ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
শ্রীমঙ্গলে শিশু উদ্যান ও পাবলিক লাইব্রেরি দখলমুক্ত করে সংস্কারের দাবি পৌর বিএনপি ২নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত খেলাধুলা সামাজিক অবক্ষয় থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখবে’ মহসিন মিয়া মধু মোস্তফাপুর ইউনিয়ন জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে ৬৬ লক্ষ টাকা লুট,ঘটনা রহস্যজনক স্বৈরাচার হাসিনা সরকার মানুষের অধিকার এতোটাই হরণ করেছিল যে ভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিতে পর্যন্ত দেয়নি – এম নাসের রহমান খেলার মাঠ থেকে মসজিদ পর্যন্ত এমন কোন জায়গা ছিল না, যেখানে দলীয় করণ ছিল না – জিকে গউস বিএনপি এখন বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক শক্তি,তাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কেউ নেই – এম নাসের রহমান মৌলভীবাজারে পঞ্চকবি’র সাংস্কৃ‌তিক আয়োজন শনিবার মৌলভীবাজারে প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা

কমলগঞ্জের পাত্রখোলা চা বাগানে শ্রমিক ধর্মঘট

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৩৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
  • / ৪৬৪ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: সাপ্তাহিক তলবের (মজুরি) টাকা কাটার প্রতিবাদে সরকারের মালিকানাধীন কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগানে চা শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করায় চা বাগানে পাতা উত্তোলন সহ উৎপাদনের সকল কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আজকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে দাবি আদায় না হলে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেন চা শ্রমিকরা।

চা শ্রমিকরা জানান, কিছুদিন আগে বাগান কর্তৃপক্ষ আমাদের সাপ্তাহিক তলব (মজুরি) থেকে ১০০ টাকা কেটে রাখে। তখন আমরা সাধারন শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে চলতি মাসের ১৫ তারিখ বাগান কর্তৃপক্ষ আমাদের পাওনা মজুরির টাকা দিবে বলে আশ্বাস দেয়। কিন্তু ওইদিন কেটে রাখা বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। বুধবার (১৭ মে) শ্রমিকদের তলব (মজুরি) দিতে গিয়ে বাগান কর্তৃপক্ষ জানায় পূর্বের বকেয়া টাকা দেয়া হবে না। ওই টাকার জন্য আরো দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করার কথা জানিয়ে বুধবারেও সাপ্তাহিক তলব (হাজিরা) থেকে ১৫০ টাকা করে কেটে রাখলে শ্রমিকরা  সাপ্তাহিক তলবের পুরো টাকা দাবি করেন। কিন্তু বাগান কর্তৃপক্ষ তলবের সব টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শ্রমিকরা তলবের টাকা না নিয়ে ফিরে যান করেন।

এদিকে তলবের টাকা কেটে রাখার প্রতিবাদে এবং কেটে রাখা বকেয়া মজুরির দাবীতে বৃহস্পতিবার সকালে বাগানের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট করেন বাগানের নারী পুরুষ শ্রমিকরা। কাজে যোগদান না করে বাগানের ফটকে অবস্থান করায় চা বাগানে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি শান্ত করতে এবং শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে বাগান ব্যবস্থাপক চা শ্রমিকদের সাথে কথা বললেও শ্রমিকরা দাবিতে অনর থাকায় কাজে যোগদান করেননি।

শ্রমিকরা বলেন- শুধু আমাদের মজুরিই নয়, শ্রমিক ইউনিয়নের চাঁদা কেটে রাখলেও সেই টাকা ইউনিয়নে জমা দেয়া হয় না।

পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী শিপন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে পাত্রখোলা চা বাগানে মজুরি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কমলগঞ্জের পাত্রখোলা চা বাগানে শ্রমিক ধর্মঘট

আপডেট সময় ১০:৩৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি: সাপ্তাহিক তলবের (মজুরি) টাকা কাটার প্রতিবাদে সরকারের মালিকানাধীন কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগানে চা শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করায় চা বাগানে পাতা উত্তোলন সহ উৎপাদনের সকল কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আজকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে দাবি আদায় না হলে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেন চা শ্রমিকরা।

চা শ্রমিকরা জানান, কিছুদিন আগে বাগান কর্তৃপক্ষ আমাদের সাপ্তাহিক তলব (মজুরি) থেকে ১০০ টাকা কেটে রাখে। তখন আমরা সাধারন শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে চলতি মাসের ১৫ তারিখ বাগান কর্তৃপক্ষ আমাদের পাওনা মজুরির টাকা দিবে বলে আশ্বাস দেয়। কিন্তু ওইদিন কেটে রাখা বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। বুধবার (১৭ মে) শ্রমিকদের তলব (মজুরি) দিতে গিয়ে বাগান কর্তৃপক্ষ জানায় পূর্বের বকেয়া টাকা দেয়া হবে না। ওই টাকার জন্য আরো দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করার কথা জানিয়ে বুধবারেও সাপ্তাহিক তলব (হাজিরা) থেকে ১৫০ টাকা করে কেটে রাখলে শ্রমিকরা  সাপ্তাহিক তলবের পুরো টাকা দাবি করেন। কিন্তু বাগান কর্তৃপক্ষ তলবের সব টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শ্রমিকরা তলবের টাকা না নিয়ে ফিরে যান করেন।

এদিকে তলবের টাকা কেটে রাখার প্রতিবাদে এবং কেটে রাখা বকেয়া মজুরির দাবীতে বৃহস্পতিবার সকালে বাগানের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট করেন বাগানের নারী পুরুষ শ্রমিকরা। কাজে যোগদান না করে বাগানের ফটকে অবস্থান করায় চা বাগানে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি শান্ত করতে এবং শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে বাগান ব্যবস্থাপক চা শ্রমিকদের সাথে কথা বললেও শ্রমিকরা দাবিতে অনর থাকায় কাজে যোগদান করেননি।

শ্রমিকরা বলেন- শুধু আমাদের মজুরিই নয়, শ্রমিক ইউনিয়নের চাঁদা কেটে রাখলেও সেই টাকা ইউনিয়নে জমা দেয়া হয় না।

পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী শিপন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে পাত্রখোলা চা বাগানে মজুরি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে ।