ঢাকা ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজারে জেলা বিএনপির ১০টি ইউনিটের কমিটি অনুমোদন মৌলভীবাজারে স্বেচ্ছাসেবক দলের শীতবস্ত্র বিতরন মৌলভীবাজারে জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা বিসমিল্লাহ ইউকে চ্যারিটির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ কোটচাঁদপুরে পুলিশ দেখে ফেনসিডিল ফেলে পালালেন  মাদক কারবারির শতাধিক চা শ্রমিক জনগোষ্ঠি পরিবারের মাঝে লেপ বিতরণ সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বি রু দ্ধে দুদকের মা ম লা মৌলভীবাজার অনূর্ধ্ব বালক বালিকা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর উদ্বোধন যুবদল নেতাকে ছু রি কা ঘা তে খু ন কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী দেখতে আসেন মেহেদী হাসান রনি

ত্রিপুরায় বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল বন্ধ, মিলবে না খাবারও

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১৭১ বার পড়া হয়েছে

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য সাময়িকভাবে হোটেল বুকিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক টানাপোড়নের মধ্যে উত্তরপূর্ব রাজ্যের ট্রাভেল সেক্টরের সংগঠন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

২ ডিসেম্বর থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের হোটেলগুলোতে বাংলাদেশি নাগরিকদের থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বাংলাদেশে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার এবং এর জেরে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপড়েনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যটির হোটেল মালিক সমিতি।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের আর ত্রিপুরার কোনো হোটেলে থাকতে দেওয়া হবে না।

এছাড়া ত্রিপুরার হোটেলগুলোর ফ্রন্ট ডেস্কে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিষিদ্ধের বিষয়টি জানিয়ে পোস্টার টানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নিরাপত্তা তল্লাশি আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন।

অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ভাস্কর চক্রবর্তী জানিয়েছেন, হোটেল মালিকরা এই সিদ্ধান্তে ঐক্মত্য প্রকাশ করেছেন এবং সিদ্ধান্তটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে গতকাল সোমবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা চালায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠনের সমর্থকেরা। এছাড়া গতকাল মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের কাছাকাছি বিশ্ব হিন্দু পরিষদও (ভিএইচপি) বিক্ষোভ করে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি হচ্ছে ভিএইচপির সহযোগী সংগঠন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগরতলার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়ে বলেছে, কূটনৈতিক ও কনস্যুলার সম্পত্তি কোনো অবস্থাতেই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। নয়াদিল্লিহ অন্যান্য স্থানে বাংলাদেশের হাইকমিশন এবং উপ ও সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে ভারত সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।

এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সহকারী হাইকমিশনের মূল ফটক ভেঙে বিক্ষোভকারীরা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছে। এই ঘটনায় বাংলাদেশ ‘গভীরভাবে ক্ষুব্ধ’।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ত্রিপুরায় বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল বন্ধ, মিলবে না খাবারও

আপডেট সময় ০২:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য সাময়িকভাবে হোটেল বুকিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক টানাপোড়নের মধ্যে উত্তরপূর্ব রাজ্যের ট্রাভেল সেক্টরের সংগঠন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

২ ডিসেম্বর থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের হোটেলগুলোতে বাংলাদেশি নাগরিকদের থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বাংলাদেশে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার এবং এর জেরে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপড়েনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যটির হোটেল মালিক সমিতি।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের আর ত্রিপুরার কোনো হোটেলে থাকতে দেওয়া হবে না।

এছাড়া ত্রিপুরার হোটেলগুলোর ফ্রন্ট ডেস্কে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিষিদ্ধের বিষয়টি জানিয়ে পোস্টার টানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নিরাপত্তা তল্লাশি আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন।

অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ভাস্কর চক্রবর্তী জানিয়েছেন, হোটেল মালিকরা এই সিদ্ধান্তে ঐক্মত্য প্রকাশ করেছেন এবং সিদ্ধান্তটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে গতকাল সোমবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা চালায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠনের সমর্থকেরা। এছাড়া গতকাল মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের কাছাকাছি বিশ্ব হিন্দু পরিষদও (ভিএইচপি) বিক্ষোভ করে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি হচ্ছে ভিএইচপির সহযোগী সংগঠন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগরতলার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়ে বলেছে, কূটনৈতিক ও কনস্যুলার সম্পত্তি কোনো অবস্থাতেই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। নয়াদিল্লিহ অন্যান্য স্থানে বাংলাদেশের হাইকমিশন এবং উপ ও সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে ভারত সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।

এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সহকারী হাইকমিশনের মূল ফটক ভেঙে বিক্ষোভকারীরা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছে। এই ঘটনায় বাংলাদেশ ‘গভীরভাবে ক্ষুব্ধ’।