জুড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেল আরও ১১৭ টি পরিবার
- আপডেট সময় ০৯:০২:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩
- / ৪১০ বার পড়া হয়েছে
সিরাজুল ইসলামঃ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায়ে স্বপ্নের সেমি পাকা ঘর পেল আরও ১১৭ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার।
বুধবার (২২ মার্চ) উপকারভোগী পরিবারের নিকট গৃহসমুহের চাবী ও জমির দলিল হস্তান্তর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উপজেলা প্রশাসন ১১৭ টি ঘরের জমির দলিল ও গৃহের চাবী হস্তান্তর করা হয়েছে।
সর্বশেষ হাল নাগাদকৃত ক-শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার সংখ্যা ৪৭৩টি। ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায় মোট ২৮১ টি গৃহহীন পরিবারকে ইতিমধ্যে পাকাঘর ও ভূমির কাগজ প্রদান করা হয়েছে। আগামী ২২ মার্চ প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায়ে নির্মিত ১৯২টি’র মধ্যে ১১৭টি পাকাঘর উপকারভোগী পরিবারকে জমির দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।
জুড়ী উপজেলায় ঘরের জমির দলিল ও গৃহের চাবী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রন্জন চন্দ্র দে সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার অধিকারী,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সমরজিৎ সিংহ, ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা,অফিসার ইনচার্জ জুড়ী থানা মোঃ মোশারফ হোসেন, প্রকল্প কর্মকর্তা মো মনসুর আলী,পূর্ব জুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের মোঃ রুয়েল উদ্দিন,গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম সেলু, জায়ফরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির দারা,উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার তপন চন্দ্র সূত্রধর,উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সুজাউদ্দৌলা,ডিএসবির এস আই সেলিম হোসেন ভূঁইয়া,এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম,শাহেদ রানা,নিরোধ বিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি দাস কাজল,পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ কামরুল ইসলাম প্রমুখ। উপকারভোগী শতাধিক নারী পুরুষ ঘরের চাবি পেয়ে আনন্দে আত্মহারা তারা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান,উনার জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি দোয়া ও আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।
প্রতিটি গৃহ নির্মাণে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।