ঢাকা ০২:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২৬:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২
  • / ২৬১ বার পড়া হয়েছে

দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলনরত চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ৯ আগস্ট থেকে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি এবং পরে ১৩ আগস্ট অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন চা শ্রমিকরা।শ্রমিকদের টানা ধর্মঘটে স্থবির চা শিল্প।প্রশাসন থেকে শুরু করে চা শ্রমিক সংগঠনের নেতারা কয়েক দফায় চেষ্টা করেও শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে পারেননি।শ্রমিকদের সাফ কথা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ছাড়া তারা কাজে ফিরবেন না।

এদিকে ভরা মৌসুমে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের টানা ১৭ দিনের আন্দোলনের কারণে কয়েকশ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে চা শিল্পে। শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রথম দিকে সব চা বাগানে উত্তোলন করা কাঁচা চায়ের পাতা সময়মতো প্রক্রিয়াজাত করতে না পারায় পচে ও শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

এ ছাড়া চা প্ল্যান্টেশন এলাকা থেকে কচি চা পাতা তুলতে না পারায় সেগুলোও এক থেকে দেড় ফুট লম্বা হয়ে গেছে। এ পাতা চায়ের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব নয়।

চা শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা কাঞ্চন পাত্র জানান, আন্দোলনকে পুঁজি করে বিভিন্ন সংগঠন আসতে শুরু করেছে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী অতিদ্রুত বিষয়টি সমাধান করবেন। যদি দেরি হয় তবে চা শ্রমিকরা বিপথগামী হতে পারেন। তিনি বলেন, আগামীকাল (শনিবার) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আশা করা যায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে। তিনি নিশ্চয়ই একটা সমাধান দেবেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ১২:২৬:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২

দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলনরত চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ৯ আগস্ট থেকে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি এবং পরে ১৩ আগস্ট অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন চা শ্রমিকরা।শ্রমিকদের টানা ধর্মঘটে স্থবির চা শিল্প।প্রশাসন থেকে শুরু করে চা শ্রমিক সংগঠনের নেতারা কয়েক দফায় চেষ্টা করেও শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে পারেননি।শ্রমিকদের সাফ কথা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ছাড়া তারা কাজে ফিরবেন না।

এদিকে ভরা মৌসুমে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের টানা ১৭ দিনের আন্দোলনের কারণে কয়েকশ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে চা শিল্পে। শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রথম দিকে সব চা বাগানে উত্তোলন করা কাঁচা চায়ের পাতা সময়মতো প্রক্রিয়াজাত করতে না পারায় পচে ও শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

এ ছাড়া চা প্ল্যান্টেশন এলাকা থেকে কচি চা পাতা তুলতে না পারায় সেগুলোও এক থেকে দেড় ফুট লম্বা হয়ে গেছে। এ পাতা চায়ের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব নয়।

চা শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা কাঞ্চন পাত্র জানান, আন্দোলনকে পুঁজি করে বিভিন্ন সংগঠন আসতে শুরু করেছে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী অতিদ্রুত বিষয়টি সমাধান করবেন। যদি দেরি হয় তবে চা শ্রমিকরা বিপথগামী হতে পারেন। তিনি বলেন, আগামীকাল (শনিবার) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আশা করা যায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে। তিনি নিশ্চয়ই একটা সমাধান দেবেন।