ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ঢাকা ব্যাংক পিএলসি,মৌলভীবাজার শাখায় বিদায়ী সংবর্ধনা ও নবাগত ব্যবস্থাপককে বরণ মৌলভীবাজার ৩ আসনে লেবার পার্টির দলীয় মনোনয়ন পেলেন শাহ মাছুম ফারুকী মৌলভীবাজার পাবলিক লাইব্রেরির উদ্যোগে ব্যারিস্টার এম লিয়াক মতবিনিময় তারেক রহমানের ৩১দফা কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করলেন বিএনপির নেতা মিজানুর রহমান আত্মসমর্পণ করব ছবির নায়িকা মেহজাবীন শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে ষ্টেশনে যাত্রীদের জন্য “পাঠক কর্নার” এর উদ্বোধন চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাংবাদিক তমাল ফেরদৌস দুলাল কমলগঞ্জে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভায় নেতা কর্মীর ঢল মৌলভীবাজারের শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ‘বার্ড পার্ক অ্যান্ড ইকো ভিলেজ’

জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র জনবল সংকটে বেহাল দশা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:২৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৮৪৭ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র নামে ৫০ শয্যার হলেও ৩১ শয্যার জনবল ও উপকরণ না থাকায় মারাত্বকভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা প্রদান করতে কর্তৃপক্ষ হিমসিম খাচ্ছে।

জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৬ আগস্ট মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা গঠনের পর ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় দীর্ঘ দশ বছর পর উপজেলার বাছিরপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়।

প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫০ শয্যার (দালিলিক ভাবে) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জনের নিকট হস্তান্তর করে নির্মাতা প্রতিষ্টান। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মো. নাসিম এমপি সেটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু ৫০ শয্যা নয়, ৩১ শয্যার প্রয়োজনীয় জনবল ও উপকরণ না থাকায় বছরাধিককাল ধরে জরুরী বিভাগ ও অন্ত বিভাগ চালু হয়নি। এরপর অনেক কিছু না থাকার মধ্যে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় জরুরী বিভাগ ও অন্ত বিভাগ চালু করা হয়।

প্রয়োজনীয় জনবল ও উপকরণ না থাকায় চতুর্থ তলার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না। হাসপাতালে আগত রোগীর রক্ত, বমি, প্রস্রাব, পায়খানা পরিস্কার করার লোকবল না থাকায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সব মিলিয়ে রোগীদের সেবা দিতে কর্তৃপক্ষ হিমসিম খাচ্ছেন।

কারিগরের অভাবে অপারেশন থিয়েটার ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা না হওয়ায় যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। রোগীরাও চাহিদামত সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জনবল ও মালামালের অভাবে সংকট এড়াতে রোগীদের মৌলভীবাজার কিংবা সিলেট পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এতে করে রোগীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে,  সময় ও অর্থ নষ্ট হচ্ছে, পড়ছেন ভোগান্তিতে। নেই বিশুদ্ধ খাবার পানির কোন ব্যবস্থা।

 

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সমরজিত সিংহ জানান, হাসপাতালে ৫০ শয্যার ক্ষেত্রে কোন বরাদ্দ নেই। ৩১ শয্যারও পর্যাপ্ত জনবল ও উপকরণ নেই। হাসপাতালে সৃজনকৃত ৬৭টি পদের মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ১, জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী) ১, মেডিকেল অফিসার ১, সিনিয়র স্টাফ নার্স ১৮, মিডওয়াইফ ১, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব ও রেডিও) ২, ফার্মাসিস্ট ১, পরিসংখ্যানবিদ ১, ক্যাশিয়ার ১, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ১, জুনিয়র মেকানিক ১, অফিস সহায়ক ১, ওয়ার্ড বয় ১, আয়া ২, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৩, বাবুর্চি ২ জনসহ মোট ৩৮টি পদ শুন্য রয়েছে। যার ফলে আমরা প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।

এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, স্থানীয় সংসদ সদস্য, পরিবেশ বন, ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স হস্তান্তর পুর্ববর্তী ৯ লক্ষ ৬২ হাজার ৮ শত ৭৩ টাকার বিদ্যুৎ বিল ঠিকাদারের নিকট পাওনা ছিল। সে জটিলতা আমরা ইতিমধ্যে নিরসন করেছি। হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানির জন্য দ্রুত একটি গভীর নলকুপ স্থাপন এবং জনবল সংকটসহ সকল সমস্যা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র জনবল সংকটে বেহাল দশা

আপডেট সময় ০১:২৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র নামে ৫০ শয্যার হলেও ৩১ শয্যার জনবল ও উপকরণ না থাকায় মারাত্বকভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা প্রদান করতে কর্তৃপক্ষ হিমসিম খাচ্ছে।

জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৬ আগস্ট মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা গঠনের পর ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় দীর্ঘ দশ বছর পর উপজেলার বাছিরপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়।

প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫০ শয্যার (দালিলিক ভাবে) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জনের নিকট হস্তান্তর করে নির্মাতা প্রতিষ্টান। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মো. নাসিম এমপি সেটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু ৫০ শয্যা নয়, ৩১ শয্যার প্রয়োজনীয় জনবল ও উপকরণ না থাকায় বছরাধিককাল ধরে জরুরী বিভাগ ও অন্ত বিভাগ চালু হয়নি। এরপর অনেক কিছু না থাকার মধ্যে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় জরুরী বিভাগ ও অন্ত বিভাগ চালু করা হয়।

প্রয়োজনীয় জনবল ও উপকরণ না থাকায় চতুর্থ তলার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না। হাসপাতালে আগত রোগীর রক্ত, বমি, প্রস্রাব, পায়খানা পরিস্কার করার লোকবল না থাকায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সব মিলিয়ে রোগীদের সেবা দিতে কর্তৃপক্ষ হিমসিম খাচ্ছেন।

কারিগরের অভাবে অপারেশন থিয়েটার ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা না হওয়ায় যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। রোগীরাও চাহিদামত সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জনবল ও মালামালের অভাবে সংকট এড়াতে রোগীদের মৌলভীবাজার কিংবা সিলেট পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এতে করে রোগীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে,  সময় ও অর্থ নষ্ট হচ্ছে, পড়ছেন ভোগান্তিতে। নেই বিশুদ্ধ খাবার পানির কোন ব্যবস্থা।

 

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সমরজিত সিংহ জানান, হাসপাতালে ৫০ শয্যার ক্ষেত্রে কোন বরাদ্দ নেই। ৩১ শয্যারও পর্যাপ্ত জনবল ও উপকরণ নেই। হাসপাতালে সৃজনকৃত ৬৭টি পদের মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ১, জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী) ১, মেডিকেল অফিসার ১, সিনিয়র স্টাফ নার্স ১৮, মিডওয়াইফ ১, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব ও রেডিও) ২, ফার্মাসিস্ট ১, পরিসংখ্যানবিদ ১, ক্যাশিয়ার ১, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ১, জুনিয়র মেকানিক ১, অফিস সহায়ক ১, ওয়ার্ড বয় ১, আয়া ২, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৩, বাবুর্চি ২ জনসহ মোট ৩৮টি পদ শুন্য রয়েছে। যার ফলে আমরা প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।

এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, স্থানীয় সংসদ সদস্য, পরিবেশ বন, ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স হস্তান্তর পুর্ববর্তী ৯ লক্ষ ৬২ হাজার ৮ শত ৭৩ টাকার বিদ্যুৎ বিল ঠিকাদারের নিকট পাওনা ছিল। সে জটিলতা আমরা ইতিমধ্যে নিরসন করেছি। হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানির জন্য দ্রুত একটি গভীর নলকুপ স্থাপন এবং জনবল সংকটসহ সকল সমস্যা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।