিতে নেই, শ্রদ্ধাতেও নাই “

আপডেট সময় ০১:৪৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

আমারা সবাই জানি মানুষের স্মৃতি অনেক প্রখর, বলা যায় কম্পিউটারের চেয়েও অনেক শক্তিশালী। মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় ৮ বিলিয়ন নিউরন থাকে।মানুষের স্মৃতি সুখের হোক বা কষ্টের হোক মানুষ সেই স্মৃতি দ্বারা অনেক আবেগতাড়িত হয় এবং ভবিষ্যৎ কর্মেও অতীত স্মৃতির প্রভাব থাকে।বিশেষকরে শিশু কিশোর বয়সের স্মৃতি অনেক প্রভাব সৃষ্টি করে। কোন ব্যাক্তির সাথে স্মৃতির ইতিবাচকতা বা নেতিবাচকতা সেই ব্যাক্তির সাথে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের ভালো-মন্দের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করে।ব্যাক্তির সাথে অতিতে ঘটে যাওয়া ইতিবাচক কর্ম আচরণের জন্য উক্ত ব্যাক্তির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হয়।অপরপক্ষে নেতিবাচক স্মৃতির জন্য ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আন্তরিকতা বিলীন হয়।এজন্য মানব সম্পর্কের এই গতিপ্রকৃতি সুস্থ ধারায় প্রবাহের জন্য গার্ডিয়ান পর্যায়ের উচিত শিশু কিশোরদের সাথে ন্যায়ভিত্তিক ভালো আচরণ প্রদর্শন করা।

এক্ষেত্রে একটি বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কেস স্টাডি করতে পারি, পরিচিত এক যুবকের সাথে পথে দেখা,আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কোথায় যাচ্ছো,প্রতিউত্তরে জানলাম তার জন্য বিদেশ থেকে আসা মোবাইল সংগ্রহের জন্য সে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছে,আমি তাকে বললাম তোমার খালু মারা গেছে,চলো লাশ দেখতে যাই কিন্তু সে সেটা উপেক্ষা করে মোবাইল সংগ্রহের জন্য রওনা করলো।কিন্তু এরকম কেন হইলো? বিষয়টি লেখক আসাদ মিলন কে গভীরভাবে ভাবিত করেছে।খোঁজ নিয়ে জেনেছি ছোটবেলায় ঐ যুবক সেই খালুর বাসা বেড়াতে গিয়েছে বা তাদের পরিবারের পারস্পরিক আত্মীয়তার বন্ধন ইকুয়াল শ্রদ্ধায় প্রতিষ্টিত ছিলো না।এক্ষেত্রে লেখকের পর্যবেক্ষণ হলো,খালুর সাথে যুবকের অতীত স্মৃতি শুণ্য থাকায় খালুর মৃত্যু যুবকের হৃদয়ে ধরফরানি সৃষ্টি করেনি।যুবকের অন্তরাত্মা কেপে উঠে নাই।

তাই লেখক পর্যবেক্ষণ রাখতে চায়,

ক) সামাজিক মানবিক সংস্কৃতির উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে

খ) ছোটবেলা থেকেই নিকটাত্মীয়ের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক ও যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে

গ) বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে সন্তানদের নিয়ে যেতে হবে এবং অভিভাবক পর্যায়ের সুসম্পর্ক সন্তানের উপর প্রভাব সৃষ্টি করে বিধায় সবাইকে সচেতন হতে হবে।

“মানব সম্পর্কে থাকবে শ্রদ্ধা ভক্তি,

শিশু কিশোর যুবক ভবিষ্যতে হবে স্বাবলম্বী,

সুসম্পর্ক যোগাযোগ,

চলার পথের বিনিয়োগ।”

লেখক : সার্কেল এ্যাডজুটেন্ট, র‍্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পে