ঢাকা ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটচাঁদপুর পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৬০ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ৫ হাজার ১ শ টাকা নিয়ে যান চাঁদাবাজরা। বাকি টাকা না পেয়ে বাড়িতে বোমা ফাটিয়েছেন তারা এমন অভিযোগ বাড়ির মালিক অলিয়ার রহমানের। পারিবারিক ঝামেলার কারনে এটা হতে পারে বলছেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মঈন উদ্দিন। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের তালিনা গ্রামে।

ভুক্তভোগী অলিয়ার রহমান বলেন,গেল ২৭ জানুয়ারি রাতে মুখ বাধা ৫/৬ জন মানুষ প্রবেশ করেন বাড়িতে। বলেন আমরা পুলিশের লোক। দরজা খুলে বাইরে আসতেই দাবি করেন ৫ লাখ টাকা। এরপর অনেক কথা কাটাকাটির পর বাসায় থাকা ৫ হাজার ১ শ টাকা নিয়ে যান তারা।

সোমবার রাতে একই ভাবে বাড়িতে প্রবেশ করেন তারা। ওই সময় আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। ছেলের  বউ আর মেয়ে বাড়িতে ছিল। ওই সময় তারা ভয় পেয়ে নিচে তালা দিয়ে উপরের ঘরে চলে যান। পরে ফোন করলে,আমি জানতে পারি। এ খবরে আমরা বাড়ির দিকে রওনা করি। পরে তারা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যান।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানায় মামলা করতে গিয়ে ছিলাম। ওসি সাহেব না থাকায় করা হয়নি। সন্ধ্যা বেলায় আমাদের যেতে বলেছেন। জানা যায়, অলিয়ার রহমান ছিলেন গান্না সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। বর্তমানে তিনি কোটচাঁদপুর টিআইসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গুড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সহউপপরিদর্শক রাজন হোসেন বলেন, ওই সময় আমরা পাশের একটা মাহফিলে ডিউটি করছিলাম।

স্থানীয় মানুষের মুখে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পোটকা বিস্ফোরণের পর যা পড়ে থাকে,ওই ধরনের কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়। তবে ওগুলো বোমা বা ককটেল ছিল না।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মঈন উদ্দিন বলেন,গেল ২৭ তারিখে তাদের কাছে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ৫ হাজার ১শ টাকা নিয়ে যান। ওই সময় তারা আমাদেরকে জানাননি। এছাড়া পাশের পুলিশ ফাঁড়ির কাউকেও অবহিত করেননি তারা। সোমবার রাতে আবার ওই ঘটনা। ঘটনাটির মধ্যে অন্য কিছু আছে বলে আমার মনে হচ্ছে। এটা কোন পারিবারিক ঝামেলার কারনে হতে পারে।

বিষয়টি আমি এসপি স্যারকে বলেছি। বাকিটা খোজ খবর নিয়ে দেখছি প্রকৃত ঘটনা কি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোটচাঁদপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটচাঁদপুর পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:০৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ৫ হাজার ১ শ টাকা নিয়ে যান চাঁদাবাজরা। বাকি টাকা না পেয়ে বাড়িতে বোমা ফাটিয়েছেন তারা এমন অভিযোগ বাড়ির মালিক অলিয়ার রহমানের। পারিবারিক ঝামেলার কারনে এটা হতে পারে বলছেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মঈন উদ্দিন। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের তালিনা গ্রামে।

ভুক্তভোগী অলিয়ার রহমান বলেন,গেল ২৭ জানুয়ারি রাতে মুখ বাধা ৫/৬ জন মানুষ প্রবেশ করেন বাড়িতে। বলেন আমরা পুলিশের লোক। দরজা খুলে বাইরে আসতেই দাবি করেন ৫ লাখ টাকা। এরপর অনেক কথা কাটাকাটির পর বাসায় থাকা ৫ হাজার ১ শ টাকা নিয়ে যান তারা।

সোমবার রাতে একই ভাবে বাড়িতে প্রবেশ করেন তারা। ওই সময় আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। ছেলের  বউ আর মেয়ে বাড়িতে ছিল। ওই সময় তারা ভয় পেয়ে নিচে তালা দিয়ে উপরের ঘরে চলে যান। পরে ফোন করলে,আমি জানতে পারি। এ খবরে আমরা বাড়ির দিকে রওনা করি। পরে তারা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যান।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানায় মামলা করতে গিয়ে ছিলাম। ওসি সাহেব না থাকায় করা হয়নি। সন্ধ্যা বেলায় আমাদের যেতে বলেছেন। জানা যায়, অলিয়ার রহমান ছিলেন গান্না সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। বর্তমানে তিনি কোটচাঁদপুর টিআইসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গুড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সহউপপরিদর্শক রাজন হোসেন বলেন, ওই সময় আমরা পাশের একটা মাহফিলে ডিউটি করছিলাম।

স্থানীয় মানুষের মুখে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পোটকা বিস্ফোরণের পর যা পড়ে থাকে,ওই ধরনের কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়। তবে ওগুলো বোমা বা ককটেল ছিল না।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মঈন উদ্দিন বলেন,গেল ২৭ তারিখে তাদের কাছে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ৫ হাজার ১শ টাকা নিয়ে যান। ওই সময় তারা আমাদেরকে জানাননি। এছাড়া পাশের পুলিশ ফাঁড়ির কাউকেও অবহিত করেননি তারা। সোমবার রাতে আবার ওই ঘটনা। ঘটনাটির মধ্যে অন্য কিছু আছে বলে আমার মনে হচ্ছে। এটা কোন পারিবারিক ঝামেলার কারনে হতে পারে।

বিষয়টি আমি এসপি স্যারকে বলেছি। বাকিটা খোজ খবর নিয়ে দেখছি প্রকৃত ঘটনা কি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোটচাঁদপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।