জাফলংয়ে পর্যটকদের উপর স্বেচ্ছাসেবীদের হামলা
- আপডেট সময় ০৪:১৩:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মে ২০২২
- / ৮১৮ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের গোয়াইনঘাটের পর্যটন এলাকা জাফলংয়ে পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রশাসনের নিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের বিরুদ্ধে। টিকিট কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে এই হামলা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩ জন পর্যটক আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে জাফলং পর্যটন এলাকার টিকেট কাউন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লেখা নীল ইউনিফর্ম পরা ৩ জন হাতে লাঠি নিয়ে একদল পর্যটকদের বেধড়ক পেটাচ্ছেন। এসময় ওই দলে থাকা কিছু নারী পর্যটক তাদেরকে থামাতে গিয়ে লাঞ্চিত হন। বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে লাঠি নিয়ে শিশু, নারী ও পুরুষ পর্যটকদের উপর হামলা চালায় তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সিলেট থেকে একটি পরিবার জাফলংয়ে বেড়াতে যান। টিকেট কেনাকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের সাথে কাউন্টারের লোকদের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে শিশু, নারী ও পুরুষসহ কমপক্ষে ৬ পর্যটকের উপর হামলা চালায় কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক। পরে স্থানীয় ও অন্যান্য পর্যটকরা এগিয়ে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে দিয়ে পর্যটকদের উদ্ধার করেন।
গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাহমিলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পর্যটকদের ওই দলটি টিকিট ছাড়াই জাফলং এলাকায় ঢুকতে চাইলে টিকিট কাউন্টারের এখানে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকরা পর্যটকদের উপর হামলা চালায়।
এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে আমাদের পর্যটনের অনেক ক্ষতি হলো। যেহেতু হামলাকারীরা আমাদের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, তাই আমি দায় নিচ্ছি। ইতিমধ্যেই ৩ জন স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করেছি এবং স্থানীয় পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা হামলাকারী স্বেচ্ছাসেবকদের চিহ্নিত করেছি, তাদের মধ্যে ২ জনকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। আটককৃত স্বেচ্ছাসেবকরা হলেন- উপজেলার পন্নগ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস (২১) ও ইসলামপুরের বাসিন্দা মো. সেলিম আহমেদ (২১)।