ঢাকা ০৪:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তিন শতাধিক রান করেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:২৮:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ অগাস্ট ২০২২
  • / ২৩৫ বার পড়া হয়েছে

সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিন শতাধিক রান করেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। আর রোববার (০৭ আগস্ট) দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগারদের পুঁজি তিন শর নিচেই রইল। আজকের ম্যাচ হারলেই সিরিজ হাতছাড়া। হারারেতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২৯০ রান।

শুরুটা এগিয়ে নিতে পারেননি ওপেনার তামিম ইকবাল। টপ অর্ডারে এনামুল হক-নাজমুল শান্ত, মিডলে মুশফিক সেট হয়েও রান করতে পারেননি। ওই চাপে ব্যাটিংয়ে ধুঁকছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে শেষ পর্যন্ত তিনিই দারুণ ফিনিশিং দিয়েছেন।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে রোববার অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও টস হারে বাংলাদেশ।

একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে নামতে হয় ব্যাটিংয়ে। চোটাক্রান্ত লিটন দাসের জায়গায় তামিম ইকবালের সঙ্গী হন এনামুল হক বিজয়। দুজনে গড়েন ৭১ রানের ওপেনিং জুটি।

৪৫ বলে ১০ চার ১ ছক্কায় ৫০ করে তামিম আউট হলে জুটি ভাঙে। স্কোরবোর্ডে ৬ রান যোগ হতেই রান-আউট হয়ে যান ২৫ বলে ২০ রান করা বিজয়।

এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুশফিকুর রহিম গড়েন ৫০ রানের জুটি। দুজনেই শিকার হন ওয়েসলি মাধভেরের। মুশফিক ২৫ আর শান্ত ৫৫ বলে ৩৮ রানে ফিরলে ১৪৮ রানে চার টপ অর্ডারকে হারায় বাংলাদেশ।

ইনিংসের তখন ৩০তম ওভার। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে যোগ দেন তরুণ আফিফ হোসেন। দ্রুতই জমে ওঠে তাদের জুটি। ধীরগতির মাহমুদউল্লাহর বিপরীতে আগ্রাসী ব্যাটিং করছিলেন আফিফ।

৮১ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙে সিকান্দার রাজার বলে ৪১ বলে চার বাউন্ডারিতে ৪১ করা আফিফের বিদায়ে। মিরাজ ব্যাট হাতে নেমে দুই চারে ভালোই শুরু করেছিলেন। তবে সিকান্দার রাজার বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে তাকে থামতে হয় ১২ বলে ১৫ রানে।

এর পরেই ৬৯ বলে তিন চারে ক্যারিয়ারের ২৬তম ফিফটি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। ১১ ইনিংস পর তিনি ফিফটি পেলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ৮৪ বলে ৩ চার ৩ ছক্কায় ৮০* রানে অপরাজিত থাকেন।

৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৯০ রান তোলে বাংলাদেশ। ৫৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন সিকান্দার রাজা। ওয়েসলি মাধভেরে নিয়েছেন ২টি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তিন শতাধিক রান করেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০২:২৮:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ অগাস্ট ২০২২

সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিন শতাধিক রান করেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। আর রোববার (০৭ আগস্ট) দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগারদের পুঁজি তিন শর নিচেই রইল। আজকের ম্যাচ হারলেই সিরিজ হাতছাড়া। হারারেতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২৯০ রান।

শুরুটা এগিয়ে নিতে পারেননি ওপেনার তামিম ইকবাল। টপ অর্ডারে এনামুল হক-নাজমুল শান্ত, মিডলে মুশফিক সেট হয়েও রান করতে পারেননি। ওই চাপে ব্যাটিংয়ে ধুঁকছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে শেষ পর্যন্ত তিনিই দারুণ ফিনিশিং দিয়েছেন।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে রোববার অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও টস হারে বাংলাদেশ।

একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে নামতে হয় ব্যাটিংয়ে। চোটাক্রান্ত লিটন দাসের জায়গায় তামিম ইকবালের সঙ্গী হন এনামুল হক বিজয়। দুজনে গড়েন ৭১ রানের ওপেনিং জুটি।

৪৫ বলে ১০ চার ১ ছক্কায় ৫০ করে তামিম আউট হলে জুটি ভাঙে। স্কোরবোর্ডে ৬ রান যোগ হতেই রান-আউট হয়ে যান ২৫ বলে ২০ রান করা বিজয়।

এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুশফিকুর রহিম গড়েন ৫০ রানের জুটি। দুজনেই শিকার হন ওয়েসলি মাধভেরের। মুশফিক ২৫ আর শান্ত ৫৫ বলে ৩৮ রানে ফিরলে ১৪৮ রানে চার টপ অর্ডারকে হারায় বাংলাদেশ।

ইনিংসের তখন ৩০তম ওভার। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে যোগ দেন তরুণ আফিফ হোসেন। দ্রুতই জমে ওঠে তাদের জুটি। ধীরগতির মাহমুদউল্লাহর বিপরীতে আগ্রাসী ব্যাটিং করছিলেন আফিফ।

৮১ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙে সিকান্দার রাজার বলে ৪১ বলে চার বাউন্ডারিতে ৪১ করা আফিফের বিদায়ে। মিরাজ ব্যাট হাতে নেমে দুই চারে ভালোই শুরু করেছিলেন। তবে সিকান্দার রাজার বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে তাকে থামতে হয় ১২ বলে ১৫ রানে।

এর পরেই ৬৯ বলে তিন চারে ক্যারিয়ারের ২৬তম ফিফটি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। ১১ ইনিংস পর তিনি ফিফটি পেলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ৮৪ বলে ৩ চার ৩ ছক্কায় ৮০* রানে অপরাজিত থাকেন।

৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৯০ রান তোলে বাংলাদেশ। ৫৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন সিকান্দার রাজা। ওয়েসলি মাধভেরে নিয়েছেন ২টি।