ঢাকা ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল থেকে গ্রাজুয়েট হলেন এডভোকেট নিয়ামুল

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫২:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ২৮৪ বার পড়া হয়েছে

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল থেকে গ্রাজুয়েট হলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দপ্তর সম্পাদক ও জীয়া স্মৃতি পাঠাগারের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট নিয়ামুল হক।।

আন্তর্জাতিক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ’ইয়ং লিডার ফেলোশিপ প্রোগ্রামে’ দেশের ৯ টি জেলা থেকে অংশ নিয়ে প্রধান তিন রাজনৈতিক দলের ২৫ জন তরুণ নেতা ও নেত্রী গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। যার মধ্যে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির পক্ষে ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দপ্তর সম্পাদক ও জীয়া স্মৃতি পাঠাগার মৌলভীবাজার জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট নিয়ামুল হক।তাছাড়াও মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন জাকারিয়া আহমদ, উম্মে সালমা হক ও জাতীয় পার্টির পক্ষে ছিলেন ওয়াজিউল মেহেদী।।

নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত ৪ মাসব্যাপী ফেলোশিপ প্রোগ্রামটি সফলভাবে সম্পন্ন করায় (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হাইটস হোটেলে তাদের হাতে সনদ তুলে দেয়া হয়।

দেশের ৯টি জেলা থেকে আসা গ্রাজুয়েটকৃত ফেলোরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সক্রিয় নেতৃবৃন্দ।

ইউএসএআইডি-এর স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিল) প্রকল্পের আওতায় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ইয়ং লিডারস ফেলোশিপ প্রোগ্রাম বেশ কয়েকবছর ধরে বাস্তবায়ন করছে। এটি ছিলো ফেলোশিপ প্রোগ্রামের ২৩তম ব্যাচ। এখন পর্যন্ত দেশের মোট ৫৬১ জন তরুণ রাজনৈতিক নেতা এই কর্মসূচি থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন।

আয়োজকরা জানান, ইয়ং লিডারস ফেলোশিপ প্রোগ্রামের লক্ষ্য হলো তরুণ নেতাদের রাজনৈতিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা, রাজনৈতিক দলে তাদের অগ্রযাত্রাকে সমৃদ্ধ করা, অন্যান্য রাজনৈতিক দলে তাদের সমকক্ষদের প্রতি সহমর্মিতা বৃদ্ধি এবং পেশাদার সম্পর্ক তৈরি করা যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে গুণগত পরির্তন আনতে পারে। ইয়ং লিডারস ফেলোশিপ প্রোগ্রাম এরইমধ্যে বাংলাদেশের তরুণ রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে বেশ সুপরিচিত কারণ এটি নেতৃত্ব এবং রাজনীতি বিষয়ে শেখার অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করে যা সাধারণত অন্য কোথাও সুলভ নয়।

চার মাসব্যাপী নিবিড় প্রশিক্ষণে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, নেতৃত্ব দক্ষতা, রাজনৈতিক চর্চা, দ্বন্দ্ব নিরসন, দল সুসংগঠিতকরণ ও গণমাধ্যমের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধিকরণ বিষয়ে বিশদ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন অংশগ্রহণকারীরা।

এর পাশাপাশি তিনদলের সদস্যরা মিলে স্থানীয় সমস্যা সমাধানে একসাথে তারা কাজ করেছেন।

গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবেও এসেছিলেন প্রধান তিন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। এসময় দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে তারা দেশের নাগরিকদের সেবা করার জন্য ফেলোশিপ কর্মসূচিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্যদের সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্যে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের এসপিএল প্রকল্পের চিফ অব পার্টি ডানা এল. ওল্ডস বলেন, “ফেলোশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে আসা নেতাদের মধ্যে সহযোগিতা ও সম্মিলিত উদ্যোগ এবং তাদের নিজেদের জেলার সাধারণ মানুষের জন্য এক সাথে কাজ করা প্রমাণ করে যে, ইতিবাচক, জনমুখী রাজনীতি সম্ভব।

আমন্ত্রিত অতিথি ও এসপিএল প্রকল্পের চিফ অব পার্টি ফেলোদের হাতে সনদ তুলে দেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র ডিরেক্টর লিপিকা বিশ্বাস, প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট রামিসা করিম ও সাবেক ফেলোবৃন্দ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল থেকে গ্রাজুয়েট হলেন এডভোকেট নিয়ামুল

