ঢাকা ০১:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার পেলেন ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খাদিম ঘরের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণালোকার চুরি সাবেক সমাজ কল্যাণ মন্ত্রীর ছোট ভাই গ্রে/ফ/তা/র বাজারে রিয়েলমির ‘ব্যাটারি মনস্টার’স্মার্টফোন সি৭১, এক ঘণ্টা চার্জে চলবে ২ দিন  সিলেট রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ জেলা মৌলভীবাজার সেরা থানা সদর মৌলভীবাজারে দেশী বিদেশী জাল টাকার নোটসহ আটক -১ কুলাউড়া সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ ৭ বাংলাদেশিকে ফের পুশইন দীর্ঘদিন পর আবারও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি বিভক্তির অবসান মৌলভীবাজারে আগামী ২৫-২৭ তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলা মৌলভীবাজারে বাড়ছে মনু ধলাই ফানাই সোনাইর পানি: প্রতিরক্ষা বাধের স্থানে স্থানে ঝুঁকি

দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি.এন্ড হাই স্কুলের ছাত্রকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৪১১২ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি.এন্ড হাই স্কুলের ৪র্থ শ্রেনীর  ছাত্র মো: আরিয়ান হোসেন কাব্যকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিঠে আঘাত করে।

গত ১১ নভেম্বর সোমবার দুপুর ১ টার দিকে  দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি.এন্ড হাই স্কুলে এ ঘটনাটি ঘটে।

এব্যাপারে ছেলের বাবা আনোয়ার হোসেন স্কুল কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন,  গত ১১.১১.২০২৪ইং তারিখ রোজ সোমবার স্কুল চলাকালীন সময় আনুমানিক বেলা ১ ঘটিকায় অত্রবিদ্যালয়ের জনৈক শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের কক্ষের সামনে থেকে আমার কনিষ্ঠ ছেলেকে মুখ চেপে ধরে ঐ ভবনের ২য় তলায় ১টি কক্ষে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। তাকে নান-চাকু দিয়ে পিঠে আঘাত করে ও পরবর্তীতে তার ব্যাগ থেকে ধারালো চাকু বের করে আঘাত করার সময় আমার ছেলে দৌড়ে বের হয়ে আসে। আমার ছেলে তাৎক্ষনিক অত্রবিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রোকসানা ম্যাডাম কে ভয়ের সাথে জড়িয়ে ধরে তাকে ঘটনা বলে। রোকসানা ম্যাডাম ঐ সময় আমার ছেলেকে নিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য-কে বলে। প্রধান শিক্ষক আমার ছেলেকে ক্লাসে চলে যেতে বলে। আমার ছেলে ক্লাসে চলে যায় এবং ঐ সময় ক্লাস শিক্ষক- কে ও ঘটনাটি বলে। প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তাৎক্ষনিক কোন ব্যবস্থা নেয় নাই। ঐ সময় ব্যবস্থা নিলে জনৈক শিক্ষার্থী সনাক্ত হতো। সন্ধার সময় জনাব শাওন মজুমদার সুমন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়ের সামনে ৩য় তলার সিসি ক্যামরার ফুটেজ দেখা হয়। ঐ সময় ৩য় তলায় কিছু পাওয়া যায়নি। রাতে আমার ছেলেকে জিঙ্গাসা করে জানা যায় যে, তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ২য় তলার ০১টি কক্ষে। আশ্চার্যজনক বিষয় হচ্ছে যে, তাকে যে কক্ষে নির্যাতন করা হয়েছে সেই কক্ষটির সিসি ক্যামরায় বর্তমানে কোন ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। আমি নিন্মস্বাক্ষরকারীর সন্ধেহ হচ্ছে উক্ত সিসি ক্যামরা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে নষ্ট করা হয়েছে। আমার ছেলেকে পিঠে আঘাত করাতে তার নাক দিয়ে রক্ত বের হয় ও চোখে ঝাপসা দেখছে। তাকে তাৎক্ষনিক মেডিসিন ডাক্তার ও চোখের ডাক্তার দেখানো হয়।

