ঢাকা ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিনদিনের বিজয় মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:০০:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৮০৩ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বালিগাঁওে বিজয়ের দিবস উপলক্ষে র্যালীর মধ্যে দিয়ে শুরু হলো তিনদিনের বিজয় মেলা ও লোকজ উৎসবের। মেলার আয়োজক শহীদ দানু মিয়া স্মৃতি পাঠাগার।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে গ্রামের ছোট বড় পাঁচশতাধিক লোকের অংশগ্রহণে বিজয় র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র্যালীটি গ্রামের মেঠোপথ ধরে পুরো গ্রাম প্রদক্ষিণ করে। ২০ ডিসেম্বর সকাল থেকে এ উৎসব চলবে ২২ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত।

বালিগাও একটি প্রাচীন জনপদ। এই গ্রামেরই সন্তান ছিলেন দানু মিয়া। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন রাজাকারদের সহায়তায় পাকবাহিনী তাকে হত্যা করে। গ্রামের তরুণরা শহীদ দানু মিয়ার নামে একটি পাঠাগার গড়ে তোলে। সেই দানু মিয়া ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করতে দেড় যুগ ধরে এ উৎসব হয়ে আসছে। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গান নাচ গ্রামীণ খেলাধুলায় আবহমান বাংলার চিরায়ত রূপের এ এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি এ উৎসব।

আয়োজনে রয়েছে -বিজয় র‌্যালী, গ্রামীন বিলুপ্তপ্রায় খেলাসহ ৩০টি খেলাধুলা, শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা, পথ নাটক, মুক্তিযুদ্ধের ডকুমেন্টরী-সিনেমা প্রদর্শন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রামীন মেলা আলোচনাসভা।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও হারিয়ে যওয়া খেলাধুলা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া এ অনুষ্ঠানে উদ্দেশ্য জানান আয়োজকরা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তিনদিনের বিজয় মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু

আপডেট সময় ১১:০০:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বালিগাঁওে বিজয়ের দিবস উপলক্ষে র্যালীর মধ্যে দিয়ে শুরু হলো তিনদিনের বিজয় মেলা ও লোকজ উৎসবের। মেলার আয়োজক শহীদ দানু মিয়া স্মৃতি পাঠাগার।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে গ্রামের ছোট বড় পাঁচশতাধিক লোকের অংশগ্রহণে বিজয় র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র্যালীটি গ্রামের মেঠোপথ ধরে পুরো গ্রাম প্রদক্ষিণ করে। ২০ ডিসেম্বর সকাল থেকে এ উৎসব চলবে ২২ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত।

বালিগাও একটি প্রাচীন জনপদ। এই গ্রামেরই সন্তান ছিলেন দানু মিয়া। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন রাজাকারদের সহায়তায় পাকবাহিনী তাকে হত্যা করে। গ্রামের তরুণরা শহীদ দানু মিয়ার নামে একটি পাঠাগার গড়ে তোলে। সেই দানু মিয়া ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করতে দেড় যুগ ধরে এ উৎসব হয়ে আসছে। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গান নাচ গ্রামীণ খেলাধুলায় আবহমান বাংলার চিরায়ত রূপের এ এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি এ উৎসব।

আয়োজনে রয়েছে -বিজয় র‌্যালী, গ্রামীন বিলুপ্তপ্রায় খেলাসহ ৩০টি খেলাধুলা, শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা, পথ নাটক, মুক্তিযুদ্ধের ডকুমেন্টরী-সিনেমা প্রদর্শন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রামীন মেলা আলোচনাসভা।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও হারিয়ে যওয়া খেলাধুলা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া এ অনুষ্ঠানে উদ্দেশ্য জানান আয়োজকরা।