ঢাকা ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কোটচাঁদপুরে ঋণ প্রদান কারি প্রতিষ্ঠানের কারসাজি বেকায়দায় স্কুল শিক্ষক খাইরুল ইসলাম  রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া- দুর্গাপুর) আসনে জামায়াতের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা মনিপুরী মহা রাসলীলা উৎসবে শুভেচ্ছা আর ভালবাসায় সিক্ত হন মহসিন মিয়া মধু আপনাদের পাশে থেকে কাজ করে যাবো,আপনাদের ছেড়ে যাবো না সাবেক মেয়র মহসিন মিয়া মধু মৌলভীবাজারে স্কুল ছাত্রীর মৃ ত দে হ উ দ্ধা র মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক নাহিদ, সদস্য সচিব তানিম মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিলো ছাত্রদল মৌলভীবাজারে ই য়া বা সহ এক ব্যক্তি গ্রে ফ তা র টনি খান হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট পরির্দশনে রন্ধন শিল্পী টনি খান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফাতেই বাঙালি জাতির মুক্তির বার্তা- কমলগঞ্জের আদমপুরে মহসিন মিয়া মধু

কোটচাঁদপুরের অধিকাংশ গবাদিপশু ভুগছেন লাম্পি স্কিন ডিডিজে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:২৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২
  • / ৩৩১ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ কোটচাঁদপুরের অধিকাংশ গবাদিপশু ভুগছেন লাম্পি স্কিন ডিডিজ(এলএসডি)তে। নিশিদ্ধ ঔষুধে দেয়া হচ্ছে  চিকিৎসা। এতে করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষি আর শারিরীক ভাবে পশু। যা দেখার কেউ নাই।
কোটচাঁদপুর প্রাণীসম্পদ অফিসের উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন,এল,এস,ডি একটি ভাইরাস জনিত চর্ম রোগ।

এ রোগে শুধুমাত্র গুরু ও মহিষকে আক্রান্ত করে। যা গেল ৩ বছর পূর্বে এ দেশে দেখা দিয়েছিল। গেল ২ বছর দেখা না গেলেও এ বছর জুলাই মাস থেকে এর প্রার্দুরভাব লক্ষ্য করা যায়। এরমধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে বেশি গরু আক্রান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন,এ উপজেলায় ৩৯ হাজার ৭ শ ৮২ টি গরু- মহিষ আছে। এরমধ্যে আমাদের রেকর্ড অনুযায়ী  ৬ শ ৫৫ টি গরু আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে হাতে গোনা কয়েকটি। তবে এর বাইরে আরো পশু আক্রান্ত ও মৃত্যু হতে পারে। তবে তার কোন তথ্য আমাদের জানা নাই।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি সচেতনতামূলক  কার্যক্রম করেছি। আর এ অফিসে যারা বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করেন,তারাও মানুষকে  এধরনের সচেতনতা করছেন বলে দাবী ওই কর্মকর্তার।
তবে এ কথা মানতে নারাজ উপজেলা তালসার গ্রামের আকিমুল ইসলাম সাজু। তিনি বলেন,এ গ্রামের অনেক পশু আক্রান্ত হয়েছে। মারাও গেছে বেশ কয়েকটি। এছাড়া এখনও বাড়িতে ভুগছে অনেক পশু। এ পশুগুলোর চিকিৎসা দিচ্ছেন স্থানীয় সার্টিফিকেট বিহীন  পশু চিকিৎসকরা।

তিনি বলেন,এ রোগের প্রার্দুরভাব বৃদ্ধির পর থেকে প্রাণীসম্পদ অফিসের কাউকে দেখা যায়নি তালসারে। এছাড়া সচেতনতামূলক কোন সভাও চোখে পড়েনি।
এ রোগের চিকিৎসা নিয়ে অফিসের এলডিডিপি প্রকল্পের বকুল আহম্মেত বলেন, এ ইউনিয়নে শতকরা ৭০/৮০ টি গরুর এ রোগ ধরা পড়েছে।

এ রোগে মূলত ইরাসেফ ২ গ্রাম,পিপাভেট,কিটোফেন,ডেক্সামেট দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ চিকিৎসায় ভাল হতে কোন গরুর ৩ দিন,কোন ৭ দিন আবার কোন গরুর বেশিদিন সময় লাগছে। চিকিৎসা ব্যয় প্রসঙ্গ তিনি বলেন,সব মিলিয়ে দিন ৪ শ থেকে  সাড়ে ৪ শ টাকা লাগছে। কিটোপ্রোফেন,এন্টিবায়োটিক আর ডেক্সামেট এ রোগে ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও ব্যবহার করছেন, কেন এমন তিনি বলেন,এ সব না দিলে গরুর চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই ব্যবহার করা।
একই কথা বলেছেন,রানা আহম্মেদ,তিনি প্রাণী সম্পদ অফিসের ইআইপি প্রকল্পে আছেন। তিনিও নিষিদ্ধ ঔষুধ ব্যবহার করে চিকিৎসা দিচ্ছেন এ রোগের গরুগুলোর।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা (অতি)ডাঃ রেজাউল করিম বলেন,এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তবে মৃতুহার কম আছে। এ রোগে ছোট বাছুর গরুর মৃত্যু ঝুকি বেশি রয়েছে।

