ঢাকা ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গুর প্রকোপ মোকাবেলায় শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কর্মসূচী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:১৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৬১ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি: সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির প্রবনতার মুখে শ্রীমঙ্গলে সতর্কতামূল নানা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা। এ লক্ষে বিগত ২৬ অক্টোবর শ্রীমঙ্গল পৌর মেয়রের নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গলে মসক নিধন কর্মসূচীর সূচনা করা হয়।
এরপর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে মশা নিধনের ওষুধ স্প্রে করার কর্মসূচী বাস্তবায়নে কাজ চলছে। এসব কর্মসূচীর আওতায় শহরের মশা প্রজনন কেন্দ্র চিহ্নিত করে ফগার ও স্প্রে মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিঁটানোর কাজ চলছে।
শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মোহসিন মিয়া মধু বলেন, ‘সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পৌরসভা কর্তৃক ৯টি ওয়ার্ডের ড্রেনগুলোতে ওষুধ ছিঁটানো হচ্ছে। বিশেষ করে এডিস মশার প্রজনন কেন্দ্র চিহ্নিত করে ড্রেন, জলাধার, ঘনবসতি এলাকাগুলোতে ওষুধ ছিঁটানো হচ্ছে। এসব কাজ তদারকি করতে সকল ওয়ার্ড কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে’।
ডেঙ্গুর রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা তিনি বাসা বাড়ির ও তার আশপাশ এলাকা, ফুলের টব, পরিত্যক্ত বাসন, টায়ার, ছোট গর্ত- পানি জমে থাকে এমন এডিস মশার প্রজনন স্থানগুলো পরিষ্কার রাখতে পৌরবাসীর প্রতি আহবান জানান। বুধবার (২ নভেম্বর) শ্রীমঙ্গল পৌরসভার উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে চলমান মশক নিধন কর্মসূচি চলাকালে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, মেয়র মহসিন মিয়া মধুর নির্দেশনায় পৌরসভার ‘একটি মানুষও যেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত না হয়’ সেজন্য পৌরসভার সকল এডিস মশার ঝুঁকিপূর্ণ আবাসগুলোতে ওষুধ ছিঁটানোর কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে। ডেঙ্গুর ঝুঁকির মাত্রা কমিয়ে না আসা পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে এডিস মশা নিধনে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা নিঃসন্দেহে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে এই প্রকৌশলী জানান।
এসময় পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছাদ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এদিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, এ পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলে কোন ডেঙ্গু রোগের রোগী সনাক্ত হয়নি। তবে, ঢাকায় আক্রান্ত এক ব্যক্তি শ্রীমঙ্গলে এসেছেন। শহরের মুসলিমবাগ এলাকার বাসা রেখে তাকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ডেঙ্গুর প্রকোপ মোকাবেলায় শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কর্মসূচী

আপডেট সময় ০১:১৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২
বিশেষ প্রতিনিধি: সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির প্রবনতার মুখে শ্রীমঙ্গলে সতর্কতামূল নানা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা। এ লক্ষে বিগত ২৬ অক্টোবর শ্রীমঙ্গল পৌর মেয়রের নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গলে মসক নিধন কর্মসূচীর সূচনা করা হয়।
এরপর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে মশা নিধনের ওষুধ স্প্রে করার কর্মসূচী বাস্তবায়নে কাজ চলছে। এসব কর্মসূচীর আওতায় শহরের মশা প্রজনন কেন্দ্র চিহ্নিত করে ফগার ও স্প্রে মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিঁটানোর কাজ চলছে।
শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মোহসিন মিয়া মধু বলেন, ‘সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পৌরসভা কর্তৃক ৯টি ওয়ার্ডের ড্রেনগুলোতে ওষুধ ছিঁটানো হচ্ছে। বিশেষ করে এডিস মশার প্রজনন কেন্দ্র চিহ্নিত করে ড্রেন, জলাধার, ঘনবসতি এলাকাগুলোতে ওষুধ ছিঁটানো হচ্ছে। এসব কাজ তদারকি করতে সকল ওয়ার্ড কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে’।
ডেঙ্গুর রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা তিনি বাসা বাড়ির ও তার আশপাশ এলাকা, ফুলের টব, পরিত্যক্ত বাসন, টায়ার, ছোট গর্ত- পানি জমে থাকে এমন এডিস মশার প্রজনন স্থানগুলো পরিষ্কার রাখতে পৌরবাসীর প্রতি আহবান জানান। বুধবার (২ নভেম্বর) শ্রীমঙ্গল পৌরসভার উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে চলমান মশক নিধন কর্মসূচি চলাকালে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, মেয়র মহসিন মিয়া মধুর নির্দেশনায় পৌরসভার ‘একটি মানুষও যেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত না হয়’ সেজন্য পৌরসভার সকল এডিস মশার ঝুঁকিপূর্ণ আবাসগুলোতে ওষুধ ছিঁটানোর কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে। ডেঙ্গুর ঝুঁকির মাত্রা কমিয়ে না আসা পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে এডিস মশা নিধনে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা নিঃসন্দেহে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে এই প্রকৌশলী জানান।
এসময় পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছাদ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এদিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, এ পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলে কোন ডেঙ্গু রোগের রোগী সনাক্ত হয়নি। তবে, ঢাকায় আক্রান্ত এক ব্যক্তি শ্রীমঙ্গলে এসেছেন। শহরের মুসলিমবাগ এলাকার বাসা রেখে তাকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।