ঢাকা ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী দেখতে আসেন মেহেদী হাসান রনি মিথ্যা মামলা ও ছোট্ট বোনের নিরাপত্তা চেয়ে নির্যাতিত পরিবারের সংবাদ সম্মেলন শেখ হাসিনা কার্গো বিমানে ভারতে পালিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন-মৌলভীবাজারে সাবেক মন্ত্রী টুকু বিশ্ব কবিমঞ্চ উদ্যোগে কবি সালেহ মওসুফ এর স্মরণ সভা বিশিষ্ট সাংবাদিক আলহাজ্ব এ. এস. মোহাম্মদ সিংকাপনীর ইন্তেকাল টিজেসি সভাপতি মোস্তাফিজ সম্পাদক ঢালী সাতপীরের মাজার নিয়ে উ ত্তে জ না হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী ১৮ জানুয়ারী রঘুনন্দনপুর এলাকায় ইসলামি মহা- সম্মেলন কোটচাঁদপুরে কাঠ বয়লার মেশিন বিস্ফোরণে তদন্ত শুরু করেছেন চার সদস্যের তদন্ত কমিটি

কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু নিয়ে গেল এনজিওকর্মীরা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৭:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৫২৩ বার পড়া হয়েছে

ভোলার চরফ্যাশনে কিস্তির টাকা দিতে না পারায় এক পরিবারের একটি গাভী নিয়ে গেছেন দক্ষিণ আইচা গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা নামের এক এনজিওর মাঠকর্মীরা।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

দৌলতপুর গ্রামের কাঞ্চন মিস্ত্রির স্ত্রী কুলসুম বেগম জানান, সম্প্রতি দক্ষিণ আইচা গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেন তিনি। এ ঋণের সপ্তাহে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে ১৩টি কিস্তি পরিশোধ করেন তিনি। হঠাৎ দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় ওই এনজিওর মাঠকর্মী হাসিনা ও ম্যানেজার মো. শামীম শনিবার বিকালে তার বাড়িতে গিয়ে গোয়ালঘর থেকে একটি গাভী নিয়ে যান। এ সময় গরুটি নিতে নিষেধ করলেও তারা তা শুনেননি। গাভীটির চার মাসের একটি বাছুর রয়েছে।

কুলসুম বলেন, ‘আমি কোনো রকম ক্ষেত খামারে কাজ করে সংসার চালাই। আমি তাদের বলেছি সমিতির টাকা পরিশোধ করব, তাও শোনে নাই।

 

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ছালাউদ্দিন মুন্সি বলেন, ‘এনজিওর টাকা দিতে না পারায় গোয়ালঘর থেকে একটি গরু ছিনিয়ে নেওয়া অমানবিক কাজ করেছে এনজিওর লোকজন। আইনিভাবে এটা করতে পারে না। তদন্ত করে এনজিওটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

গরু নেওয়ার কথা স্বীকার করে সংস্থার মাঠকর্মী হাসিনা বেগম বলেন, ‘এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে কয়েকটি কিস্তি চালিয়েছেন কুলসুম বেগম। এরপর ঋণখেলাপি করছেন তিনি। সেই টাকা পরিশোধ করতে বারবার বলি। টাকা পরিশোধ না করায় তার একটি গরু নিয়ে আসছি।’

ম্যানেজার মো. শামীম বলেন, ‘কিস্তির টাকা পাওনা থাকায় একটি গরু নিয়ে আসছি।’

 

অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থার নেওয়ার কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহমেদ। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু নিয়ে গেল এনজিওকর্মীরা

আপডেট সময় ১১:৫৭:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভোলার চরফ্যাশনে কিস্তির টাকা দিতে না পারায় এক পরিবারের একটি গাভী নিয়ে গেছেন দক্ষিণ আইচা গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা নামের এক এনজিওর মাঠকর্মীরা।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

দৌলতপুর গ্রামের কাঞ্চন মিস্ত্রির স্ত্রী কুলসুম বেগম জানান, সম্প্রতি দক্ষিণ আইচা গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেন তিনি। এ ঋণের সপ্তাহে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে ১৩টি কিস্তি পরিশোধ করেন তিনি। হঠাৎ দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় ওই এনজিওর মাঠকর্মী হাসিনা ও ম্যানেজার মো. শামীম শনিবার বিকালে তার বাড়িতে গিয়ে গোয়ালঘর থেকে একটি গাভী নিয়ে যান। এ সময় গরুটি নিতে নিষেধ করলেও তারা তা শুনেননি। গাভীটির চার মাসের একটি বাছুর রয়েছে।

কুলসুম বলেন, ‘আমি কোনো রকম ক্ষেত খামারে কাজ করে সংসার চালাই। আমি তাদের বলেছি সমিতির টাকা পরিশোধ করব, তাও শোনে নাই।

 

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ছালাউদ্দিন মুন্সি বলেন, ‘এনজিওর টাকা দিতে না পারায় গোয়ালঘর থেকে একটি গরু ছিনিয়ে নেওয়া অমানবিক কাজ করেছে এনজিওর লোকজন। আইনিভাবে এটা করতে পারে না। তদন্ত করে এনজিওটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

গরু নেওয়ার কথা স্বীকার করে সংস্থার মাঠকর্মী হাসিনা বেগম বলেন, ‘এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে কয়েকটি কিস্তি চালিয়েছেন কুলসুম বেগম। এরপর ঋণখেলাপি করছেন তিনি। সেই টাকা পরিশোধ করতে বারবার বলি। টাকা পরিশোধ না করায় তার একটি গরু নিয়ে আসছি।’

ম্যানেজার মো. শামীম বলেন, ‘কিস্তির টাকা পাওনা থাকায় একটি গরু নিয়ে আসছি।’

 

অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থার নেওয়ার কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহমেদ। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।