ঢাকা ০১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৫২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৮১৫ বার পড়া হয়েছে

জুড়ী প্রতিনিধি;  মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করায় জেলা ছাত্রলীগকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল ও জেলা সভাপতি সম্পাদককে কটুক্তির প্রতিবাদে প্রতিবাদসভা করেছে উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

রবিবার বিকাল ৩ টার দিকে বড়লেখা শহরে মিছিল করে পিসি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পথসভা করে তারা।

এ সময়  আনন্দ মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে একজন  আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ নেতারা জানান, বেলা ২.৩০ ঘটিকার দিকে বড়লেখা পিসি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান সড়কের সম্মুখে এলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী ব্যাপক ধস্তাধস্তি-বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ জোর করে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পুলিশ ভ্যানে তুলতে টানাহেচড়া করে। এতে রোম্মান আহমদ নামে এক ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়েছেন।


পরে পি.সি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। প্রতিবাদসভায় বক্তারা বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। দীর্ঘদিন থেকে ছাত্রলীগের বড়লেখা উপজেলা শাখা, পৌর শাখা ও কলেজ শাখার কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ ও কমিটির কয়েকজন নেতা বিবাহিত এবং ৩টি ইউনিট ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছিল। গত ১৭ ফেব্রয়ারি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিরুল হোসেন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে ২০ ফেব্রয়ারি জীবনবৃত্তান্ত আহবান করা হয়। এতে দীর্ঘদিন পরে ছাত্রলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের আশার প্রতিফলন হয়েছে। কমিটি বিলুপ্ত করায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে ধন্যবাদ জানাই। দ্রত বড়লেখায় প্রকৃত ছাত্রদের দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের আহবান জানানো হয়। নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি অছাত্র ও বিবাহিতদের সাথে নিয়ে একটি কুচক্রীমহল বড়লেখায় মিছিল করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদককে নিয়ে কটুক্তি করেছে। এ ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদ তৌহিদুল ইসলাম ফরহাদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট জিল্লুর রহমান, আশির দশকের বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আছকির আলী, সাবেক উপজেলা যুবলীগের অর্থ সম্পাদক সামছুল ইসলাম টুকু, বড়লেখা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেহান পারভেজ রিপন প্রমুখ।

বড়লেখা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির  সাধারন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ফরহাদ বলেন,আমাদের কমিটি বিলুপ্ত করার মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগের তাদের নেতৃত্বের সঠিক  গুনাবলী পালন করেছেন।আমরা তাদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করলে পুলিশ স্থানীয় এমপির নির্দেশে আমাদের মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বলেন, বড়লেখায় ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ, বিবাহিত ও তিনটি ইউনিটে ভারপ্রাপ্ত থাকায় সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে সাংগঠনিকভাবে কমিটি বিলুপ্ত করে জীবনবৃত্তান্ত আহবা করা হয়। এসব পদে গত ২০ ফেব্রয়ারি প্রায় ৩৮জন প্রার্থী তাদের  জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন । তাদের মধ্য থেকে যাচাই বাছাই করে  শ্রীঘ্রই বড়লেখায় নতুন কমিটি ঘোষনা করা হবে।

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, দুইটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে একটি পক্ষ কে মিছিল নিয়ে মূল সড়কে আসতে দেওয়া হয়নি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ

আপডেট সময় ০৮:৫২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

জুড়ী প্রতিনিধি;  মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করায় জেলা ছাত্রলীগকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল ও জেলা সভাপতি সম্পাদককে কটুক্তির প্রতিবাদে প্রতিবাদসভা করেছে উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

রবিবার বিকাল ৩ টার দিকে বড়লেখা শহরে মিছিল করে পিসি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পথসভা করে তারা।

এ সময়  আনন্দ মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে একজন  আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ নেতারা জানান, বেলা ২.৩০ ঘটিকার দিকে বড়লেখা পিসি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান সড়কের সম্মুখে এলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী ব্যাপক ধস্তাধস্তি-বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ জোর করে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পুলিশ ভ্যানে তুলতে টানাহেচড়া করে। এতে রোম্মান আহমদ নামে এক ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়েছেন।


পরে পি.সি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। প্রতিবাদসভায় বক্তারা বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। দীর্ঘদিন থেকে ছাত্রলীগের বড়লেখা উপজেলা শাখা, পৌর শাখা ও কলেজ শাখার কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ ও কমিটির কয়েকজন নেতা বিবাহিত এবং ৩টি ইউনিট ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছিল। গত ১৭ ফেব্রয়ারি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিরুল হোসেন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে ২০ ফেব্রয়ারি জীবনবৃত্তান্ত আহবান করা হয়। এতে দীর্ঘদিন পরে ছাত্রলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের আশার প্রতিফলন হয়েছে। কমিটি বিলুপ্ত করায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে ধন্যবাদ জানাই। দ্রত বড়লেখায় প্রকৃত ছাত্রদের দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের আহবান জানানো হয়। নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি অছাত্র ও বিবাহিতদের সাথে নিয়ে একটি কুচক্রীমহল বড়লেখায় মিছিল করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদককে নিয়ে কটুক্তি করেছে। এ ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদ তৌহিদুল ইসলাম ফরহাদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট জিল্লুর রহমান, আশির দশকের বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আছকির আলী, সাবেক উপজেলা যুবলীগের অর্থ সম্পাদক সামছুল ইসলাম টুকু, বড়লেখা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেহান পারভেজ রিপন প্রমুখ।

বড়লেখা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির  সাধারন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ফরহাদ বলেন,আমাদের কমিটি বিলুপ্ত করার মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগের তাদের নেতৃত্বের সঠিক  গুনাবলী পালন করেছেন।আমরা তাদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করলে পুলিশ স্থানীয় এমপির নির্দেশে আমাদের মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বলেন, বড়লেখায় ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ, বিবাহিত ও তিনটি ইউনিটে ভারপ্রাপ্ত থাকায় সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে সাংগঠনিকভাবে কমিটি বিলুপ্ত করে জীবনবৃত্তান্ত আহবা করা হয়। এসব পদে গত ২০ ফেব্রয়ারি প্রায় ৩৮জন প্রার্থী তাদের  জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন । তাদের মধ্য থেকে যাচাই বাছাই করে  শ্রীঘ্রই বড়লেখায় নতুন কমিটি ঘোষনা করা হবে।

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, দুইটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে একটি পক্ষ কে মিছিল নিয়ে মূল সড়কে আসতে দেওয়া হয়নি।