ঢাকা ০৪:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটচাঁদপুরে ইসলামি আন্দোলনের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত ৭ দফার দাবীতে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার বিকালে কোটচাঁদপুর উপজেলার সভাপতি মুফতী ওমর ফারুক এর সভাপতিত্বে ও সাবেক জেলা সহসভাপতি মুফতী মাহমুদুল হাসান এর উপস্থাপনায় এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি ডা. এইচ এম মোমতাজুল করীম। তিনি ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের দুঃশাসনের বিবরণ দেন। বিগত সরকারের খুন, গুম ও দুর্ণীতির বর্ণনা করেন। এরপর তিনি ৭ দফার দাবী করেন। দাবী গুলো হলোঃ
১. গ্রহনযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইবুনাল গঠন করে জুলাই গণহত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। একই সাথে গত ১৬ বছরে সংগঠিত সকল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করতে হবে। এক্ষেত্রে যে সকল ব্যক্তি বা সংগঠন দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদেরকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. তদন্ত সাপেক্ষে বিগত বছরের সকল দুর্নীতিবাজ ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সকল সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে এবং বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনবার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বিগত বছরে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে। সকল দুর্নীতি ও টাকা পাচারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।
৩. আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ প্রজাতন্ত্রের যে সকল কর্মচারী আইন, সংবিধান, শপথ লঙ্ঘন করে অপেশাদার আচরণ করেছেন তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
৪. দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় জনগোষ্ঠির চিন্তা-চেতনা ও অনুভূতির বিরুদ্ধে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।
৫. নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে এবং অবাধ, সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (চজ) পদ্ধতি চালু করতে হবে।

৬. আওয়ামী দুঃশাসনের বিগত ১৬ বছরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এদেশের সাধারণ শিক্ষাখাতের মান ও নৈতিকতা। এই ক্ষতি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ ও উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে একটি জাতীয় শিক্ষাকমিশন গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৭. গ্রাম পুলিশকে জাতীয়করণ করে তাদের সম্মানজনক বেতন ও ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়াও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক মাওলানা শিহাব উদ্দিন, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি এবং সাবেক কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মুফতী আহমাদ আব্দুল জলিল । বিশেষ অতিথি মাওলানা আমানুল্লাহ হেফাজতে ইসলাম কোটচাঁদপুর শাখা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতী নাজির আহমেদ, কোটচাঁদপুর থানা সেক্রেটারি জনাব ফারুক হোসেন, মহেশপুর উপজেলার সভাপতি মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, সাবেক সভাপতি মাওলানা সরোয়ার হোসাইন, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুফতী ইব্রাহীম খলীল, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটচাঁদপুরে ইসলামি আন্দোলনের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ১০:০৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত ৭ দফার দাবীতে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার বিকালে কোটচাঁদপুর উপজেলার সভাপতি মুফতী ওমর ফারুক এর সভাপতিত্বে ও সাবেক জেলা সহসভাপতি মুফতী মাহমুদুল হাসান এর উপস্থাপনায় এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি ডা. এইচ এম মোমতাজুল করীম। তিনি ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের দুঃশাসনের বিবরণ দেন। বিগত সরকারের খুন, গুম ও দুর্ণীতির বর্ণনা করেন। এরপর তিনি ৭ দফার দাবী করেন। দাবী গুলো হলোঃ
১. গ্রহনযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইবুনাল গঠন করে জুলাই গণহত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। একই সাথে গত ১৬ বছরে সংগঠিত সকল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করতে হবে। এক্ষেত্রে যে সকল ব্যক্তি বা সংগঠন দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদেরকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. তদন্ত সাপেক্ষে বিগত বছরের সকল দুর্নীতিবাজ ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সকল সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে এবং বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনবার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বিগত বছরে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে। সকল দুর্নীতি ও টাকা পাচারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।
৩. আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ প্রজাতন্ত্রের যে সকল কর্মচারী আইন, সংবিধান, শপথ লঙ্ঘন করে অপেশাদার আচরণ করেছেন তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
৪. দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় জনগোষ্ঠির চিন্তা-চেতনা ও অনুভূতির বিরুদ্ধে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।
৫. নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে এবং অবাধ, সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (চজ) পদ্ধতি চালু করতে হবে।

৬. আওয়ামী দুঃশাসনের বিগত ১৬ বছরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এদেশের সাধারণ শিক্ষাখাতের মান ও নৈতিকতা। এই ক্ষতি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ ও উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে একটি জাতীয় শিক্ষাকমিশন গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৭. গ্রাম পুলিশকে জাতীয়করণ করে তাদের সম্মানজনক বেতন ও ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়াও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক মাওলানা শিহাব উদ্দিন, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি এবং সাবেক কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মুফতী আহমাদ আব্দুল জলিল । বিশেষ অতিথি মাওলানা আমানুল্লাহ হেফাজতে ইসলাম কোটচাঁদপুর শাখা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতী নাজির আহমেদ, কোটচাঁদপুর থানা সেক্রেটারি জনাব ফারুক হোসেন, মহেশপুর উপজেলার সভাপতি মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, সাবেক সভাপতি মাওলানা সরোয়ার হোসাইন, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুফতী ইব্রাহীম খলীল, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন।