ঢাকা ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টে পর্যটন উন্নয়নের দক্ষতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত বড়লেখায় ১৭ মিয়ানমারের নাগরিকসহ ১৮ জনকে বিএসএফ’র পুশইন মৌলভীবাজারে স্বেচ্ছাসেবক নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামী গ্রে/ফ/তা র বিএনপির কমিটিতে আওয়ামীলীগের সুবিধাভোগীরা স্থান পাওয়ায় কুলাউড়ায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল জুড়ীতে লতিফিয়া কারী সোসাইটির কাউন্সিল সম্পন্ন মৌলভীবাজার,কামালপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা শ্রীমঙ্গল পুলিশ ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের মৃ ত্যু বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এম নাসের রহমানের শ্রদ্ধা নিবেদন

কোন দিন ভাবছিলাম না, আমার নিজের একটা ঘর হইবো

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৩৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ৪৬৭ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ কোন দিন ভাবছিলাম না, আমার নিজের একটা ঘর হইবো। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরন হল। মুজিব শতবর্ষে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহারের ঘরের জমিসহ দলিল হাতে পেয়ে এ কথা বলেন স্বামী পরিত্যক্তা রোকেয়া খাতুন (৫০)। সে কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারি গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়,ছোট বেলায় কাগমারি গ্রামের পাশের পাড়ার ফজলুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় রোকেয়া বেগমের। বিয়ের পর, পরের জায়গায় ঘর করে থাকতাম। কোন জায়গায় জমি ছিল না স্বামীরও। পেশায় তিনি ছিলেন দিন মুজুর। পরের জমিতে কাজ করে চলে জীবিকা। সংসার জীবনে দুইটি কণ্যা সন্তানের জননী সে। পরে ফজলুর রহমান তাকে ফেলে রেখে চলে যান। ওই সময় কঠিন দিন আসে রোকেয়ার জীবনে।

আবারও দুই কণ্যা সন্তান কে নিয়ে ফিরে আসেন বাপের ভিটায়। সে থেকে আজ পর্যন্ত লড়াই ওই দুই মেয়েকে নিয়ে।

রোকেয়া বেগম বলেন,এর আগে কাগমারি গ্রামের অনেকে এ ঘর পেযেছেন। আমারো স্বপ্ন ছিল। আমি যদি একটা ঘর পেতাম। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরন হল প্রধানমন্ত্রীর এ ঘর পেয়ে। আমার দীর্ঘ দিনের আশা আজ পুরন হয়েছে। এ উপহার পেয়ে আমি আজ খুব খুশি হয়েছি।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলায় মুজিব শতবর্ষের উপহারের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর পেয়েছিলেন ৮২ টি পরিবার। তৃতীয় পর্যায়ে এ ঘর পাচ্ছেন ৯৭ টি পরিবার।
যার মধ্যে মঙ্গলবার ১৪ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে জমি সহ ঘরের দলিল বুঝিয়ে দেন উপজেলা প্রশাসন। এরমধ্যে রয়েছে রোকেয়া বেগমে স্বপ্নের ঘরটিও। যা পেয়ে খুশি আজ রোকেয়া।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোন দিন ভাবছিলাম না, আমার নিজের একটা ঘর হইবো

আপডেট সময় ১১:৩৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ কোন দিন ভাবছিলাম না, আমার নিজের একটা ঘর হইবো। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরন হল। মুজিব শতবর্ষে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহারের ঘরের জমিসহ দলিল হাতে পেয়ে এ কথা বলেন স্বামী পরিত্যক্তা রোকেয়া খাতুন (৫০)। সে কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারি গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়,ছোট বেলায় কাগমারি গ্রামের পাশের পাড়ার ফজলুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় রোকেয়া বেগমের। বিয়ের পর, পরের জায়গায় ঘর করে থাকতাম। কোন জায়গায় জমি ছিল না স্বামীরও। পেশায় তিনি ছিলেন দিন মুজুর। পরের জমিতে কাজ করে চলে জীবিকা। সংসার জীবনে দুইটি কণ্যা সন্তানের জননী সে। পরে ফজলুর রহমান তাকে ফেলে রেখে চলে যান। ওই সময় কঠিন দিন আসে রোকেয়ার জীবনে।

আবারও দুই কণ্যা সন্তান কে নিয়ে ফিরে আসেন বাপের ভিটায়। সে থেকে আজ পর্যন্ত লড়াই ওই দুই মেয়েকে নিয়ে।

রোকেয়া বেগম বলেন,এর আগে কাগমারি গ্রামের অনেকে এ ঘর পেযেছেন। আমারো স্বপ্ন ছিল। আমি যদি একটা ঘর পেতাম। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরন হল প্রধানমন্ত্রীর এ ঘর পেয়ে। আমার দীর্ঘ দিনের আশা আজ পুরন হয়েছে। এ উপহার পেয়ে আমি আজ খুব খুশি হয়েছি।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলায় মুজিব শতবর্ষের উপহারের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর পেয়েছিলেন ৮২ টি পরিবার। তৃতীয় পর্যায়ে এ ঘর পাচ্ছেন ৯৭ টি পরিবার।
যার মধ্যে মঙ্গলবার ১৪ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে জমি সহ ঘরের দলিল বুঝিয়ে দেন উপজেলা প্রশাসন। এরমধ্যে রয়েছে রোকেয়া বেগমে স্বপ্নের ঘরটিও। যা পেয়ে খুশি আজ রোকেয়া।