ঢাকা ১১:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
দল নেই নির্বাচনে,তবুও সিলেটে প্রার্থী তারা শ্রীমঙ্গলে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনু্ষ্টিত এমপি-মন্ত্রীদের সন্তান ও আত্মীয়রা প্রার্থী হতে পারবেন না উপজেলা নির্বাচনে কোটচাঁদপুর জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলামের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  ঝিনাইদহে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন লাখাইয় প্রাণীসম্পদ সেবা সপ্তাহ এর শুভ উদ্ধোধন করেন ইউএনও নাহিদা সুলতানা পৌরসভার উদ্যাগে ৩ কোটি টাকার রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন হাওর পাড়ে কৃষকের স্বস্তিতে ‘কৃষক ছাউনি’ সঙ্গীতশিল্পী পাগল হাসান সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুইদিন বন্ধ থাকবে ডাউকি ইমিগ্রেশন

জাতীয় চা দিবস

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২
  • / ৩২৪ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  দেশে দ্বিতীয়বারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় চা দিবস।

শনিবার দেশজুড়ে জাতীয় চা দিবস উদযাপনে থাকছে নানা আয়োজন। দিনটিতে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়নে আলোচনা সভার পাশাপাশি চা মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় চা প্রদর্শন ও বিক্রি করবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া চা উৎপাদনকারী জেলাগুলোতেও থাকছে আলোচনা সভা, চা মেলা ও শোভাযাত্রা। গত বছর প্রথমবারের মতো জাতীয় চা দিবস উদযাপন করা হয়।

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য-‘চা দিবসের সংকল্প, সমৃদ্ধ চা শিল্প’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন ।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, চা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। সুদীর্ঘ ১৮০ বছর ধরে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে চা শিল্প গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। তিনি বলেন, ‘এক সময় চা ছিল আমাদের অন্যতম রপ্তানি পণ্য। পরবর্তী সময়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির ফলে চা রপ্তানি কমে গেলেও সরকার চায়ের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর ফলে ২০২১ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ৯৬.৫১ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, চা রপ্তানির অতীত ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার রপ্তানি বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, চা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার বৃহদায়তন বাগানের পাশাপাশি সমতলে ক্ষুদ্রায়তন চা আবাদে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। গত দুই দশকে দেশের উত্তরাঞ্চলে সমতলে চা আবাদে বিপ্লব ঘটেছে।

জানা গেছে, ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনীছড়া চা বাগানে বাণিজ্যিকভাবে চা উৎপাদনের মাধ্যমে দেশে চা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান। তিনি ৪ জুন ১৯৫৭ থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ পর্যন্ত চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালনকালে চা শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় ১৯৫৭ সালে শ্রীমঙ্গলে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ঢাকার মতিঝিলে চা বোর্ডের কার্যালয় স্থাপিত হয়।

চা শিল্পে জাতির পিতার অবদান এবং চা বোর্ডে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করতে ২০২০ সালের ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে জাতীয় চা দিবস ঘোষণা করা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতীয় চা দিবস

আপডেট সময় ০৯:৫৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  দেশে দ্বিতীয়বারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় চা দিবস।

শনিবার দেশজুড়ে জাতীয় চা দিবস উদযাপনে থাকছে নানা আয়োজন। দিনটিতে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়নে আলোচনা সভার পাশাপাশি চা মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় চা প্রদর্শন ও বিক্রি করবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া চা উৎপাদনকারী জেলাগুলোতেও থাকছে আলোচনা সভা, চা মেলা ও শোভাযাত্রা। গত বছর প্রথমবারের মতো জাতীয় চা দিবস উদযাপন করা হয়।

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য-‘চা দিবসের সংকল্প, সমৃদ্ধ চা শিল্প’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন ।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, চা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। সুদীর্ঘ ১৮০ বছর ধরে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে চা শিল্প গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। তিনি বলেন, ‘এক সময় চা ছিল আমাদের অন্যতম রপ্তানি পণ্য। পরবর্তী সময়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির ফলে চা রপ্তানি কমে গেলেও সরকার চায়ের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর ফলে ২০২১ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ৯৬.৫১ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, চা রপ্তানির অতীত ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার রপ্তানি বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, চা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার বৃহদায়তন বাগানের পাশাপাশি সমতলে ক্ষুদ্রায়তন চা আবাদে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। গত দুই দশকে দেশের উত্তরাঞ্চলে সমতলে চা আবাদে বিপ্লব ঘটেছে।

জানা গেছে, ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনীছড়া চা বাগানে বাণিজ্যিকভাবে চা উৎপাদনের মাধ্যমে দেশে চা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান। তিনি ৪ জুন ১৯৫৭ থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ পর্যন্ত চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালনকালে চা শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় ১৯৫৭ সালে শ্রীমঙ্গলে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ঢাকার মতিঝিলে চা বোর্ডের কার্যালয় স্থাপিত হয়।

চা শিল্পে জাতির পিতার অবদান এবং চা বোর্ডে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করতে ২০২০ সালের ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে জাতীয় চা দিবস ঘোষণা করা হয়।