আপডেট সময় ০৯:৫২:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল থেকে গ্রাজুয়েট হলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দপ্তর সম্পাদক ও জীয়া স্মৃতি পাঠাগারের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট নিয়ামুল হক।।

আন্তর্জাতিক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ’ইয়ং লিডার ফেলোশিপ প্রোগ্রামে’ দেশের ৯ টি জেলা থেকে অংশ নিয়ে প্রধান তিন রাজনৈতিক দলের ২৫ জন তরুণ নেতা ও নেত্রী গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। যার মধ্যে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির পক্ষে ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দপ্তর সম্পাদক ও জীয়া স্মৃতি পাঠাগার মৌলভীবাজার জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট নিয়ামুল হক।তাছাড়াও মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন জাকারিয়া আহমদ, উম্মে সালমা হক ও জাতীয় পার্টির পক্ষে ছিলেন ওয়াজিউল মেহেদী।।

নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত ৪ মাসব্যাপী ফেলোশিপ প্রোগ্রামটি সফলভাবে সম্পন্ন করায় (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হাইটস হোটেলে তাদের হাতে সনদ তুলে দেয়া হয়।

দেশের ৯টি জেলা থেকে আসা গ্রাজুয়েটকৃত ফেলোরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সক্রিয় নেতৃবৃন্দ।

ইউএসএআইডি-এর স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিল) প্রকল্পের আওতায় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ইয়ং লিডারস ফেলোশিপ প্রোগ্রাম বেশ কয়েকবছর ধরে বাস্তবায়ন করছে। এটি ছিলো ফেলোশিপ প্রোগ্রামের ২৩তম ব্যাচ। এখন পর্যন্ত দেশের মোট ৫৬১ জন তরুণ রাজনৈতিক নেতা এই কর্মসূচি থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন।

আয়োজকরা জানান, ইয়ং লিডারস ফেলোশিপ প্রোগ্রামের লক্ষ্য হলো তরুণ নেতাদের রাজনৈতিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা, রাজনৈতিক দলে তাদের অগ্রযাত্রাকে সমৃদ্ধ করা, অন্যান্য রাজনৈতিক দলে তাদের সমকক্ষদের প্রতি সহমর্মিতা বৃদ্ধি এবং পেশাদার সম্পর্ক তৈরি করা যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে গুণগত পরির্তন আনতে পারে। ইয়ং লিডারস ফেলোশিপ প্রোগ্রাম এরইমধ্যে বাংলাদেশের তরুণ রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে বেশ সুপরিচিত কারণ এটি নেতৃত্ব এবং রাজনীতি বিষয়ে শেখার অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করে যা সাধারণত অন্য কোথাও সুলভ নয়।

চার মাসব্যাপী নিবিড় প্রশিক্ষণে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, নেতৃত্ব দক্ষতা, রাজনৈতিক চর্চা, দ্বন্দ্ব নিরসন, দল সুসংগঠিতকরণ ও গণমাধ্যমের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধিকরণ বিষয়ে বিশদ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন অংশগ্রহণকারীরা।

এর পাশাপাশি তিনদলের সদস্যরা মিলে স্থানীয় সমস্যা সমাধানে একসাথে তারা কাজ করেছেন।

গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবেও এসেছিলেন প্রধান তিন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। এসময় দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে তারা দেশের নাগরিকদের সেবা করার জন্য ফেলোশিপ কর্মসূচিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্যদের সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্যে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের এসপিএল প্রকল্পের চিফ অব পার্টি ডানা এল. ওল্ডস বলেন, “ফেলোশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে আসা নেতাদের মধ্যে সহযোগিতা ও সম্মিলিত উদ্যোগ এবং তাদের নিজেদের জেলার সাধারণ মানুষের জন্য এক সাথে কাজ করা প্রমাণ করে যে, ইতিবাচক, জনমুখী রাজনীতি সম্ভব।

আমন্ত্রিত অতিথি ও এসপিএল প্রকল্পের চিফ অব পার্টি ফেলোদের হাতে সনদ তুলে দেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র ডিরেক্টর লিপিকা বিশ্বাস, প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট রামিসা করিম ও সাবেক ফেলোবৃন্দ।