জুড়ীতে শালা দুলা ভাই শ্রীঘরে
![](https://newssitedesign.com/newspaperpro/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় ০২:১৮:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২
- / ৫৮৮ বার পড়া হয়েছে
![](https://moulvibazar24.com/wp-content/uploads/2023/11/Rahat-rakib-tea.jpg)
সিরাজুল ইসলামঃ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে অপকর্মে রাজি না হওয়ায় উপজেলার বেলাগাও গ্রামের এক যুবতী(২৪) কে কুপিয়ে জখম করেছে মোঃ সায়েল আহমদ শাকিল (২২) নামের এক যুবক। শাকিল উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর কুচাইরতল গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) থানায় মামলা হলে (মামলা নং-১২, তারিখ-২৬ আগস্ট) পুলিশ ভোরে অভিযুক্ত আসামী শাকিল ও এ ঘটনার সাথে জড়িত তার দুলাভাই লুৎফুর রহমান (৩৫) কে গ্রেফতার করে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, হামলার শিকার যুবতীর স্বামী মারা গেলে সে একমাত্র সন্তান কে নিয়ে বাবার বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। তার বাবা দিনমজুর হওয়ায় সে ভবানীগঞ্জ বাজারের একটি পার্লারে কাজ নেয়। পার্লারে আসা যাওয়ার পথে শাকিলের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে যুবতীর উপর। সে প্রায় সময় তাকে রাস্তায় পেয়ে কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্তপ্ত করে যাচ্ছে।
এতে কোন ভাবেই মেয়েটি সাড়া না দেওয়ায় তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে। সুযোগ খুজতে থাকে শাকিল। সে তার ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য গত ৮ আগস্ট একা পেয়ে মেয়েটির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে মোবাইলটি ফেরত দেওয়ার কথা বলে শাকিলের জুড়ী রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন বাসায় ডেকে নেয়। মেয়েটি সেখানে গেলে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা শাকিল ও তার দুলাভাই টেনে হেঁচড়ে তাকে বাসার ভিতরে নিয়ে যায়। বাসার ভিতর নিয়ে দরজা আটকিয়ে তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে শাকিল ছুরি দিয়ে মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এসময় সে চিৎকার করলে তাকে উদ্ধারে ভয়ে আশপাশের কেউ এগিয়ে আসে নি। এতে মেয়েটি মারাত্মক আহত হলে শাকিলের বোন রিনা বেগম (২৮) তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ফেলে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে মেয়ের দিনমজুর বাবা হাসপাতালে ছুটে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হলে পিত্রালয়ে ফিরে আসে।
গতকাল (২৫ আগষ্ট)রাতে জুড়ী থানায় হাজির হয়ে ওসির নিকট যুবতী মেয়েটি তার উপর পৈশাচিক নির্যাতনের ঘটনার বর্ণনা দেন এবং নিজে বাদী হয়ে তিন জনের নামোল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, মেয়েটির কাছে থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনে তাৎক্ষণিক ভাবে মামলা রুজু করে আসামীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেই।আজ পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার এতোদিন পরে কেনো মামলা দেয়া হলো প্রশ্নে ওসি বলেন,অসহায় মেয়েটির আত্মীয়স্বজন না থাকায় একমাত্র তার বাবা দিনমজুর হওয়ায় মেয়েটিকে চিকিৎসা করানোর কাজে ব্যস্ত থাকায় অভিযোগ দিতে দেরি হয়েছে।
![](https://moulvibazar24.com/wp-content/uploads/2022/12/Untitled-6-×-4-in.gif)