মৌলভীবাজারে দৃষ্টিনন্দন মসজিদে জুমার নামাজ পড়লেন মুসল্লিরা
- আপডেট সময় ০৬:০৪:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২
- / ১১০২ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: প্রায় এক বছর পর পুন:নির্মিত মৌলভীবাজার শহরের শান্তিবাগ মসজিদে মুসল্লিরা জুমার নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে নিয়মিত কার্যক্রম শুরু করা করা হয়েছে । নির্মিত এ মসজিদটির নির্মাণশৈলী ইতোমধ্যে মুসল্লিদের দৃষ্টি কেড়েছে।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বেলা পৌনে ২টার দিকে পৌর শহরের শান্তিবাগ জামে মসজিদ’নামে নির্মিত মসজিদে জুমার নামাজ শুরু হয়।এ উপলক্ষে মসজিদে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।দোয়া করা হয় সকল দাতা ও শ্রম দানকারীদের জন্যে ।
শান্তিবাগ জামে মসজিদটি ১৯৮১ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করলেও ছিল জীর্নশীর্ন। এবার শান্তিবাগ এলাকাবাসী ও প্রবাসীদের উদ্যোগে মসজিদ ভবনটি পেয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। পোনে তিন শতাংশ জমি উপর নির্মিত মসজিদটিতে রয়েছে আধুনিক নির্মান শৈলী। ইতোমধ্যে আধুনিক ৪তলা ভবন পর্যন্ত নির্মাণ করা করা হয়েছে ।
মসজিদের মোতোয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সৈয়দ আবু লেইছ নেছার আহমদ ও কানাডা প্রবাসী সৈয়দ আবু বক্কর আব্দুল্লাহ।
নামজ শুরু আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, মসজিদ নির্মান কমিটির সভাপতি ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত ম্যানেজার সোনালী ব্যাংক এইচ এম মোস্তাক আহমদ, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার সরকারী কলেজের অরসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. মো: ফজলুল আলী, মসজিদ কমিটির অর্থ সম্পাদক,চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক ও সমাজসেবক আব্দুর রহিম রিপন,নির্মাণ কমিটির সদস্য সচিব নাজিম উদ্দিন নজরুল,বিশিষ্ট রাজনিতিবিদ সৈয়দ শাহাবুদ্দিন আহমদ, সাবেক ব্যাংকার আব্দুল মজিদ খসরু, সাংবাদিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রুহুল আমীন,মৌলভীবাজার পৌরসভার কর্মরত আব্দুল মতিন, মসজিদ কমিটির সদস্য আহসান উদ্দিন চৌধুরী সুইট,কাউন্সিলর সালেহ আহমদ প্রমূখ ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক ক্রিড়া ও সাংকৃতিক সম্পাদক এশিয়ান টিভি,দৈনিক আমার সংবাদ প্রতিনিধি ও মৌলভীবাজার২৪ ডট কমের সম্পাদক মোঃ মাহবুবুর রহমান রাহেল।
মসজিদের সকল প্রকার ছবি ধারন করে সমাজিক যোগাযোগে সার্বিক সহযোগিতা করেন মসজিদ কমিটির সদস্য মোঃ আবুল হাশিম ও মোজাহিদ হোসেন ঝন্টু।
ছোট্ট জায়গায় মনু নদীর তীরে পুন:নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদটিতে নামাজ আদায় করে সবাই আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলাকে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন ।
তাঁরা আশা প্রকাশ করে বলেন সবার সহযোগীতা থাকলে অল্পদিনের মধ্যে বাকি ৩০ শতাংশ কাজ ও ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হবে।