ঢাকা ০৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কোটচাঁদপুরে ৭ কর্ম  দিবস পার হলেও জমা পড়েনি তদন্ত প্রতিবেদন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৩৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২
  • / ২৪১ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ ধীর গতিতে এগিয়ে চলেছে কোটচাঁদপুরের এমএইচভিদের ভাতার টাকা কর্তনের ঘটনা নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম। ৭ কর্ম দিবস পার হয়ে গেলেও জমা পড়েনি তদন্ত প্রতিবেদনটি। এ প্রতিবেদন আদৌও আলোর মুখ দেখবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গেল ২০২০ সালের দিকে মাল্টিপারপস হেলথ ভলান্টিয়ার (এমএইচভি)দের নিয়োগ দেন সরকার। যারা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খানা পরিদর্শন করেন, রোগিদের সিসিতে পাঠান,স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিও ইপিআইসহ বিভিন্ন কাজের সহায়তার করে থাকেন। আর ওইসব কাজের জন্য এমএইচভিরা পেয়ে থাকেন মাসে ৩ হাজার ৬শত টাকা। যা পান বছরে একবার।
সম্প্রতি ওই ভাতার টাকা থেকে ১ হাজার ৫শত টাকা কর্তন করা হয়। যা নিয়ে হইচই শুরু হয় কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায়।
এ ঘটনা নিয়ে কাজ শুরু করেন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা। বিষয়টি জানতে পেরে এমএইচভিদের গ্রুপে সর্তক করেন, এমএইচভি জিয়াউর রহমান খান। পরে ওই সর্তক বাতাটি প্রকাশ হয়ে যায়। যা নিয়ে ইতোমধ্যে  জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হয় কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদের। তিনি ৩-৭-২০২২ (রবিবার) ঘটনাটি  তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি করে  দেন। ওই কমিটির  প্রধান করা হয় কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কৃষ্ণ কমল পাল সাগরকে।
ওই কমিটি তদন্ত শুরু করলেও ধীরগতির অভিযোগ রয়েছে কমিটির বিরুদ্ধে। ঘটনা তদন্ত করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা ১৩ দিনে ও জমা দেননি ওই কমিটি। এতে করে সংশয় দেখা দিয়েছে সচেতন মহলে,প্রশ্ন জনমনে, আদৌও প্রতিবেদনটি আলোর মুখ দেখব কিনা।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান ও কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কৃষ্ণ কমল পাল সাগর জানান, তদন্ত এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে এম,এইচ,ভিদের ডেকে সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। বাকিদের কাছ থেকে শুনে,আগামী সোমবার, মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি জমা দিতে পারবো বলে মনে করছি।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ জানান, তদন্ত এখনও শেষ হয়নি,শেষ হলে ফোন করে জানাবেন বলে তিনি প্রতিবেদককে আশ্বস্ত করেন।
মোঃ মঈন উদ্দিন খান
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কোটচাঁদপুরে ৭ কর্ম  দিবস পার হলেও জমা পড়েনি তদন্ত প্রতিবেদন

আপডেট সময় ০২:৩৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ ধীর গতিতে এগিয়ে চলেছে কোটচাঁদপুরের এমএইচভিদের ভাতার টাকা কর্তনের ঘটনা নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম। ৭ কর্ম দিবস পার হয়ে গেলেও জমা পড়েনি তদন্ত প্রতিবেদনটি। এ প্রতিবেদন আদৌও আলোর মুখ দেখবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গেল ২০২০ সালের দিকে মাল্টিপারপস হেলথ ভলান্টিয়ার (এমএইচভি)দের নিয়োগ দেন সরকার। যারা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খানা পরিদর্শন করেন, রোগিদের সিসিতে পাঠান,স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিও ইপিআইসহ বিভিন্ন কাজের সহায়তার করে থাকেন। আর ওইসব কাজের জন্য এমএইচভিরা পেয়ে থাকেন মাসে ৩ হাজার ৬শত টাকা। যা পান বছরে একবার।
সম্প্রতি ওই ভাতার টাকা থেকে ১ হাজার ৫শত টাকা কর্তন করা হয়। যা নিয়ে হইচই শুরু হয় কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায়।
এ ঘটনা নিয়ে কাজ শুরু করেন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা। বিষয়টি জানতে পেরে এমএইচভিদের গ্রুপে সর্তক করেন, এমএইচভি জিয়াউর রহমান খান। পরে ওই সর্তক বাতাটি প্রকাশ হয়ে যায়। যা নিয়ে ইতোমধ্যে  জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হয় কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদের। তিনি ৩-৭-২০২২ (রবিবার) ঘটনাটি  তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি করে  দেন। ওই কমিটির  প্রধান করা হয় কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কৃষ্ণ কমল পাল সাগরকে।
ওই কমিটি তদন্ত শুরু করলেও ধীরগতির অভিযোগ রয়েছে কমিটির বিরুদ্ধে। ঘটনা তদন্ত করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা ১৩ দিনে ও জমা দেননি ওই কমিটি। এতে করে সংশয় দেখা দিয়েছে সচেতন মহলে,প্রশ্ন জনমনে, আদৌও প্রতিবেদনটি আলোর মুখ দেখব কিনা।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান ও কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কৃষ্ণ কমল পাল সাগর জানান, তদন্ত এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে এম,এইচ,ভিদের ডেকে সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। বাকিদের কাছ থেকে শুনে,আগামী সোমবার, মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি জমা দিতে পারবো বলে মনে করছি।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ জানান, তদন্ত এখনও শেষ হয়নি,শেষ হলে ফোন করে জানাবেন বলে তিনি প্রতিবেদককে আশ্বস্ত করেন।
মোঃ মঈন উদ্দিন খান