ঢাকা ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দল নেই নির্বাচনে,তবুও সিলেটে প্রার্থী তারা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৫৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ২৮৯ বার পড়া হয়েছে

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও সিলেটে রয়েছে বিএনপির একাধিক প্রার্থী। প্রথম ধাপের সিলেট জেলার চারটি, সুনামগঞ্জ জেলার দুইটি, মৌলভীবাজারের তিনটি এবং হবিগঞ্জের দুইটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিভাগের ৩ জেলায় বিএনপির ১৩ জন নেতা প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সাতজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় তিনজন ও দিরাইয়ে দুজন এবং মৌলভীবাজারের বড়লেখায় একজন প্রার্থী রয়েছেন।

 

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বিভাগের চার জেলার মধ্যে সিলেটের সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ; সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা; মৌলভীবাজারের জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা এবং হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলায় প্রথম ধাপে নির্বাচন হচ্ছে। এসব উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকলেও সিলেটের বিশ্বনাথ, সুনামগঞ্জের শাল্লায় ও দিরাইয়ে এবং মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি প্রার্থীও।

 

বিশ্বনাথে চেয়ারম্যান পদে যে চার বিএনপি নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন তাঁরা হলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সুহেল আহমদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন। তাঁদের মধ্যে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সুহেল আহমদ চৌধুরী দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। তাঁর বহিষ্কারাদেশ এখন পর্যন্ত প্রত্যাহার করা হয়নি।

 

প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই ভাইস চেয়ারম্যান হচ্ছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কাওছার খান এবং খাজাঞ্চী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রব। তবে গতকাল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ঋণখেলাপির দায়ে আবদুর রবের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এ ছাড়া উপজেলাটিতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন উপজেলা বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক বেগম স্বপ্না শাহীন।

সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি গণেশ চন্দ্র দাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. সাইফুর রহমান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবদুল মজিদ প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া দিরাই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাপ মিয়া। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি ছবি চৌধুরী প্রার্থী হয়েছেন।

 

মৌলভীবাজারে বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রাহেনা বেগম হাছনা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।

 

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমদ চৌধুরী জানান, বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটাই চূড়ান্ত। এসব পাতানো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। এসব নির্বাচনে প্রশাসন প্রভাবিত থাকে। জনগণের মতামতের মূল্য দেওয়া হয় না। যতদিন পর্যন্ত দেশে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না এসেছে, সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না ততদিন আমরা নির্বাচনে যাবো না। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। তাই দলের নেতাদের সবাই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন। এরপরও কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

দল নেই নির্বাচনে,তবুও সিলেটে প্রার্থী তারা

আপডেট সময় ০৮:৫৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও সিলেটে রয়েছে বিএনপির একাধিক প্রার্থী। প্রথম ধাপের সিলেট জেলার চারটি, সুনামগঞ্জ জেলার দুইটি, মৌলভীবাজারের তিনটি এবং হবিগঞ্জের দুইটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিভাগের ৩ জেলায় বিএনপির ১৩ জন নেতা প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সাতজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় তিনজন ও দিরাইয়ে দুজন এবং মৌলভীবাজারের বড়লেখায় একজন প্রার্থী রয়েছেন।

 

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বিভাগের চার জেলার মধ্যে সিলেটের সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ; সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা; মৌলভীবাজারের জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা এবং হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলায় প্রথম ধাপে নির্বাচন হচ্ছে। এসব উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকলেও সিলেটের বিশ্বনাথ, সুনামগঞ্জের শাল্লায় ও দিরাইয়ে এবং মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি প্রার্থীও।

 

বিশ্বনাথে চেয়ারম্যান পদে যে চার বিএনপি নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন তাঁরা হলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সুহেল আহমদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন। তাঁদের মধ্যে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সুহেল আহমদ চৌধুরী দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। তাঁর বহিষ্কারাদেশ এখন পর্যন্ত প্রত্যাহার করা হয়নি।

 

প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই ভাইস চেয়ারম্যান হচ্ছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কাওছার খান এবং খাজাঞ্চী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রব। তবে গতকাল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ঋণখেলাপির দায়ে আবদুর রবের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এ ছাড়া উপজেলাটিতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন উপজেলা বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক বেগম স্বপ্না শাহীন।

সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি গণেশ চন্দ্র দাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. সাইফুর রহমান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবদুল মজিদ প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া দিরাই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাপ মিয়া। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি ছবি চৌধুরী প্রার্থী হয়েছেন।

 

মৌলভীবাজারে বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রাহেনা বেগম হাছনা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।

 

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমদ চৌধুরী জানান, বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটাই চূড়ান্ত। এসব পাতানো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। এসব নির্বাচনে প্রশাসন প্রভাবিত থাকে। জনগণের মতামতের মূল্য দেওয়া হয় না। যতদিন পর্যন্ত দেশে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না এসেছে, সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না ততদিন আমরা নির্বাচনে যাবো না। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। তাই দলের নেতাদের সবাই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন। এরপরও কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।