ঢাকা ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
বৈরী আবহাওয়াতেও জমে উঠেছে মৌলভীবাজারের কোরবানির হাট হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রহ:) পৌর ঈদগাহে ৩ টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে তারেক জিয়া পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহবায়ক মান্না, সদস্য সচিব শাকিব নির্বাচিত হাসিনার দু:শাসনে সরকারের সব প্রতিষ্ঠান সর্বনাশ করে দিয়ে গেছে – সাবেক এমপি এম নাসের রহমান ছি ন তা ই য়ে র নাটক ছি ন তা ই কৃ ত টাকাসহ গ্রে ফ তা র -২  কমলগঞ্জে ডা/কা/তি/র রহস্য উদঘাটন, ডা/কা/ত দলের ৩ সদস্য গ্রে/ফ/তা/র কোটচাঁদপুরে, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত ঈদুল আযহা ও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সুশীল সমাজ, সাংবাদিকদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় বিআরটিএ’র অভিযানে মৌলভীবাজারে জরিমানা এম সাইফুর রহমান স্মৃতিপরিষদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

দিশেহারা সাত ভাই বোন,মা খু ন বাবা কারাগারে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৬৬১ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ  মা খুন ও বাবা কারাগারে যাওয়ার পর যেন অকূল পাথারে পড়েছে সাত ভাই বোন। তাদের আহাজারিতে ভিজে উঠছে আশপাশে থাকা মানুষের চোখও।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় হাত ও পা কেটে সাবেক স্ত্রীর হত্যাকারী সুজন মিয়া আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তালাকের চার মাসের মধ্যে স্ত্রী আরও দুটি বিয়ে করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এই হত্যাকাণ্ডের সিদ্ধান্ত নেন বলে আদালতকে জানান সুজন।

রোববার (২৭ আগস্ট) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক।

এদিন বিকেলে হবিগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিম ১৬৪ ধারায় সুজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

নিহত আকলিমা বেগম (৩৫) চুনারুঘাট উপজেলার খেতামারা গ্রামের সুজন মিয়ার সাবেক স্ত্রী ও ছনখলা গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের মেয়ে।

পুলিশ জানায়, রোববার সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফেরার পথে সাবেক স্ত্রী আকলিমাকে পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাত ও পা কেটে ফেলেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই নারীর মৃত্যু হয়।

স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসি জানান, ওই দম্পতির সাতটি সন্তান রয়েছে এবং পারিবারিক কলহের জেরে চার মাস আগে আকলিমা সুজনকে তালাক দিয়ে অন্য আরেকজনকে বিয়ে করেন। চার মাসের মধ্যে দ্বিতীয় স্বামীকে তালাক দিয়ে তিনি তৃতীয় বিয়ে করেন।

এসব কারণে সুজন ক্ষিপ্ত হন। তিনি নারিকেল গাছ পরিষ্কারের শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। সেই কাজে ব্যবহৃত দা দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

হত্যার রাতেই চুনারুঘাট থানা পুলিশ সুজনকে গ্রেপ্তার করে এবং নিহত আকলিমার ভাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আকলিমা ও সুজন দম্পতির সন্তানরা হলো- তাহমিনা আক্তার (১৫), তানজিনা আক্তার (১৩), মমনিনা আক্তার (১০), ছাবিনা আক্তার (৮), সাহেদা আক্তার (৫), আতাউর রহমান (৩) ও হাবিবুর রহমান (৯ মাস)।

স্থানীয়রা জানান, মা মারা যাওয়ার পর সাত ভাই-বোন তারা তাদের নানা বাড়িতে চলে গেছে।

বড় মেয়ে তানজিনা জানায়, তার বাবা মাদকাসক্ত ছিলেন। প্রায়ই মাতাল হয়ে বাড়ি ফিরে তাদের মাকে মারধর করতেন। এ কারণেই তাদের তালাক হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

দিশেহারা সাত ভাই বোন,মা খু ন বাবা কারাগারে

আপডেট সময় ০৯:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ  মা খুন ও বাবা কারাগারে যাওয়ার পর যেন অকূল পাথারে পড়েছে সাত ভাই বোন। তাদের আহাজারিতে ভিজে উঠছে আশপাশে থাকা মানুষের চোখও।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় হাত ও পা কেটে সাবেক স্ত্রীর হত্যাকারী সুজন মিয়া আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তালাকের চার মাসের মধ্যে স্ত্রী আরও দুটি বিয়ে করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এই হত্যাকাণ্ডের সিদ্ধান্ত নেন বলে আদালতকে জানান সুজন।

রোববার (২৭ আগস্ট) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক।

এদিন বিকেলে হবিগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিম ১৬৪ ধারায় সুজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

নিহত আকলিমা বেগম (৩৫) চুনারুঘাট উপজেলার খেতামারা গ্রামের সুজন মিয়ার সাবেক স্ত্রী ও ছনখলা গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের মেয়ে।

পুলিশ জানায়, রোববার সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফেরার পথে সাবেক স্ত্রী আকলিমাকে পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাত ও পা কেটে ফেলেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই নারীর মৃত্যু হয়।

স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসি জানান, ওই দম্পতির সাতটি সন্তান রয়েছে এবং পারিবারিক কলহের জেরে চার মাস আগে আকলিমা সুজনকে তালাক দিয়ে অন্য আরেকজনকে বিয়ে করেন। চার মাসের মধ্যে দ্বিতীয় স্বামীকে তালাক দিয়ে তিনি তৃতীয় বিয়ে করেন।

এসব কারণে সুজন ক্ষিপ্ত হন। তিনি নারিকেল গাছ পরিষ্কারের শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। সেই কাজে ব্যবহৃত দা দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

হত্যার রাতেই চুনারুঘাট থানা পুলিশ সুজনকে গ্রেপ্তার করে এবং নিহত আকলিমার ভাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আকলিমা ও সুজন দম্পতির সন্তানরা হলো- তাহমিনা আক্তার (১৫), তানজিনা আক্তার (১৩), মমনিনা আক্তার (১০), ছাবিনা আক্তার (৮), সাহেদা আক্তার (৫), আতাউর রহমান (৩) ও হাবিবুর রহমান (৯ মাস)।

স্থানীয়রা জানান, মা মারা যাওয়ার পর সাত ভাই-বোন তারা তাদের নানা বাড়িতে চলে গেছে।

বড় মেয়ে তানজিনা জানায়, তার বাবা মাদকাসক্ত ছিলেন। প্রায়ই মাতাল হয়ে বাড়ি ফিরে তাদের মাকে মারধর করতেন। এ কারণেই তাদের তালাক হয়।