ঢাকা ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ

জুড়ীতে এক প্রতিবন্ধীর দোকান দখল ও মালামাল চুরির অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৫২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৩৭১ বার পড়া হয়েছে

জুড়ী প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ফিরোজ আহমদ-এর পুত্র আহমদ আল আজাদ সোহাদ কর্তৃক রাতের আধারে দোকান দখল ও মালামাল চুরি করে নেয়ার অভিযোগ করেছেন কামিনীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী, জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স এর স্বত্বাধিকারী শাহীন আহমদ। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ ঘটিকায় জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্হায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- ২০০৭ সালে ফিরোজ আহমদ-এর নিকট থেকে ২০ হাজার টাকায় দোকানটি নিয়ে ব্যবসা করছি। পরে আরো ৮৫ হাজার টাকা খরচ করে এর পিছনে একটি ঘর মেরামত করি। কিছুদিন পর সেনাবাহিনীর টাস্কপোর্স উক্ত দোকানঘর ভেঙ্গে দিতে চাইলে আমি প্রতিবন্ধী মানুষ তাদের হাতে পায়ে ধরে ঘরটি রক্ষা করি। পরে জানতে পারি এ জায়গার মূল মালিক রমনী মোহন নাগ। একটি জাল দলিলের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সময় ফিরোজ আহমদ রমনীর বাড়ীঘর জ্বালিয়ে দিয়ে জায়গাটি দখল করেন। জীবনের ভয়ে রমনীর পরিবার ভারতে পালিয়ে যান। সর্বশেষ মাঠ জরিপের সময় সঠিক কাগজ দেখাতে না পারায় উক্ত জমি জেলা প্রশাসকের নামে খতিয়ান ভুক্ত (১/১) হয়। এমতাবস্থায় সোহাদ বিভিন্ন সময়ে ঘর ছেড়ে দেয়ার জন্য আমাকে মারপিট করে ও প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকে। গত ০৯/০৬/২৩ইং রাতে আমার দোকানের পিছনের দরজা ভেঙ্গে দোকান থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নেয়। বিষয়টি কামিনীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ও ইউনিয়ন পরিষদে বিচারাধীন থাকাবস্থায় সে আমার দোকানে তালা মেরে দেয়। দোকান ফিরে পাওয়া ও জীবনের নিরাপত্তায় আমি ২৯ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেই। এতে সোহাদ ক্ষিপ্ত হয়ে কামিনীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নিকট চাবি জমা থাকাবস্থায় ১ নভেম্বর রাতে ৫/৬ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে দোকানের তালা ভেঙ্গে ৫/৬ লাখ টাকার মালামাল ও আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে যায় এবং পাশের মোদি দোকানের সাথে আমার দোকানটি একত্রিত করে নেয়।

এমতাবস্থায় সর্বস্ব হারিয়ে আমি প্রতিবন্ধী মানুষ পথে পথে ঘুরছি। স্ত্রী, ছেলে-মেয়ের চিকিৎসা, ওষুধ ও ভরণপোষণ দিতে পারছি না। আমি সুবিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আহমদ আল আজাদ সোহাদ সম্পূর্ণ বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযোগ মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

জুড়ীতে এক প্রতিবন্ধীর দোকান দখল ও মালামাল চুরির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৫:৫২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

জুড়ী প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ফিরোজ আহমদ-এর পুত্র আহমদ আল আজাদ সোহাদ কর্তৃক রাতের আধারে দোকান দখল ও মালামাল চুরি করে নেয়ার অভিযোগ করেছেন কামিনীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী, জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স এর স্বত্বাধিকারী শাহীন আহমদ। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ ঘটিকায় জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্হায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- ২০০৭ সালে ফিরোজ আহমদ-এর নিকট থেকে ২০ হাজার টাকায় দোকানটি নিয়ে ব্যবসা করছি। পরে আরো ৮৫ হাজার টাকা খরচ করে এর পিছনে একটি ঘর মেরামত করি। কিছুদিন পর সেনাবাহিনীর টাস্কপোর্স উক্ত দোকানঘর ভেঙ্গে দিতে চাইলে আমি প্রতিবন্ধী মানুষ তাদের হাতে পায়ে ধরে ঘরটি রক্ষা করি। পরে জানতে পারি এ জায়গার মূল মালিক রমনী মোহন নাগ। একটি জাল দলিলের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সময় ফিরোজ আহমদ রমনীর বাড়ীঘর জ্বালিয়ে দিয়ে জায়গাটি দখল করেন। জীবনের ভয়ে রমনীর পরিবার ভারতে পালিয়ে যান। সর্বশেষ মাঠ জরিপের সময় সঠিক কাগজ দেখাতে না পারায় উক্ত জমি জেলা প্রশাসকের নামে খতিয়ান ভুক্ত (১/১) হয়। এমতাবস্থায় সোহাদ বিভিন্ন সময়ে ঘর ছেড়ে দেয়ার জন্য আমাকে মারপিট করে ও প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকে। গত ০৯/০৬/২৩ইং রাতে আমার দোকানের পিছনের দরজা ভেঙ্গে দোকান থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নেয়। বিষয়টি কামিনীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ও ইউনিয়ন পরিষদে বিচারাধীন থাকাবস্থায় সে আমার দোকানে তালা মেরে দেয়। দোকান ফিরে পাওয়া ও জীবনের নিরাপত্তায় আমি ২৯ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেই। এতে সোহাদ ক্ষিপ্ত হয়ে কামিনীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নিকট চাবি জমা থাকাবস্থায় ১ নভেম্বর রাতে ৫/৬ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে দোকানের তালা ভেঙ্গে ৫/৬ লাখ টাকার মালামাল ও আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে যায় এবং পাশের মোদি দোকানের সাথে আমার দোকানটি একত্রিত করে নেয়।

এমতাবস্থায় সর্বস্ব হারিয়ে আমি প্রতিবন্ধী মানুষ পথে পথে ঘুরছি। স্ত্রী, ছেলে-মেয়ের চিকিৎসা, ওষুধ ও ভরণপোষণ দিতে পারছি না। আমি সুবিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আহমদ আল আজাদ সোহাদ সম্পূর্ণ বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযোগ মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেন।