ঢাকা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া- দুর্গাপুর) আসনে জামায়াতের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা মনিপুরী মহা রাসলীলা উৎসবে শুভেচ্ছা আর ভালবাসায় সিক্ত হন মহসিন মিয়া মধু আপনাদের পাশে থেকে কাজ করে যাবো,আপনাদের ছেড়ে যাবো না সাবেক মেয়র মহসিন মিয়া মধু মৌলভীবাজারে স্কুল ছাত্রীর মৃ ত দে হ উ দ্ধা র মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক নাহিদ, সদস্য সচিব তানিম মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিলো ছাত্রদল মৌলভীবাজারে ই য়া বা সহ এক ব্যক্তি গ্রে ফ তা র টনি খান হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট পরির্দশনে রন্ধন শিল্পী টনি খান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফাতেই বাঙালি জাতির মুক্তির বার্তা- কমলগঞ্জের আদমপুরে মহসিন মিয়া মধু মনোনয়ন তালিকায় নেই শিল্পীরা

কোটচাঁদপুরের রমজান আলী,তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৩৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
  • / ৩২৯ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ শিক্ষককের রোষানলে পড়ে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছেন,রমজান আলী (১৩)। এমন অভিযোগ তুলেছেন তাঁর পিতা আলী হোসেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের কাগমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়,ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর কাগমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮৯ সালে। বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি আলী হোসেনের। ওনার দুই ছেলে। নুরনবী ও রমজান আলী। রমজান আলীর বয়স এখন ১৩ বছর। এ সময় তাঁর ৬ ৬ষ্ট শ্রেনীতে পড়ার কথা থাকলেও গন্ডি পেরুতে পারেনি প্রাইমারীর। এখন সে ভবঘুরের মত করে ঘুরে বেড়ান। আর পিতার কাজের সহায়তা করে সময় পার হয় রমজানের। এ ব্যাপারে রমজান আলীর পিতা আলী হোসেন বলেন,আমার বাড়ি বিদ্যালয়ের সামনেই।বিদ্যালয়টি যে সময় প্রতিষ্ঠিত সে সময় আমরা অনেক সহায়তা করেছি। সেই বিদ্যালয়ে এখন আমার ছেলে পড়াতে পারছিনা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রহিমের রোষানলে পড়ে আমার ছেলের জীবন আজ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমার ছেলে একদিন বিদ্যালয়ে একটু দুষ্টুমি করেছিল। এরপর ওই শিক্ষক বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। সে থেকে বিদ্যালয় যাওয়া বন্ধ আমার ছেলে রমজানের। এরপরও ২/৩ বার আমার স্ত্রী ও আমি ছেলেকে বিদ্যালয়ে ভর্তি নেওয়ার কথা বলেছি। তারপরও তিনি ভর্তি নেননি। তিনি আরো বলেন, যে সময় তাঁর বিদ্যালয়ে পড়ার কথা। এখন সে বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে সারাদিন ভব ঘুরের মত করে ঘুরে বেড়ান আর কোন সময় আমার কাছের সহায়তা করেন। ওই শিক্ষকের রোষানলে পড়ে আজ আমার ছেলে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমি শিক্ষকের অপসারণ দাবী করছি। একই অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের পাশের আরেক অভিভাবক ওয়াজ উদ্দিন। সে রিয়াজ হোসেনের পিতা। তিনি বলেন,আমার ছেলেকেও ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে ভর্তি নেননি। আমি অনেকবার চেষ্টা করেও পারেনি ভর্তি করাতে। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন গণমাধ্যম কর্মীদের উপর।বলেন,আপনারাই বলেন বাড়ির সামনে বিদ্যালয় থাকতে কেউ ছেলে মাদ্রাসায় ছেলে মেয়ে কে ভর্তি করান। আমাকে সেটাই করতে হয়েছে। আর তা করতে হয়েছে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমের কারনে। তিনি আরো বলেন, তিনি স্থানীয় শিক্ষক হওয়ায় বিদ্যালয়ে দাপট দেখান। ওনার খেয়াল খুশি মত করে বিদ্যালয় চালান। তিনি ওই শিক্ষকের অপসারণ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তবে এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, এ সব মিথ্যা কথা। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র করছেন বলেও দাবি করেছেন ওই শিক্ষক। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম বলেন,অনেকেই বিদ্যালয় ছেড়ে মাদ্রায় চলে যাচ্ছেন। আবার অনেকে ফিরে আসছেন। এর জন্য কাকে দোষারোপ করবো।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটচাঁদপুরের রমজান আলী,তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি

আপডেট সময় ০৮:৩৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ শিক্ষককের রোষানলে পড়ে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছেন,রমজান আলী (১৩)। এমন অভিযোগ তুলেছেন তাঁর পিতা আলী হোসেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের কাগমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়,ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর কাগমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮৯ সালে। বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি আলী হোসেনের। ওনার দুই ছেলে। নুরনবী ও রমজান আলী। রমজান আলীর বয়স এখন ১৩ বছর। এ সময় তাঁর ৬ ৬ষ্ট শ্রেনীতে পড়ার কথা থাকলেও গন্ডি পেরুতে পারেনি প্রাইমারীর। এখন সে ভবঘুরের মত করে ঘুরে বেড়ান। আর পিতার কাজের সহায়তা করে সময় পার হয় রমজানের। এ ব্যাপারে রমজান আলীর পিতা আলী হোসেন বলেন,আমার বাড়ি বিদ্যালয়ের সামনেই।বিদ্যালয়টি যে সময় প্রতিষ্ঠিত সে সময় আমরা অনেক সহায়তা করেছি। সেই বিদ্যালয়ে এখন আমার ছেলে পড়াতে পারছিনা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রহিমের রোষানলে পড়ে আমার ছেলের জীবন আজ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমার ছেলে একদিন বিদ্যালয়ে একটু দুষ্টুমি করেছিল। এরপর ওই শিক্ষক বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। সে থেকে বিদ্যালয় যাওয়া বন্ধ আমার ছেলে রমজানের। এরপরও ২/৩ বার আমার স্ত্রী ও আমি ছেলেকে বিদ্যালয়ে ভর্তি নেওয়ার কথা বলেছি। তারপরও তিনি ভর্তি নেননি। তিনি আরো বলেন, যে সময় তাঁর বিদ্যালয়ে পড়ার কথা। এখন সে বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে সারাদিন ভব ঘুরের মত করে ঘুরে বেড়ান আর কোন সময় আমার কাছের সহায়তা করেন। ওই শিক্ষকের রোষানলে পড়ে আজ আমার ছেলে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমি শিক্ষকের অপসারণ দাবী করছি। একই অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের পাশের আরেক অভিভাবক ওয়াজ উদ্দিন। সে রিয়াজ হোসেনের পিতা। তিনি বলেন,আমার ছেলেকেও ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে ভর্তি নেননি। আমি অনেকবার চেষ্টা করেও পারেনি ভর্তি করাতে। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন গণমাধ্যম কর্মীদের উপর।বলেন,আপনারাই বলেন বাড়ির সামনে বিদ্যালয় থাকতে কেউ ছেলে মাদ্রাসায় ছেলে মেয়ে কে ভর্তি করান। আমাকে সেটাই করতে হয়েছে। আর তা করতে হয়েছে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমের কারনে। তিনি আরো বলেন, তিনি স্থানীয় শিক্ষক হওয়ায় বিদ্যালয়ে দাপট দেখান। ওনার খেয়াল খুশি মত করে বিদ্যালয় চালান। তিনি ওই শিক্ষকের অপসারণ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তবে এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, এ সব মিথ্যা কথা। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র করছেন বলেও দাবি করেছেন ওই শিক্ষক। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম বলেন,অনেকেই বিদ্যালয় ছেড়ে মাদ্রায় চলে যাচ্ছেন। আবার অনেকে ফিরে আসছেন। এর জন্য কাকে দোষারোপ করবো।