ঢাকা ১০:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
জুড়ীতে বন্যার পানিতে পড়ে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃ ত্যু এপ্রিলের প্রথমার্ধে যেকোনো দিন নির্বাচন -প্রধান উপদেষ্টা স্বস্তির ঈদ যাত্রায় সন্তুষ্ট সিলেটবাসি পানি বন্দি মানুয়ের মাঝে চাউল বিতরণ জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান ঈদ উদযাপন করবেন কুলাউড়ায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় মৌলভীবাজারে মৌলভীবাজারে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আযহা বৈরী আবহাওয়াতেও জমে উঠেছে মৌলভীবাজারের কোরবানির হাট হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রহ:) পৌর ঈদগাহে ৩ টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে তারেক জিয়া পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহবায়ক মান্না, সদস্য সচিব শাকিব নির্বাচিত হাসিনার দু:শাসনে সরকারের সব প্রতিষ্ঠান সর্বনাশ করে দিয়ে গেছে – সাবেক এমপি এম নাসের রহমান

কোন দিন ভাবছিলাম না, আমার নিজের একটা ঘর হইবো

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৩৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ কোন দিন ভাবছিলাম না, আমার নিজের একটা ঘর হইবো। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরন হল। মুজিব শতবর্ষে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহারের ঘরের জমিসহ দলিল হাতে পেয়ে এ কথা বলেন স্বামী পরিত্যক্তা রোকেয়া খাতুন (৫০)। সে কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারি গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়,ছোট বেলায় কাগমারি গ্রামের পাশের পাড়ার ফজলুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় রোকেয়া বেগমের। বিয়ের পর, পরের জায়গায় ঘর করে থাকতাম। কোন জায়গায় জমি ছিল না স্বামীরও। পেশায় তিনি ছিলেন দিন মুজুর। পরের জমিতে কাজ করে চলে জীবিকা। সংসার জীবনে দুইটি কণ্যা সন্তানের জননী সে। পরে ফজলুর রহমান তাকে ফেলে রেখে চলে যান। ওই সময় কঠিন দিন আসে রোকেয়ার জীবনে।

আবারও দুই কণ্যা সন্তান কে নিয়ে ফিরে আসেন বাপের ভিটায়। সে থেকে আজ পর্যন্ত লড়াই ওই দুই মেয়েকে নিয়ে।

রোকেয়া বেগম বলেন,এর আগে কাগমারি গ্রামের অনেকে এ ঘর পেযেছেন। আমারো স্বপ্ন ছিল। আমি যদি একটা ঘর পেতাম। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরন হল প্রধানমন্ত্রীর এ ঘর পেয়ে। আমার দীর্ঘ দিনের আশা আজ পুরন হয়েছে। এ উপহার পেয়ে আমি আজ খুব খুশি হয়েছি।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলায় মুজিব শতবর্ষের উপহারের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর পেয়েছিলেন ৮২ টি পরিবার। তৃতীয় পর্যায়ে এ ঘর পাচ্ছেন ৯৭ টি পরিবার।
যার মধ্যে মঙ্গলবার ১৪ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে জমি সহ ঘরের দলিল বুঝিয়ে দেন উপজেলা প্রশাসন। এরমধ্যে রয়েছে রোকেয়া বেগমে স্বপ্নের ঘরটিও। যা পেয়ে খুশি আজ রোকেয়া।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোন দিন ভাবছিলাম না, আমার নিজের একটা ঘর হইবো

আপডেট সময় ১১:৩৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ কোন দিন ভাবছিলাম না, আমার নিজের একটা ঘর হইবো। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরন হল। মুজিব শতবর্ষে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহারের ঘরের জমিসহ দলিল হাতে পেয়ে এ কথা বলেন স্বামী পরিত্যক্তা রোকেয়া খাতুন (৫০)। সে কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারি গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়,ছোট বেলায় কাগমারি গ্রামের পাশের পাড়ার ফজলুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় রোকেয়া বেগমের। বিয়ের পর, পরের জায়গায় ঘর করে থাকতাম। কোন জায়গায় জমি ছিল না স্বামীরও। পেশায় তিনি ছিলেন দিন মুজুর। পরের জমিতে কাজ করে চলে জীবিকা। সংসার জীবনে দুইটি কণ্যা সন্তানের জননী সে। পরে ফজলুর রহমান তাকে ফেলে রেখে চলে যান। ওই সময় কঠিন দিন আসে রোকেয়ার জীবনে।

আবারও দুই কণ্যা সন্তান কে নিয়ে ফিরে আসেন বাপের ভিটায়। সে থেকে আজ পর্যন্ত লড়াই ওই দুই মেয়েকে নিয়ে।

রোকেয়া বেগম বলেন,এর আগে কাগমারি গ্রামের অনেকে এ ঘর পেযেছেন। আমারো স্বপ্ন ছিল। আমি যদি একটা ঘর পেতাম। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরন হল প্রধানমন্ত্রীর এ ঘর পেয়ে। আমার দীর্ঘ দিনের আশা আজ পুরন হয়েছে। এ উপহার পেয়ে আমি আজ খুব খুশি হয়েছি।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলায় মুজিব শতবর্ষের উপহারের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর পেয়েছিলেন ৮২ টি পরিবার। তৃতীয় পর্যায়ে এ ঘর পাচ্ছেন ৯৭ টি পরিবার।
যার মধ্যে মঙ্গলবার ১৪ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে জমি সহ ঘরের দলিল বুঝিয়ে দেন উপজেলা প্রশাসন। এরমধ্যে রয়েছে রোকেয়া বেগমে স্বপ্নের ঘরটিও। যা পেয়ে খুশি আজ রোকেয়া।