ঢাকা ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ

ইতিহাসে অংশ হয়ে থাকা এমন একটি বাড়ি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৫০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৫২৪ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  সামনে ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে। শহর জেলা উপজেলা এমনকি দেশের যেকোনো স্থানে সহজে যাওয়া আসা যায় এখান থেকে। শহরের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রায় ৩ একর ৩৩ শতক জমির ওপর দাঁড়িয়ে আছে বিশাল একটি বাড়ি। সামনে বড় পুকুর। পুরনো করাতকল। আছে ফ্ল্যাগের স্ট্যন্ড, পুরনো আমলের বাংলাঘর। যেখানে পদধুলি পড়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ অংসখ্য গুণী ব্যক্তির । একসময় ঢাকা থেকে রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী যে কেউ মৌলভীবাজারে আসলে খেয়ে যেতেন মহসিন ভাইয়ের ডাল ভাত। রমজানের শেষ দশদিনে তো পুরো বাড়ি যেন অভাবি মানুষের এক বিশাল হাট। পাখির মতো কল কাকলি আর কোলাহল কিচিরমিচির। দীর্ঘ লাইন আর ঠাঁসাঠাঁসি ভিড়। যাকাত ফিতরা আর সাহায্য নিতে আসতেন দূরদূরান্ত থেকে। এমন কাউকেই তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। বিলিয়ে দিতেন নিজ হাতে ধানচাল টাকাকড়ি। বলছি মৌলভীবাজার শহরের প্রখ্যাত ওলি হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র)’র বংশধর প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী ও তার বাড়ির কথা ।

অথচ ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকা এমন একটি বাড়ি এখন যেন নেই কোনো সরব উপস্থিতি। নেই কোলাহল, ভিড়। সর্বত্র পিনপতন নীরবতা। শনিবার দুপুরে শহরের দর্জির মহলে সৈয়দ মহসিন আলীর পৈত্রিক নিবাস ‘মন্ত্রী বাড়ি’তে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

বারান্দার দীর্ঘদিনের চেনা চেয়ারগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। নেই সাড়াশব্দ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া গেল দীর্ঘ দিনের পুরনো কাজের লোক সুন্দর অলীকে (৫০)। জানালেন মন্ত্রী নেই এখন আর তেমন কেউ আসেন না। বাড়ির এমন অবস্থা বরাবরের।

সুন্দর আলী জানালেন, “২৭ বছর অইছে অবাড়িত আছি। মন্ত্রী থাকতে কতো মানুষ আইতা। খালি মিটিং আর মিটিং। বাড়ি নয়, আছিল আওয়ামী লীগ অফিস। বাবুর্চি আইয়া রান্ধিয়া বাড়িয়া দিতো। সকাল বিকাল রাইত পর্যন্ত খাওয়া-দাওয়া, গান বাজনা চলত। কত কিছু। হেরা অনেকরেই এখন আর তেমন দেখি না”।

মিনিট দশেক পর লোক দিয়ে ডেকে পেলাম প্রয়াত মন্ত্রীর ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের তৃতীয় যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ নওশের আলী খোকনকে। যেন বাড়িতে অলস সময় কাটাচ্ছেন।

আলাপচারিতায় জানালেন, ভাবি আর ভাইয়ের ৩ মেয়ে এখন ঢাকায় থাকেন। বাড়ির শূন্যতার বিষয়ে হতাশার সুরে বলেন, সমাজে চায় পাওয়ার আর পদ। বড়ভাই (মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী) মারা যাওয়ার পর আমরা এখন টের পাচ্ছি।

ভাবি (সাবেক এমপি সৈয়দা সায়রা মহসিন) এমপি থাকাকালেও রাজনীতিতে আমাদের ভালো একটা অবস্থান ছিল। ছিল ভারসাম্য। কিন্ত ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রথমে ভাবীর নাম ঘোষনার পরও মনোনয়ন নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে রাজনৈতিকভাবে আমরা কোনঠাঁসা।

অল্পক্ষণ পরেই আসলেন মধ্যবয়সী কয়েক হতদরিদ্র মহিলা। তাদের মধ্যে কয়েকজন সোজা গিয়ে বসলেন বারাদ্দায়। অতিথিদের জন্য রাখা চেয়ারে।যেখানে সৈয়দ মহসিন আলী দূরদূরান্ত থেকে আসা লোকদের নিয়ে বসতেন।মানুষের সুখ দুঃখের কথা শুনতেন।

জিজ্ঞেস করতেই সাফ কথা, “মন্ত্রী থাকতে অউ আমরা অউ চিয়ারে বইছি”।

তাদের একজন করফুল বেগম (৫০) এসেছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলায় মির্জাপুর থেকে। জানালেন, তাইন ( মন্ত্রী) আমারে পুড়ি( মেয়ে) বানাইছিলা। মাসে মাসে মানুষ পাঠাইয়া খোঁজখবর লইতা । বাচ্ছাদের বাবা অসুস্থ অইলে নিজে ( মন্ত্রী) সিলেট পাঠাইয়া চিকিৎসা করাইছইন ।সব সময় সায়সাহায্য মিলতো । এখন আর মিলে না”।

