ঢাকা ০৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
সিলেটকে জালালাবাদ প্রদেশ করার দাবিতে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন হেলাল এর উপর স-ন্ত্রা-সী হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা বিএনপি মৌলভীবাজার সীমান্ত এলাকায় পুশইন ঠেকাতে প্রস্তুত বিজিবি দু-র্বৃ-ত্ত-দে-র হামলায় আহত বিএনপির নেতা হেলাল আ.লীগ নিষিদ্ধের একদফা দাবিতে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মৌলভীবাজারে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ সাবেক মেয়র আইভী গ্রেপ্তার ভারতের ১৫ টি শহরে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মৌলভীবাজারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত জুলাই যোদ্ধাদের আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান শ্রীমঙ্গল কলার বাজার থেকে বিষধর পিট ভাইপার সাপ উদ্ধার

কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা,তিন পুলিশ বরখাস্ত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:২৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৫২ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি:  সিলেটে এক কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা তিনজনই কনস্টেবল পদমর্যাদায় সিলেট মহানগর পুলিশে (এসএমপি) কর্মরত ছিলেন।

বরখাস্তকৃত তিন পুলিশ সদস্য হলেন- মো. ঝুনু হোসেন জয় (বিপি-০১২০২৩৬৪২৪), ইমরান মিয়া (বিপি-০১২০২৩৫৫৪৭) ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (বিপি-০০২০২৩০৯৯৯)। এরা এসএমপির পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুদীপ দাস।

জানা গেছে, পুলিশ সদর দপ্তরের পিআইও শাখায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক আবু সায়েদের ছেলে সাইফুর রহমান আসাদ (১৮)। তিনি সিলেট শহরতলির মেজরটিলা এলাকার বাসিন্দা।

গত ১৩ অক্টোবর অনলাইনে নিজের পুরনো একটি মোবাইল ফোন ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন আসাদ। সেই ফোন বিক্রির টাকা নিতে ওইদিন সন্ধ্যার পর এক বন্ধুকে সাথে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় যান তিনি। মোবাইল বিক্রির টাকা নিয়ে তারা দুজনে যান শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকায়। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তিন পুলিশ সদস্য এসে আসাদ ও তার বন্ধুকে জাপটে ধরেন। তারা তাদের সাথে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ইয়াবা পেয়েছেন বলে দাবি করেন।

তখন সাইফুর রহমান আসাদ এর প্রতিবাদ করেন। তিনি পুলিশে কর্মরত তার বাবার পরিচয়ও দেন। বিষয়টি তিনি তার বাবাকেও জানান। খবর পেয়ে শাহপরান থানায় কর্মরত এসআই জামাল ভুঁইয়া ঘটনাস্থলে যান। তিনি আসাদ ও তার বন্ধুকে নগরীর কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যান। সেখানে মুচলেকা রেখে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে ওই কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছেও পৌঁছায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসএমপি পুলিশ লাইনের এডিসি (ফোর্স) সালেহ আহমদকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি গত ২৪ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের স্মারক এসএমপি-১৬০ /এডিসি (ফোর্স)। তদন্তে তিন কনস্টেবলের অপকর্মের বিষয়টি বেরিয়ে আসে।

এর পরই তাদের তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা,তিন পুলিশ বরখাস্ত

আপডেট সময় ০৭:২৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি:  সিলেটে এক কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা তিনজনই কনস্টেবল পদমর্যাদায় সিলেট মহানগর পুলিশে (এসএমপি) কর্মরত ছিলেন।

বরখাস্তকৃত তিন পুলিশ সদস্য হলেন- মো. ঝুনু হোসেন জয় (বিপি-০১২০২৩৬৪২৪), ইমরান মিয়া (বিপি-০১২০২৩৫৫৪৭) ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (বিপি-০০২০২৩০৯৯৯)। এরা এসএমপির পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুদীপ দাস।

জানা গেছে, পুলিশ সদর দপ্তরের পিআইও শাখায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক আবু সায়েদের ছেলে সাইফুর রহমান আসাদ (১৮)। তিনি সিলেট শহরতলির মেজরটিলা এলাকার বাসিন্দা।

গত ১৩ অক্টোবর অনলাইনে নিজের পুরনো একটি মোবাইল ফোন ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন আসাদ। সেই ফোন বিক্রির টাকা নিতে ওইদিন সন্ধ্যার পর এক বন্ধুকে সাথে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় যান তিনি। মোবাইল বিক্রির টাকা নিয়ে তারা দুজনে যান শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকায়। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তিন পুলিশ সদস্য এসে আসাদ ও তার বন্ধুকে জাপটে ধরেন। তারা তাদের সাথে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ইয়াবা পেয়েছেন বলে দাবি করেন।

তখন সাইফুর রহমান আসাদ এর প্রতিবাদ করেন। তিনি পুলিশে কর্মরত তার বাবার পরিচয়ও দেন। বিষয়টি তিনি তার বাবাকেও জানান। খবর পেয়ে শাহপরান থানায় কর্মরত এসআই জামাল ভুঁইয়া ঘটনাস্থলে যান। তিনি আসাদ ও তার বন্ধুকে নগরীর কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যান। সেখানে মুচলেকা রেখে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে ওই কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছেও পৌঁছায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসএমপি পুলিশ লাইনের এডিসি (ফোর্স) সালেহ আহমদকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি গত ২৪ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের স্মারক এসএমপি-১৬০ /এডিসি (ফোর্স)। তদন্তে তিন কনস্টেবলের অপকর্মের বিষয়টি বেরিয়ে আসে।

এর পরই তাদের তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।