ঢাকা ১১:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
দুর্গাপুরে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা ব্রিস্টল বাংলাদেশি ক্রিকেট ক্লাবের ঐতিহাসিক অর্জন ও ২০ বছরের গৌরবময় যাত্রা টাইফয়েড টিকা নিরাপদ ও হালাল: গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান কোটচাঁদপুরে বাওড়ে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃ/ত্যু,চিকিৎসাধীন দুই শিশু রেলওয়ে সেকশনের উপসহকারী প্রকৌশলী সড়ক দুর্ঘটনায় নি/হ/ত প্রবাসীদের কোটি টাকা আত্বসাতের অভিযোগে পালকপুত্র গ্রে/ফ/তা র কোটচাঁদপুরে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালন সিলেট রেলপথে অব্যবস্থা ও বৈষম্য: সংস্কার এখন সময়ের দাবি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয় ও সমর্থন নিশ্চিত করল ডিনেট কলেজ পর্যায়ে গুণী শিক্ষক সম্মাননা পেলেন মোছাম্মাৎ আমিনা বেগম

কোটচাঁদপুর প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে পড়েছে বাঁশের সাঁকো

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:০৬:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / ১৫২ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি
বৃষ্টির পানির প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে পড়েছে বাঁশের সাঁকোটি । সাঁকোটি দিয়ে এখন পারাপার করতে না পারায় চরম ভোগান্তিতে চিত্রা নদের দুই পাড়ের মানুষ। এ অবস্থার স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন ভূক্তভোগীরা। এ দৃশ্য দেখা গেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের বাজার ঘাঁট  সাঁকোর।
জানা যায়,ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ও একই জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার  কয়েকটি গ্রামের মানুষের মিলন ঘটিয়েছে চিত্র নদের উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি। যা ২০০৭ সালের দিকে দুই পাড়ের ৭ গ্রামের মানুষের স্বেচ্ছাশ্রম ও আর্থিক সহায়তায় সাঁকোটি নির্মাণ করেছিলেন। এ সব গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে ঝিনাইদহ সদরের গোপালপুর, হাজিডাঙ্গা, সুতি,মধুহাটি ও কোটচাঁদপুরের তালসার, ঘাগা,কুশনা।
সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়ায় ওই সব গ্রামগুলোর প্রায় ১০ হাজার মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। বন্ধ হয়েছে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর স্কুল,কলেজে আসা । বিঘ্নিত হচ্ছে ওই এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য তালসার বাজারে বিক্রি করতে আসা।
এতে করে তারাও পড়েছে চরম বিপাকে এমনটাই জানালেন,ওপারের সুতী গ্রামের স্বপন পুন্ডুরি।
তিনি বলেন,আমাদের এপার থেকে সাঁকো পার হয়ে ওপারে স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীরা পড়তে যান। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে যান ওপারে। গেল এক সপ্তাহ ধরে আমরা চরম বিপাকে আছি। বন্ধ হয়েছে ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া। প্রতি বছর আমাদের এ সমস্যায় পড়তে হয়।  এর একটা স্থায়ী সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
তালসার গ্রামের সাকোঁর পাড়ের মুদি দোকানি আসাদুল ইসলাম বলেন,অবিরাম বৃষ্টিতে গেল ১ সপ্তাহ ধরে সাকোঁতে উঠার রাস্তা ডুবে গেছে। তবে জেগে আছে সাঁকোটি। রাস্তা ডুবে থাকায় বে- কায়কায় পড়েছেন ওই পারের ৭ গ্রামের মানুষ। পার হয়ে স্কুল,কলেজে আসতে পারছে না  অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।
কৃষকরা তাদের পণ্য বিক্রি করতে আসতে পারছে না।
তিনি বলেন, সাঁকোটি নির্মানের পর বেশ কয়েক বার ভেঙে পড়েছে, তা আমরা দুই পারের মানুষের স্বেচ্ছা মেরামত করা হয়। এভাবে প্রতি বছর আমাদের কে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাঁকোটি নিয়ে। এ সমস্যার  একটা স্থায়ী সমাধানের জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ওই মুদি দোকানি।
ওই গ্রামের আকিমুল ইসলাম সাজু বলেন, গেল বছর পানির প্রবল স্রোতে সাঁকোটি ভেঙে পড়ে। আর তা পড়ে থাকে মাসেরও উপরে। দুই পারের চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে ধর্না ধরেও কোন লাভ হয়নি। পরে আবারও দুই পারের মানুষের সহায়তায় মেরামত করা হয় সাঁকোটি। তিনিও এর স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে কুশনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুজ্জামান সবুজ বলেন,বৃষ্টির সময় এলেই সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়ে। এটা চিত্রা পাড়ের মানুষের প্রতি বছরের একটা ভোগান্তি। এ  বিষয়টি নিয়ে এর আগে অনেক বার কথা বলেছি। তবে তেমন সাঁড়া মেলেনি। এ বছর আবারও সাঁকোটি নিয়ে উদ্ধোতন কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো,যেন এর একটা স্থানী সমাধান হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আনিসুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে যোগাযোগ করা হয়। তবে কল রিসিভ না করায় মনে নেয়া সম্ভব হয়নি।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটচাঁদপুর প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে পড়েছে বাঁশের সাঁকো

