ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন ৪ জন মৌলভীবাজারে জাতীয়তাবাদী রিক্স ভ্যান অটোচালক দল কমিটি গঠন দীর্ঘদিনের বিভেদ মুছে নেতাকর্মীরা এক কাতারে দাঁড়িয়ে কাজ করার অঙ্গীকার মৌলভীবাজারে ডেভিল হান্ট ফেইজ- ২ তে ৮ নেতা গ্রে ফ তা র আমে‌রিকা প্রবাসী বি‌শিষ্ট ব‌্যবসায়ী লায়ন শাহ নেওয়াজ সিআইপি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ সম্মাননায় ভূ‌ষিত শ্রীমঙ্গল হেলদি চয়েস ফুড বেভারেজ কোম্পানি ফ্যাক্টরি পরিদর্শনে যুক্তরাজ্যের  বিখ্যাত  শেফ টমি মিয়া ও চেম্বার নেতৃবৃন্দ  মৌলভীবাজার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রে প্তা র সেনানিবাসে সুদানে নি হ ত ৬ শান্তিরক্ষীর জানাজা সম্পন্ন তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে সিইসির বৈঠক মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা

কোটচাঁদপুরে সাংবাদিক সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৪১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জুলাই ২০২২
  • / ৪৬৯ বার পড়া হয়েছে

Exif_JPEG_420

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ মহামান্য সুপ্রিম কোটের চুড়ান্ত ডিক্রি উপেক্ষা করে জমি থেকে জোর পূর্বক উচ্ছেদ ও প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মলন হয়েছে।

রবিবার কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার গাবতলা পাড়ায় নালিশি জমিতে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সর্ব্বোচ্চ আদালত থেকে ডিক্রি পাওয়া জমির মালিক আব্দুল খালেক লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

আব্দুল খালেক তার বক্তব্যে বলেন, আমার পিতা মৃত আবুল হোসেন ওয়ারেশ সূত্রে কোটচাঁদপুর ৪৬ নং মৌজার ১৪০১ ও ২১৩০ খতিয়ানের ৭টি দাগ থেকে ৭৮শতক জমি প্রাপ্ত হন। কিন্তু বিবাদী জামেলা খাতুন ও তার ওয়ারেশগণ আমার পিতাকে জোর পূর্বক  জমির দখলে নিতে দেয়নি। সে কারণে আমার পিতা ১৯৮৯ সালের ৫ মার্চ দেওয়ানি কার্যবিধি মোতাবেক  ঝিনাইদহ সহকারী জজ আদালতে মমলা দায়ের করেন। যার নং ৭১। উক্ত মামলায়  বিজ্ঞ আদালত ১৯৯৪ সালের ২৫ জানুয়ারি আবুল হোসেনের পক্ষে  ডিক্রি প্রদান করেন। বিবাদী জামেলা খাতুন এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।  মামলা পরিচালনা ক্ষেত্রে  পিতার ত্রুটি থাকার করণে আপিলের প্রকৃত সুট ডিসমিস হয়।এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।যার সিভিল রিভিউশন নং ৪০৫।তারিখ ১৫-০১-১৯৯৭। মহামান্য হাইকোর্ট ২০০৩ সালের ২৬ ফেব্রায়ারী আবুল হোসেনর পক্ষে রায় দেন।  রায়ের বিরুদ্ধে জামিলা মহামান্য সুপ্রিমকোর্টে আপিল করেন। আপিল নং ৭১/২০০৪। মহামান্য সুপ্রিমকোর্টে নথি তলব ও জাস্টিফাই করে আবুল হোসেন পক্ষে রায় দেন।  এ রায়ও জামেনা খাতুনের মনপুত না হওয়ায় পুনরায় শুনানির জন্য মহামান্য সুপ্রিমকোর্টে রিভিউ পিটিশন করেন। পিটিশন নং১০৫/২১৫।অতঃপর মহামান্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত  বেঞ্চ পিটিশনটি খারিজ করেন। পিতার অবর্তমানে চুড়ান্ত ডিক্রি পেতে ওয়ারেশগণ ঝিনাইদহ  সিনিয়র সহকারী জজ আদালত মামলা করেন।

এ প্রেক্ষিতে আদালত একজন সিনিয়র এ্যাডভোকেটকে কমিশন নিয়োগ করেন।  কমিশন উভয় পক্ষ ও স্হানীয় কাউন্সিলরের  উপস্হিতে নালিশি দাগ খতিয়ানের জরিপ পূর্বক ফিল্ড বুক ও স্কেস ম্যাপ চুড়ান্ত করে জমির অংশ বন্টন করে দেন। এতো কিছুর পরও দখলীয় জমি থেকে উচ্ছেদ এর পাঁয়তারা করছে প্রতিপক্ষ। দেয়া হচ্ছে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি। যে কারণে সংবাদ সম্মেলনকারী এ পরিবারটি দারুন নিরাপত্তাহীনতার মাঝে দিন কাটাছেন বলে দাবি করেছেন। আব্দুল খালেক উপস্থিত  সাংবাদিকদের মাধ্যমে স্হানীয় পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের আশু-সহযোগিতা কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তার ভাই বব্দুল কুদ্দুস , আজিজুল হক, দাউদ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, ও শরিক আব্দুল মোতালেব উপস্থিত ছিলেন।
মোঃ মঈন উদ্দিন খান

