কোটচাঁদপুর কৃষিকে জানতে দেশ ভ্রমন যান শিক্ষক হারুন অর রশিদ
- আপডেট সময় ০১:৫০:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১২৪ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ কৃষিকে জানতে দেশ ভ্রমন যান শিক্ষক হারুন অর রশিদ (মুসা)। ফিরে এসে পাঠদানের পাশাপাশি আত্ম নিয়োগ করেছেন কৃষি কাজে। দেশি ফলের সঙ্গে বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে এ্যাভোকাডো,আঙ্গুর,রাম বুটানসহ এবিও জাতীয় বিদেশি ফল। এ বাগানটি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের কাগমারি গ্রামে।
জানা যায়,হারুন অর রশিদ (মুসা)। বয়স ৫০ বছর। তিনি কোটচাঁদপুরের কাগমারি গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। ২ ভাই ৩ বোনের মধ্যে বড় মূসা।লেখা – পড়ার হাতে খড়ি আর পাশ করে বের হওয়া কোটচাঁদপুর কামিল মাদ্রাসা থেকে। ১৯৯২ সালে আলীম পাশ করেন তিনি।
এরপর কৃষি জানতে বেরিয়ে পড়েন দেশ ভ্রমনে। ওই সময়ই ১০ টি দেশ ভ্রমন করেন শিক্ষক মুসা। গ্রামে ফিরে ১৯৯৫ সালে গড়ে তোলেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সহকারি শিক্ষক হিসেবে চাকুরি নেন ওই বিদ্যালয়েই। সংসার জীবনে তিনি ১ ছেলে ১ মেয়ের জনক।
২০০৫ সাল ১২ বিঘা জমিতে প্রথম বানিজ্যিক ভাবে বাউকুল চাষ করেন তিনি। সেই থেকে চাষ শুরু।
এরপর ২০০৭ সালে থাই পেযারা,২০১১ সালে ড্রাগন,২০১৭ সালে ৭ বিঘা জমিতে চাষ করেন উচ্চ মূল্যের এ্যাভোকাডো।
বর্তমানে চাষ শুরু করেছেন আঙ্গুর,রাম বুটান। তবে গাছ হলেও উৎপাদন শুরু হয়নি ওই গাছে। এ ছাড়া এবিও জাতীয় বিদেশি ফলের গাছও রয়েছে বাগানটিতে। চাষ রয়েছে বস্তায় আদা,ও মাশরুম।ট্রায়ালে রয়েছে উচ্চমূল্যের আরো কিছু ফল গাছ বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইতোমধ্যে ২০২৩ সালে শ্রেষ্ট উদ্যান চাষি ও ২০২৪ সালে শ্রেষ্ট ফল চাষির জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছেন শিক্ষক মূসা।
তিনি বলেন,জন্মগত আমরা চাষি। লেখা পড়ার পাশাপাশি ছোট বেলা থেকেই চাষের উপর দূর্বলতা ছিল আমার। বিশেষ করে কৃষি জানতে ও কাজ করার আগ্রহ ছিল বেশি। সে কারনে একাডেমিক শিক্ষা শেষ করে,কৃষি জানতে ও জ্ঞান অর্জনে বেরিয়ে পড়ি দেশ ভ্রমনে। এ পর্যন্ত ১০ টি দেশ ভ্রমন করা হয়েছে। আর ওই সব দেশ থেকে উচ্চ মূল্যের ফলের চাষ সম্পর্কে জেনে আমার বাগানে তা চাষ করে সফলতাও পেয়েছি। যার মধ্যে রয়েছে, এ্যাভোকাডো,আঙ্গুর,রাম বুটানসহ এবিও জাতীয় বিদেশি ফল।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান বলেন,আমি এ উপজেলায় আসার পর বেশ কয়েক বার গিয়েছি। আমিই তো তাঁকে তৃতীয় পুরস্কারের জন্য অফিস থেকে প্রত্যয়ন দিয়ে ছিলাম।তিনি ফল চাষের উপর এ পুরস্কার পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এ উপজেলায় বেশ কয়েক টি এ্যাবোকাডো বাগানের প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে। সেগুলোয় গাছ হয়েছে, তবে এখনও ফল আসেনি। এ উপজেলায় ব্যক্তগত উদ্যেগে মুসা মাস্টারই এ্যাবোকাডো চাষ করে সফল হয়েছেন।