রং বেরংয়ের ফুল কপি চাষ করে অনেক টাকা লাভবান হবেন বলে আশাবাদী কলেজ পড়ুয়া ছাত্র মুস্তাক হোসেন। রঙ্গিন কপি ভ্যালেনটিনা ও ক্যারোটিনা চাষাবাদে লাভবান হওয়ায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন এখানকার কৃষকরা। রঙিন ফুলকপি চাষ এটা যশোর অঞ্চলের টেকসই কৃষি সম্পসারন প্রকল্প ও নিরাপদ উচ্চমূল্য সজীব উৎপাদন উপজেলা কৃষি অফিসের প্রদর্শনী বলছেন কৃষি সম্পসারন অফিসার হুমায়ূন কবির।
কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের শীবনগর গ্রামের মৃত আব্দুস সেলিম হোসেনের ছোট ছেলে মুস্তাক হোসেন তার ২০ শতক জমিতে এই প্রথম আবাদ করেছেন হলুদ, বেগুনী ও সবুজ রংয়ের ফুলকপি। ফলন আসা পর্যন্ত খরচ হয়েছে তার মাত্র ১৫ হাজার টাকা। চারা রোপনের ৮০ দিনের মাথায় বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠেছে রঙ্গিন এ ফুলকপি। এ কৃষক এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। যে পরিমান ফুলকপি জমিতে রয়েছে সেগুলো বিক্রি করতে পারবে প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকার মত। সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে তার আয় হবে ৬৫ হাজার টাকা। এই কপি চাষে রাসায়নিক সার ও ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার না করায় এটা সম্পূর্ণ নিরাপদ। এলাকাতে নতুন ফসল হওয়ায় স্বাভাবিক কারণেই এটার চাহিদা অনেক বেশি। এলাকার মানুষ আগ্রহী হয়ে ভালো দাম দিয়ে খেত থেকেই এই ফুলকপি কিনে নিচ্ছেন। বাজারে নেওয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এসব রঙিন ফুলকপি। একেকটি ফুলকপি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগামীতে এখানকার অনেক কৃষক অন্যান্য সবজির পাশাপাশি বাহারী রংয়ের ফুলকপি চাষ করবেন বলে ইচ্ছা পোষন করছেন। রঙ্গিন ফুল কপির বীজ পাওয়াটা সহজলভ্য হলে আগামীতে এর চাষাবাদা আরো বৃদ্ধি পাবে।
উপজেলা কৃষি সম্পসারন অফিসার হুমায়ূন কবির বলেন, মুস্তাক হোসেন একজন ছাত্র হয়েও তার নিজের জমিতে সব সময় উন্নত জাতের কিছু একটা সবজি চাষ করে থাকেন। গত বছর এ জমিতেই বিভিন্ন সজীব চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এ বছরও তিনি প্রথম বারের মত আবাদ করেছেন হলুদ আর বেগুনী ও সবুজ রংয়ের ফুল কপি। ফুল কপির চারা,সার,কীটনাশক সহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছে কৃষি অফিস। অন্যান্য ফুল কপির তুলনায় এগুলো কালার ফুল হওয়াতে মানুষের কাছে এটা খুব আকর্ষনী এবং বাজারে এর চাহিদাও খুব বেশি। এ ফুলকপি পুষ্টিগুন মানসম্মত হওয়ায় এখানকার কৃষকরা ফুলকপি চাষাবাদে খুবই আগ্রহী হয়ে উঠছে। আমরা আশা করছি আগামী রবি মৌশুমে এর আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে। হলুদ,সবুজ ও বেগুনী রংয়ের এ ফুলকপিতে ভিটামিন আর ফলিগ এসিড থাকার কারণে এন্টি অক্সিজেনেরও কাজ করে শরীরে এবং এটা খুব পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ। যার কারণে এর চাহিদা বেশি। সকল প্রকার চাষিদের সার,বীজ সহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে নিয়মিত সহায়তা করছে কৃষি অফিস।