আপডেট সময় ০৮:০৬:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি
বৃষ্টির পানির প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে পড়েছে বাঁশের সাঁকোটি । সাঁকোটি দিয়ে এখন পারাপার করতে না পারায় চরম ভোগান্তিতে চিত্রা নদের দুই পাড়ের মানুষ। এ অবস্থার স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন ভূক্তভোগীরা। এ দৃশ্য দেখা গেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের বাজার ঘাঁট  সাঁকোর।
জানা যায়,ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ও একই জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার  কয়েকটি গ্রামের মানুষের মিলন ঘটিয়েছে চিত্র নদের উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি। যা ২০০৭ সালের দিকে দুই পাড়ের ৭ গ্রামের মানুষের স্বেচ্ছাশ্রম ও আর্থিক সহায়তায় সাঁকোটি নির্মাণ করেছিলেন। এ সব গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে ঝিনাইদহ সদরের গোপালপুর, হাজিডাঙ্গা, সুতি,মধুহাটি ও কোটচাঁদপুরের তালসার, ঘাগা,কুশনা।
সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়ায় ওই সব গ্রামগুলোর প্রায় ১০ হাজার মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। বন্ধ হয়েছে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর স্কুল,কলেজে আসা । বিঘ্নিত হচ্ছে ওই এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য তালসার বাজারে বিক্রি করতে আসা।
এতে করে তারাও পড়েছে চরম বিপাকে এমনটাই জানালেন,ওপারের সুতী গ্রামের স্বপন পুন্ডুরি।
তিনি বলেন,আমাদের এপার থেকে সাঁকো পার হয়ে ওপারে স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীরা পড়তে যান। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে যান ওপারে। গেল এক সপ্তাহ ধরে আমরা চরম বিপাকে আছি। বন্ধ হয়েছে ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া। প্রতি বছর আমাদের এ সমস্যায় পড়তে হয়।  এর একটা স্থায়ী সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
তালসার গ্রামের সাকোঁর পাড়ের মুদি দোকানি আসাদুল ইসলাম বলেন,অবিরাম বৃষ্টিতে গেল ১ সপ্তাহ ধরে সাকোঁতে উঠার রাস্তা ডুবে গেছে। তবে জেগে আছে সাঁকোটি। রাস্তা ডুবে থাকায় বে- কায়কায় পড়েছেন ওই পারের ৭ গ্রামের মানুষ। পার হয়ে স্কুল,কলেজে আসতে পারছে না  অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।
কৃষকরা তাদের পণ্য বিক্রি করতে আসতে পারছে না।
তিনি বলেন, সাঁকোটি নির্মানের পর বেশ কয়েক বার ভেঙে পড়েছে, তা আমরা দুই পারের মানুষের স্বেচ্ছা মেরামত করা হয়। এভাবে প্রতি বছর আমাদের কে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাঁকোটি নিয়ে। এ সমস্যার  একটা স্থায়ী সমাধানের জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ওই মুদি দোকানি।
ওই গ্রামের আকিমুল ইসলাম সাজু বলেন, গেল বছর পানির প্রবল স্রোতে সাঁকোটি ভেঙে পড়ে। আর তা পড়ে থাকে মাসেরও উপরে। দুই পারের চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে ধর্না ধরেও কোন লাভ হয়নি। পরে আবারও দুই পারের মানুষের সহায়তায় মেরামত করা হয় সাঁকোটি। তিনিও এর স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে কুশনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুজ্জামান সবুজ বলেন,বৃষ্টির সময় এলেই সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়ে। এটা চিত্রা পাড়ের মানুষের প্রতি বছরের একটা ভোগান্তি। এ  বিষয়টি নিয়ে এর আগে অনেক বার কথা বলেছি। তবে তেমন সাঁড়া মেলেনি। এ বছর আবারও সাঁকোটি নিয়ে উদ্ধোতন কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো,যেন এর একটা স্থানী সমাধান হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আনিসুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে যোগাযোগ করা হয়। তবে কল রিসিভ না করায় মনে নেয়া সম্ভব হয়নি।