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কোটচাঁদপুরে সাংবাদিক সম্মেলন

আপডেট সময় ০১:৪১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জুলাই ২০২২

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ মহামান্য সুপ্রিম কোটের চুড়ান্ত ডিক্রি উপেক্ষা করে জমি থেকে জোর পূর্বক উচ্ছেদ ও প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মলন হয়েছে।

রবিবার কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার গাবতলা পাড়ায় নালিশি জমিতে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সর্ব্বোচ্চ আদালত থেকে ডিক্রি পাওয়া জমির মালিক আব্দুল খালেক লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

আব্দুল খালেক তার বক্তব্যে বলেন, আমার পিতা মৃত আবুল হোসেন ওয়ারেশ সূত্রে কোটচাঁদপুর ৪৬ নং মৌজার ১৪০১ ও ২১৩০ খতিয়ানের ৭টি দাগ থেকে ৭৮শতক জমি প্রাপ্ত হন। কিন্তু বিবাদী জামেলা খাতুন ও তার ওয়ারেশগণ আমার পিতাকে জোর পূর্বক  জমির দখলে নিতে দেয়নি। সে কারণে আমার পিতা ১৯৮৯ সালের ৫ মার্চ দেওয়ানি কার্যবিধি মোতাবেক  ঝিনাইদহ সহকারী জজ আদালতে মমলা দায়ের করেন। যার নং ৭১। উক্ত মামলায়  বিজ্ঞ আদালত ১৯৯৪ সালের ২৫ জানুয়ারি আবুল হোসেনের পক্ষে  ডিক্রি প্রদান করেন। বিবাদী জামেলা খাতুন এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।  মামলা পরিচালনা ক্ষেত্রে  পিতার ত্রুটি থাকার করণে আপিলের প্রকৃত সুট ডিসমিস হয়।এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।যার সিভিল রিভিউশন নং ৪০৫।তারিখ ১৫-০১-১৯৯৭। মহামান্য হাইকোর্ট ২০০৩ সালের ২৬ ফেব্রায়ারী আবুল হোসেনর পক্ষে রায় দেন।  রায়ের বিরুদ্ধে জামিলা মহামান্য সুপ্রিমকোর্টে আপিল করেন। আপিল নং ৭১/২০০৪। মহামান্য সুপ্রিমকোর্টে নথি তলব ও জাস্টিফাই করে আবুল হোসেন পক্ষে রায় দেন।  এ রায়ও জামেনা খাতুনের মনপুত না হওয়ায় পুনরায় শুনানির জন্য মহামান্য সুপ্রিমকোর্টে রিভিউ পিটিশন করেন। পিটিশন নং১০৫/২১৫।অতঃপর মহামান্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত  বেঞ্চ পিটিশনটি খারিজ করেন। পিতার অবর্তমানে চুড়ান্ত ডিক্রি পেতে ওয়ারেশগণ ঝিনাইদহ  সিনিয়র সহকারী জজ আদালত মামলা করেন।

এ প্রেক্ষিতে আদালত একজন সিনিয়র এ্যাডভোকেটকে কমিশন নিয়োগ করেন।  কমিশন উভয় পক্ষ ও স্হানীয় কাউন্সিলরের  উপস্হিতে নালিশি দাগ খতিয়ানের জরিপ পূর্বক ফিল্ড বুক ও স্কেস ম্যাপ চুড়ান্ত করে জমির অংশ বন্টন করে দেন। এতো কিছুর পরও দখলীয় জমি থেকে উচ্ছেদ এর পাঁয়তারা করছে প্রতিপক্ষ। দেয়া হচ্ছে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি। যে কারণে সংবাদ সম্মেলনকারী এ পরিবারটি দারুন নিরাপত্তাহীনতার মাঝে দিন কাটাছেন বলে দাবি করেছেন। আব্দুল খালেক উপস্থিত  সাংবাদিকদের মাধ্যমে স্হানীয় পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের আশু-সহযোগিতা কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তার ভাই বব্দুল কুদ্দুস , আজিজুল হক, দাউদ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, ও শরিক আব্দুল মোতালেব উপস্থিত ছিলেন।
মোঃ মঈন উদ্দিন খান