প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলী ছিলেন মৌলভীবাজার জেলায় আওয়ামী পরিবারের এক বটবৃক্ষ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা প্রয়াত প্রাদেশিক পরিষদ ও কন্সটিটিউয়েন্সি এস্যাম্বির মেম্বার সাবেক এমপি ও বিরোধী দলের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আজিজুল রহমানের হাতে গড়া আওয়ামী লীগের কর্মী।আজিজুর রহমান পার্লামেন্টে থাকলে সব সামলে নিতেন সৈয়দ মহসিন আলী, জানালেন দলীয় নেতারা।

ছাত্রলীগের নেতা থাকাবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে যান সৈয়দ মহসিন আলী। স্বাধীনতাত্তোর ৭৬-৭৭ সালে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও ১৯৯৮-৯৯ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন ।

১৯৮১ সাল থেকে টানা ৩ বার ছিলেন মৌলভীবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে সদর রাজনগর আসনের এমপি নির্বাচিত হন। সেই নির্বাচনে তৎকালীন বিএনপির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানকে হারিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনায় আসেন সৈয়দ মহসিন আলী। ২০১৪ সালে আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচির হলে মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। দায়িত্ব পান সমজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের।

মৌলভীবাজার জেলায় আওয়ামী লীগ সরকারের তিনি ই প্রথম পূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৫ সালে হঠাৎ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত নেওয়া হয়। ১১ সেপ্টেম্বর সেখানেই তিনি মারা যান।

মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এক সময়ের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুর রহমান বাবুলসহ তার অনুসারীরা মনে করেন মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সৈয়দ মহসিন আলীর অবদান বলে শেষ করা যাবে না। সংগঠনের জান্য তিনি যে অর্থ সম্পদ শ্রম আর ঘাম ঝরিয়েছেন সে ঋণ শোধ হবার নয়। মরহুম এই মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি আর ইতিহাসের সাক্ষী ‘মন্ত্রিবাড়ি’র ঐতিহ্যে ধরে রাখতে তার পরিবারে যেকোনো একটি দায়িত্ব দেওয়া প্রয়োজন সেটা এখন সময়ের দাবি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ইতিহাসে অংশ হয়ে থাকা এমন একটি বাড়ি

আপডেট সময় ০৩:৫০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  সামনে ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে। শহর জেলা উপজেলা এমনকি দেশের যেকোনো স্থানে সহজে যাওয়া আসা যায় এখান থেকে। শহরের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রায় ৩ একর ৩৩ শতক জমির ওপর দাঁড়িয়ে আছে বিশাল একটি বাড়ি। সামনে বড় পুকুর। পুরনো করাতকল। আছে ফ্ল্যাগের স্ট্যন্ড, পুরনো আমলের বাংলাঘর। যেখানে পদধুলি পড়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ অংসখ্য গুণী ব্যক্তির । একসময় ঢাকা থেকে রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী যে কেউ মৌলভীবাজারে আসলে খেয়ে যেতেন মহসিন ভাইয়ের ডাল ভাত। রমজানের শেষ দশদিনে তো পুরো বাড়ি যেন অভাবি মানুষের এক বিশাল হাট। পাখির মতো কল কাকলি আর কোলাহল কিচিরমিচির। দীর্ঘ লাইন আর ঠাঁসাঠাঁসি ভিড়। যাকাত ফিতরা আর সাহায্য নিতে আসতেন দূরদূরান্ত থেকে। এমন কাউকেই তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। বিলিয়ে দিতেন নিজ হাতে ধানচাল টাকাকড়ি। বলছি মৌলভীবাজার শহরের প্রখ্যাত ওলি হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র)’র বংশধর প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী ও তার বাড়ির কথা ।

অথচ ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকা এমন একটি বাড়ি এখন যেন নেই কোনো সরব উপস্থিতি। নেই কোলাহল, ভিড়। সর্বত্র পিনপতন নীরবতা। শনিবার দুপুরে শহরের দর্জির মহলে সৈয়দ মহসিন আলীর পৈত্রিক নিবাস ‘মন্ত্রী বাড়ি’তে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

বারান্দার দীর্ঘদিনের চেনা চেয়ারগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। নেই সাড়াশব্দ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া গেল দীর্ঘ দিনের পুরনো কাজের লোক সুন্দর অলীকে (৫০)। জানালেন মন্ত্রী নেই এখন আর তেমন কেউ আসেন না। বাড়ির এমন অবস্থা বরাবরের।

