ঢাকা ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
শ্রীমঙ্গল ২৩ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএস মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৮ জনকে পুশইন করলো বিএসএফ  আসামিকে জামিনের প্রলোভনে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক গ্রে/ফ/তা/র ইউএনডিপির স্টোরি টেলিং অ্যাওয়ার্ড জিতলেন মৌলভীবাজারের সিপন দেব গ্রীন মৌলভীবাজার গড়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের ১ লক্ষ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি ATN বাংলা ইউকে প্রতিদিন হলেন মৌলভীবাজার শাওন মৌলভীবাজার সড়ক দু/র্ঘ/ট/না/য় পৌরসভার কর্মচারী নি/হ/ত ৪৪তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে প্রথমস্থান অর্জন করেছে জুড়ীর ছেলে কুলাউড়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের নতুন নেতৃত্বে পারভেজ ও সুমন ৩৬ দিন ব্যাপি নানা কর্মসূচী মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে জুলাই বিপ্লবের স্থির চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন

গাঁদা ফুলের চাষ করে বে-কায়দায় কোটচাঁদপুরের কৃষক মিলন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৩১:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / ৭০ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ গাঁদা ফুলের চাষ করে বে-কায়দায় পড়েছেন কোটচাঁদপুরের চাষিরা। দাম না পেয়ে জমির পাশেই ফুল তুলে ফেলছেন তারা। সেখানেই পচে নস্ট হচ্ছে চাষির স্বপ্ন। চাহিদা কম থাকায় দামও কম বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন।

জানা যায়, ৫ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌর সভা নিয়ে কোটচাঁদপুর। এ উপজেলায় কম বেশি সর্বত্রই গাঁদা ফুলের চাষ হয়ে থাকে। তবে সব থেকে বেশি চাষ হয় কুশনা ইউনিয়নে। এ বছর ৪৫ হেক্টর জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ হয়েছে। এ বছর ঊপজেলা জুড়ে ফুল ভাল হয়েছে, তবে কোন সময় ভাল দাম পাননি বলে জানিয়েছেন চাষিরা। এমনকি খরচের টাকা উঠা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছেন তাদের মধ্যে।

তাদেরই একজন নারায়ণ বাড়িয়া গ্রামের ফুল চাষি মিলন খান। তিনিবলেন,গেল ১২/১৫ বছর ধরে আমি গাঁদা ফুলের চাষ করে আসছি। এ বছরও ২ বিঘা জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ রয়েছে। চাষ করতে এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। যা উঠার কোন লক্ষন দেখছি না। তারপরও সামনে দিনে যদি ভাল দাম পাওয়া যায়, সেই আশায় গাছ বাঁচানোর স্বার্থে গাছে থেকে ফুল তুলে ফেলে দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন,এ মাঠে আমার মত আরো চাষি রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আমিরুল ইসলাম খান,মোঃ হান্নানখান,ও আব্দুল মালেক মল্লিক।

তাদেরও একই অবস্থা। তারাও দাম না পেয়ে গাছ বাঁচাতে গাছ থেকে ফুল তুলে ফেলে দিচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন,সারা মৌসুমে যদি আমরা ফুল বিক্রি করতে পারতাম তাহলে ২/৩ লাখ টাকা বেচা সম্ভব হত। ভাল লাভ হত।ফুল বিক্রি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা  জমি থেকে ফুল তুলে ঝোপা গাঁথি। এরপর তা ঢাকাগামী বাসে তুলে দিতাম শাহবাহ মার্কেটে জন্য। তারা বেচা-কেনা করে ওনারা বিকাশ অথবা ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেন।
চাষি মিলন খান বলেন,আমার চাষ জীবনে এই প্রথম বড় ধরনের লোকসান হল ফুলে। যা সামনের দিনে পোশানে সম্ভব না বলে মনে করেন তিনি।

কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন,এ উপজেলা সব ইউনিয়ন কম-বেশি ফুলের চাষ হয়ে থাকে। তবে কুশনা ইউনিয়নে গাঁদা ফুলের চাষ বেশি হয়। এ বছর কোটচাঁদপুরে ৪৫ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়েছে।
তিনি বলেন, ফুলের প্রকৃত মৌসুম জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাস। ওই সময় ফুল উঠলে চাষী দাম ভালো পায়। কারণ সে সময় ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। এখন হয়তো বাজারে ফুলের চাহিদা  কম। সে কারণে ফুলের দাম কম বলে মনে করছেন ওই কর্মকর্তা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

গাঁদা ফুলের চাষ করে বে-কায়দায় কোটচাঁদপুরের কৃষক মিলন

আপডেট সময় ১২:৩১:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ গাঁদা ফুলের চাষ করে বে-কায়দায় পড়েছেন কোটচাঁদপুরের চাষিরা। দাম না পেয়ে জমির পাশেই ফুল তুলে ফেলছেন তারা। সেখানেই পচে নস্ট হচ্ছে চাষির স্বপ্ন। চাহিদা কম থাকায় দামও কম বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন।

জানা যায়, ৫ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌর সভা নিয়ে কোটচাঁদপুর। এ উপজেলায় কম বেশি সর্বত্রই গাঁদা ফুলের চাষ হয়ে থাকে। তবে সব থেকে বেশি চাষ হয় কুশনা ইউনিয়নে। এ বছর ৪৫ হেক্টর জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ হয়েছে। এ বছর ঊপজেলা জুড়ে ফুল ভাল হয়েছে, তবে কোন সময় ভাল দাম পাননি বলে জানিয়েছেন চাষিরা। এমনকি খরচের টাকা উঠা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছেন তাদের মধ্যে।

তাদেরই একজন নারায়ণ বাড়িয়া গ্রামের ফুল চাষি মিলন খান। তিনিবলেন,গেল ১২/১৫ বছর ধরে আমি গাঁদা ফুলের চাষ করে আসছি। এ বছরও ২ বিঘা জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ রয়েছে। চাষ করতে এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। যা উঠার কোন লক্ষন দেখছি না। তারপরও সামনে দিনে যদি ভাল দাম পাওয়া যায়, সেই আশায় গাছ বাঁচানোর স্বার্থে গাছে থেকে ফুল তুলে ফেলে দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন,এ মাঠে আমার মত আরো চাষি রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আমিরুল ইসলাম খান,মোঃ হান্নানখান,ও আব্দুল মালেক মল্লিক।

তাদেরও একই অবস্থা। তারাও দাম না পেয়ে গাছ বাঁচাতে গাছ থেকে ফুল তুলে ফেলে দিচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন,সারা মৌসুমে যদি আমরা ফুল বিক্রি করতে পারতাম তাহলে ২/৩ লাখ টাকা বেচা সম্ভব হত। ভাল লাভ হত।ফুল বিক্রি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা  জমি থেকে ফুল তুলে ঝোপা গাঁথি। এরপর তা ঢাকাগামী বাসে তুলে দিতাম শাহবাহ মার্কেটে জন্য। তারা বেচা-কেনা করে ওনারা বিকাশ অথবা ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেন।
চাষি মিলন খান বলেন,আমার চাষ জীবনে এই প্রথম বড় ধরনের লোকসান হল ফুলে। যা সামনের দিনে পোশানে সম্ভব না বলে মনে করেন তিনি।

কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন,এ উপজেলা সব ইউনিয়ন কম-বেশি ফুলের চাষ হয়ে থাকে। তবে কুশনা ইউনিয়নে গাঁদা ফুলের চাষ বেশি হয়। এ বছর কোটচাঁদপুরে ৪৫ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়েছে।
তিনি বলেন, ফুলের প্রকৃত মৌসুম জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাস। ওই সময় ফুল উঠলে চাষী দাম ভালো পায়। কারণ সে সময় ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। এখন হয়তো বাজারে ফুলের চাহিদা  কম। সে কারণে ফুলের দাম কম বলে মনে করছেন ওই কর্মকর্তা।