তিনি বলেন,এ জেলার মধ্যে বেশি আক্রান্ত হয়েছে হরিণাকুন্ডুতে। ওই তুলনা কোটচাঁদপুরে কম আছে। আর এ রোগের তেমন কোন চিকিৎসা নাই। সাপোটিং চিকিৎসা দিয়ে পশুকে সুস্থ্য করতে হবে। আর এ রোগে কিটোপ্রোফেন ও ডাইক্লোফেন ব্যবহার করা যাবে না। স্থানীয়রা চিকিৎসকরা এ সব ঔষুধ সহ এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করছে,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,আমি কয়েকদিন হল এখানে যোগদান করেছি। এরপরও আমি খোজ খবর নিয়ে দেখছি। যদি তেমন প্রমান পাওয়া যায়, তাহলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করার ব্যবস্থা করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কোটচাঁদপুরের অধিকাংশ গবাদিপশু ভুগছেন লাম্পি স্কিন ডিডিজে

আপডেট সময় ০১:২৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ কোটচাঁদপুরের অধিকাংশ গবাদিপশু ভুগছেন লাম্পি স্কিন ডিডিজ(এলএসডি)তে। নিশিদ্ধ ঔষুধে দেয়া হচ্ছে  চিকিৎসা। এতে করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষি আর শারিরীক ভাবে পশু। যা দেখার কেউ নাই।
কোটচাঁদপুর প্রাণীসম্পদ অফিসের উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন,এল,এস,ডি একটি ভাইরাস জনিত চর্ম রোগ।

এ রোগে শুধুমাত্র গুরু ও মহিষকে আক্রান্ত করে। যা গেল ৩ বছর পূর্বে এ দেশে দেখা দিয়েছিল। গেল ২ বছর দেখা না গেলেও এ বছর জুলাই মাস থেকে এর প্রার্দুরভাব লক্ষ্য করা যায়। এরমধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে বেশি গরু আক্রান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন,এ উপজেলায় ৩৯ হাজার ৭ শ ৮২ টি গরু- মহিষ আছে। এরমধ্যে আমাদের রেকর্ড অনুযায়ী  ৬ শ ৫৫ টি গরু আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে হাতে গোনা কয়েকটি। তবে এর বাইরে আরো পশু আক্রান্ত ও মৃত্যু হতে পারে। তবে তার কোন তথ্য আমাদের জানা নাই।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি সচেতনতামূলক  কার্যক্রম করেছি। আর এ অফিসে যারা বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করেন,তারাও মানুষকে  এধরনের সচেতনতা করছেন বলে দাবী ওই কর্মকর্তার।
তবে এ কথা মানতে নারাজ উপজেলা তালসার গ্রামের আকিমুল ইসলাম সাজু। তিনি বলেন,এ গ্রামের অনেক পশু আক্রান্ত হয়েছে। মারাও গেছে বেশ কয়েকটি। এছাড়া এখনও বাড়িতে ভুগছে অনেক পশু। এ পশুগুলোর চিকিৎসা দিচ্ছেন স্থানীয় সার্টিফিকেট বিহীন  পশু চিকিৎসকরা।

তিনি বলেন,এ রোগের প্রার্দুরভাব বৃদ্ধির পর থেকে প্রাণীসম্পদ অফিসের কাউকে দেখা যায়নি তালসারে। এছাড়া সচেতনতামূলক কোন সভাও চোখে পড়েনি।
এ রোগের চিকিৎসা নিয়ে অফিসের এলডিডিপি প্রকল্পের বকুল আহম্মেত বলেন, এ ইউনিয়নে শতকরা ৭০/৮০ টি গরুর এ রোগ ধরা পড়েছে।

এ রোগে মূলত ইরাসেফ ২ গ্রাম,পিপাভেট,কিটোফেন,ডেক্সামেট দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ চিকিৎসায় ভাল হতে কোন গরুর ৩ দিন,কোন ৭ দিন আবার কোন গরুর বেশিদিন সময় লাগছে। চিকিৎসা ব্যয় প্রসঙ্গ তিনি বলেন,সব মিলিয়ে দিন ৪ শ থেকে  সাড়ে ৪ শ টাকা লাগছে। কিটোপ্রোফেন,এন্টিবায়োটিক আর ডেক্সামেট এ রোগে ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও ব্যবহার করছেন, কেন এমন তিনি বলেন,এ সব না দিলে গরুর চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই ব্যবহার করা।
একই কথা বলেছেন,রানা আহম্মেদ,তিনি প্রাণী সম্পদ অফিসের ইআইপি প্রকল্পে আছেন। তিনিও নিষিদ্ধ ঔষুধ ব্যবহার করে চিকিৎসা দিচ্ছেন এ রোগের গরুগুলোর।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা (অতি)ডাঃ রেজাউল করিম বলেন,এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তবে মৃতুহার কম আছে। এ রোগে ছোট বাছুর গরুর মৃত্যু ঝুকি বেশি রয়েছে।

তিনি বলেন,এ জেলার মধ্যে বেশি আক্রান্ত হয়েছে হরিণাকুন্ডুতে। ওই তুলনা কোটচাঁদপুরে কম আছে। আর এ রোগের তেমন কোন চিকিৎসা নাই। সাপোটিং চিকিৎসা দিয়ে পশুকে সুস্থ্য করতে হবে। আর এ রোগে কিটোপ্রোফেন ও ডাইক্লোফেন ব্যবহার করা যাবে না। স্থানীয়রা চিকিৎসকরা এ সব ঔষুধ সহ এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করছে,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,আমি কয়েকদিন হল এখানে যোগদান করেছি। এরপরও আমি খোজ খবর নিয়ে দেখছি। যদি তেমন প্রমান পাওয়া যায়, তাহলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করার ব্যবস্থা করা হবে।