অভিভাবক আনোয়ার হোসেন আরো জানান,তাৎক্ষণিক স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেই নি। ছুটির পরে আমার ছেলে বাসায় এসে বলার পর তার নাক দিয়ে রক্ত দেখে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই। এবং এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  আজও সে এক চোখে দেখতে পারছে না।

দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি.এন্ড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ ব্যাপারে বলেন আমরা সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে কিছু পাইনি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক একজন ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়েছিলেন আমি প্রধান শিক্ষকসহ এ ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করে এ ব্যাপারটি খতিয়ে দেখেছি ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি.এন্ড হাই স্কুলের ছাত্রকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত

আপডেট সময় ০৩:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি.এন্ড হাই স্কুলের ৪র্থ শ্রেনীর  ছাত্র মো: আরিয়ান হোসেন কাব্যকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিঠে আঘাত করে।

গত ১১ নভেম্বর সোমবার দুপুর ১ টার দিকে  দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি.এন্ড হাই স্কুলে এ ঘটনাটি ঘটে।

এব্যাপারে ছেলের বাবা আনোয়ার হোসেন স্কুল কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন,  গত ১১.১১.২০২৪ইং তারিখ রোজ সোমবার স্কুল চলাকালীন সময় আনুমানিক বেলা ১ ঘটিকায় অত্রবিদ্যালয়ের জনৈক শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের কক্ষের সামনে থেকে আমার কনিষ্ঠ ছেলেকে মুখ চেপে ধরে ঐ ভবনের ২য় তলায় ১টি কক্ষে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। তাকে নান-চাকু দিয়ে পিঠে আঘাত করে ও পরবর্তীতে তার ব্যাগ থেকে ধারালো চাকু বের করে আঘাত করার সময় আমার ছেলে দৌড়ে বের হয়ে আসে। আমার ছেলে তাৎক্ষনিক অত্রবিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রোকসানা ম্যাডাম কে ভয়ের সাথে জড়িয়ে ধরে তাকে ঘটনা বলে। রোকসানা ম্যাডাম ঐ সময় আমার ছেলেকে নিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য-কে বলে। প্রধান শিক্ষক আমার ছেলেকে ক্লাসে চলে যেতে বলে। আমার ছেলে ক্লাসে চলে যায় এবং ঐ সময় ক্লাস শিক্ষক- কে ও ঘটনাটি বলে। প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তাৎক্ষনিক কোন ব্যবস্থা নেয় নাই। ঐ সময় ব্যবস্থা নিলে জনৈক শিক্ষার্থী সনাক্ত হতো। সন্ধার সময় জনাব শাওন মজুমদার সুমন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়ের সামনে ৩য় তলার সিসি ক্যামরার ফুটেজ দেখা হয়। ঐ সময় ৩য় তলায় কিছু পাওয়া যায়নি। রাতে আমার ছেলেকে জিঙ্গাসা করে জানা যায় যে, তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ২য় তলার ০১টি কক্ষে। আশ্চার্যজনক বিষয় হচ্ছে যে, তাকে যে কক্ষে নির্যাতন করা হয়েছে সেই কক্ষটির সিসি ক্যামরায় বর্তমানে কোন ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। আমি নিন্মস্বাক্ষরকারীর সন্ধেহ হচ্ছে উক্ত সিসি ক্যামরা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে নষ্ট করা হয়েছে। আমার ছেলেকে পিঠে আঘাত করাতে তার নাক দিয়ে রক্ত বের হয় ও চোখে ঝাপসা দেখছে। তাকে তাৎক্ষনিক মেডিসিন ডাক্তার ও চোখের ডাক্তার দেখানো হয়।

অভিভাবক আনোয়ার হোসেন আরো জানান,তাৎক্ষণিক স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেই নি। ছুটির পরে আমার ছেলে বাসায় এসে বলার পর তার নাক দিয়ে রক্ত দেখে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই। এবং এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  আজও সে এক চোখে দেখতে পারছে না।

দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি.এন্ড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ ব্যাপারে বলেন আমরা সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে কিছু পাইনি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক একজন ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়েছিলেন আমি প্রধান শিক্ষকসহ এ ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করে এ ব্যাপারটি খতিয়ে দেখেছি ।