ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রেনে পানি বিক্রি করে ফুটপাতে রাত্রিযাপন করি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:১৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
  • / ৩০৯ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক ট্রেনে পানি বিক্রি করে ফুটপাতে রাত্রিযাপন করতে হয়।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) প্রতিবেদক জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে আসার পথে দেখা হয় জুলহাস নামে পানি বিক্রিতার সাথ ।

দেখাযায় জুলহাস ট্রেনের বিভিন্ন বগিতে পানির কয়েকটি বোতল মাথায় নিয়ে বিক্রি করছে কেউ কিনছে আবার কেউ নিচ্ছে না। তার সাথে কথা বলার পরে সে জানায় আমার মা আছে বাবা নেই আমার কোনো থাকারও জায়গা নেই শায়েস্তাগঞ্জ রেল ষ্টেশনে মা’র সাথে থাকি।

দেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধের সময়সীমা বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ ২০২১ সালের মধ্যে দেশ ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম মুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ হলেও তা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি নতুন করে ২০২৫ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু নতুন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধ হবে কি না তা নিয়ে উদ্বেগ। সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে, এতে যেন কারো কোনো দায় নেই। আমরা এখনো শিশুশ্রম কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধ করতে পারছি না। এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। দরিদ্রতা, অশিক্ষা, অসচেতনতা, আইন প্রয়োগের দুর্বলতা শিশুদের শ্রমের ঠেলে দিচ্ছে। আবার শিশুদের সস্তা শ্রমের জন্য কতিপয় অসাধু ব্যক্তি নানা রকম প্রলোভনে শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে টেনে আনে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ট্রেনে পানি বিক্রি করে ফুটপাতে রাত্রিযাপন করি

আপডেট সময় ১০:১৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক ট্রেনে পানি বিক্রি করে ফুটপাতে রাত্রিযাপন করতে হয়।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) প্রতিবেদক জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে আসার পথে দেখা হয় জুলহাস নামে পানি বিক্রিতার সাথ ।

দেখাযায় জুলহাস ট্রেনের বিভিন্ন বগিতে পানির কয়েকটি বোতল মাথায় নিয়ে বিক্রি করছে কেউ কিনছে আবার কেউ নিচ্ছে না। তার সাথে কথা বলার পরে সে জানায় আমার মা আছে বাবা নেই আমার কোনো থাকারও জায়গা নেই শায়েস্তাগঞ্জ রেল ষ্টেশনে মা’র সাথে থাকি।

দেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধের সময়সীমা বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ ২০২১ সালের মধ্যে দেশ ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম মুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ হলেও তা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি নতুন করে ২০২৫ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু নতুন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধ হবে কি না তা নিয়ে উদ্বেগ। সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে, এতে যেন কারো কোনো দায় নেই। আমরা এখনো শিশুশ্রম কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধ করতে পারছি না। এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। দরিদ্রতা, অশিক্ষা, অসচেতনতা, আইন প্রয়োগের দুর্বলতা শিশুদের শ্রমের ঠেলে দিচ্ছে। আবার শিশুদের সস্তা শ্রমের জন্য কতিপয় অসাধু ব্যক্তি নানা রকম প্রলোভনে শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে টেনে আনে।