সুন্দর আলী জানালেন, “২৭ বছর অইছে অবাড়িত আছি। মন্ত্রী থাকতে কতো মানুষ আইতা। খালি মিটিং আর মিটিং। বাড়ি নয়, আছিল আওয়ামী লীগ অফিস। বাবুর্চি আইয়া রান্ধিয়া বাড়িয়া দিতো। সকাল বিকাল রাইত পর্যন্ত খাওয়া-দাওয়া, গান বাজনা চলত। কত কিছু। হেরা অনেকরেই এখন আর তেমন দেখি না”।

মিনিট দশেক পর লোক দিয়ে ডেকে পেলাম প্রয়াত মন্ত্রীর ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের তৃতীয় যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ নওশের আলী খোকনকে। যেন বাড়িতে অলস সময় কাটাচ্ছেন।

আলাপচারিতায় জানালেন, ভাবি আর ভাইয়ের ৩ মেয়ে এখন ঢাকায় থাকেন। বাড়ির শূন্যতার বিষয়ে হতাশার সুরে বলেন, সমাজে চায় পাওয়ার আর পদ। বড়ভাই (মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী) মারা যাওয়ার পর আমরা এখন টের পাচ্ছি।

ভাবি (সাবেক এমপি সৈয়দা সায়রা মহসিন) এমপি থাকাকালেও রাজনীতিতে আমাদের ভালো একটা অবস্থান ছিল। ছিল ভারসাম্য। কিন্ত ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রথমে ভাবীর নাম ঘোষনার পরও মনোনয়ন নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে রাজনৈতিকভাবে আমরা কোনঠাঁসা।

অল্পক্ষণ পরেই আসলেন মধ্যবয়সী কয়েক হতদরিদ্র মহিলা। তাদের মধ্যে কয়েকজন সোজা গিয়ে বসলেন বারাদ্দায়। অতিথিদের জন্য রাখা চেয়ারে।যেখানে সৈয়দ মহসিন আলী দূরদূরান্ত থেকে আসা লোকদের নিয়ে বসতেন।মানুষের সুখ দুঃখের কথা শুনতেন।

জিজ্ঞেস করতেই সাফ কথা, “মন্ত্রী থাকতে অউ আমরা অউ চিয়ারে বইছি”।

তাদের একজন করফুল বেগম (৫০) এসেছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলায় মির্জাপুর থেকে। জানালেন, তাইন ( মন্ত্রী) আমারে পুড়ি( মেয়ে) বানাইছিলা। মাসে মাসে মানুষ পাঠাইয়া খোঁজখবর লইতা । বাচ্ছাদের বাবা অসুস্থ অইলে নিজে ( মন্ত্রী) সিলেট পাঠাইয়া চিকিৎসা করাইছইন ।সব সময় সায়সাহায্য মিলতো । এখন আর মিলে না”।

প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলী ছিলেন মৌলভীবাজার জেলায় আওয়ামী পরিবারের এক বটবৃক্ষ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা প্রয়াত প্রাদেশিক পরিষদ ও কন্সটিটিউয়েন্সি এস্যাম্বির মেম্বার সাবেক এমপি ও বিরোধী দলের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আজিজুল রহমানের হাতে গড়া আওয়ামী লীগের কর্মী।আজিজুর রহমান পার্লামেন্টে থাকলে সব সামলে নিতেন সৈয়দ মহসিন আলী, জানালেন দলীয় নেতারা।

ছাত্রলীগের নেতা থাকাবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে যান সৈয়দ মহসিন আলী। স্বাধীনতাত্তোর ৭৬-৭৭ সালে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও ১৯৯৮-৯৯ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন ।

১৯৮১ সাল থেকে টানা ৩ বার ছিলেন মৌলভীবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে সদর রাজনগর আসনের এমপি নির্বাচিত হন। সেই নির্বাচনে তৎকালীন বিএনপির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানকে হারিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনায় আসেন সৈয়দ মহসিন আলী। ২০১৪ সালে আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচির হলে মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। দায়িত্ব পান সমজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের।

মৌলভীবাজার জেলায় আওয়ামী লীগ সরকারের তিনি ই প্রথম পূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৫ সালে হঠাৎ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত নেওয়া হয়। ১১ সেপ্টেম্বর সেখানেই তিনি মারা যান।

মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এক সময়ের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুর রহমান বাবুলসহ তার অনুসারীরা মনে করেন মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সৈয়দ মহসিন আলীর অবদান বলে শেষ করা যাবে না। সংগঠনের জান্য তিনি যে অর্থ সম্পদ শ্রম আর ঘাম ঝরিয়েছেন সে ঋণ শোধ হবার নয়। মরহুম এই মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি আর ইতিহাসের সাক্ষী ‘মন্ত্রিবাড়ি’র ঐতিহ্যে ধরে রাখতে তার পরিবারে যেকোনো একটি দায়িত্ব দেওয়া প্রয়োজন সেটা এখন সময়ের দাবি।