ঢাকা ০৩:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
গ্রীন মৌলভীবাজার গড়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের ১ লক্ষ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি ATN বাংলা ইউকে প্রতিদিন হলেন মৌলভীবাজার শাওন মৌলভীবাজার সড়ক দু/র্ঘ/ট/না/য় পৌরসভার কর্মচারী নি/হ/ত ৪৪তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে প্রথমস্থান অর্জন করেছে জুড়ীর ছেলে কুলাউড়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের নতুন নেতৃত্বে পারভেজ ও সুমন ৩৬ দিন ব্যাপি নানা কর্মসূচী মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে জুলাই বিপ্লবের স্থির চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা আঞ্জুম হ/ত্যা/কা/ন্ড ঘা/ত/ক জুনেলের ২ দিনের জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ জুলাই বিপ্লবের সময় পাখির মত মানুষ গু/লি করে হ/ত্যা করা হয়েছে মৌলভীবাজারে…অ্যাটর্নি জেনারেল ৭০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা কুলাউড়া পৌরসভার

কোটচাঁদপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের স্টোর রুমে আটকে রাখার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৪৮:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
  • / ৩৩৪ বার পড়া হয়েছে

Exif_JPEG_420

মঈন উদ্দীন: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর শহরের এন.কে.আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহিনুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরিক্ষার্থী সহ ১০ শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের স্টোর রুমে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষকের দাবী ক্লাসে মোবাইল ফোন নিয়ে আসায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার পৌর শহরের নওদাগা-কাশিপুর-রাঙ্গিয়ারপোতা (এন.কে.আর) বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে ক্লাস রুমে আসে।

এসময় তাদের প্রধান শিক্ষক সহ সহকারি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এবং মৌখিক ভাবে তাদেরকে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করা হয়। এমনকি স্কুলে আসলে পুলিশে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। (আজ) মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীরা পূনরায় স্কুলে আসলে,তাদের কে বাহিরে রোদের মধ্যে দাঁড়ান করিয়ে রাখা হয়। পরবর্তিতে বিদ্যালয়ের সভাপতি জাকারিয়া হোসেনের নির্দেশে প্রধান শিক্ষক শাহিনুর রহমান তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি স্টোর রুমে আটকে রাখেন।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক শাহিনুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে আসতে নিষেধ করা হয়। এরপরও তারা মোবাইল নিয়ে ক্লাসে আসে। পরে শাস্তিমূলক তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু শিক্ষার্থী দুই শিক্ষকের মোটরসাইলের ছিট কেটে গাড়ির প্লাগের তার কেটে দেয়। এবং ওয়াটার রুমের বেসিন উল্টে রাখে। মঙ্গলবার সেই শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসলে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা বলেন, কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা কিছু জানি না। এঘটনায় শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোবের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রতন মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে আসা নিষেধ। কিন্তু তাদেরকে আটকে রাখা ঠিক হয়নি। ঘটনাটি আমি জানি না! খোঁজ নিয়ে দেখছি।

 

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটচাঁদপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের স্টোর রুমে আটকে রাখার অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:৪৮:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২

মঈন উদ্দীন: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর শহরের এন.কে.আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহিনুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরিক্ষার্থী সহ ১০ শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের স্টোর রুমে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষকের দাবী ক্লাসে মোবাইল ফোন নিয়ে আসায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার পৌর শহরের নওদাগা-কাশিপুর-রাঙ্গিয়ারপোতা (এন.কে.আর) বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে ক্লাস রুমে আসে।

এসময় তাদের প্রধান শিক্ষক সহ সহকারি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এবং মৌখিক ভাবে তাদেরকে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করা হয়। এমনকি স্কুলে আসলে পুলিশে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। (আজ) মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীরা পূনরায় স্কুলে আসলে,তাদের কে বাহিরে রোদের মধ্যে দাঁড়ান করিয়ে রাখা হয়। পরবর্তিতে বিদ্যালয়ের সভাপতি জাকারিয়া হোসেনের নির্দেশে প্রধান শিক্ষক শাহিনুর রহমান তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি স্টোর রুমে আটকে রাখেন।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক শাহিনুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে আসতে নিষেধ করা হয়। এরপরও তারা মোবাইল নিয়ে ক্লাসে আসে। পরে শাস্তিমূলক তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু শিক্ষার্থী দুই শিক্ষকের মোটরসাইলের ছিট কেটে গাড়ির প্লাগের তার কেটে দেয়। এবং ওয়াটার রুমের বেসিন উল্টে রাখে। মঙ্গলবার সেই শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসলে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা বলেন, কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা কিছু জানি না। এঘটনায় শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোবের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রতন মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে আসা নিষেধ। কিন্তু তাদেরকে আটকে রাখা ঠিক হয়নি। ঘটনাটি আমি জানি না! খোঁজ নিয়ে দেখছি।