ঢাকা ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
অতিরিক্ত পিপি হলেন এডভোকেট নিয়ামুল হক শাহ মোস্তফা পৌর ঈদগাহে হাজার মানুষের ঢল,তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত গ্রেটার সিলেট ডেভেলপয়েন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল (জিএসসি) ইন ইউকে এর অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ  বিতরণ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঊষার আলো সমাজকল্যাণ সংগঠনের ঈদের আনন্দ ৬০ ঘন্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর মৌলভীবাজার জেলা বাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব জুড়ীতে দারুল কিরাত ফুলতলী ট্রাষ্টের সমাপনি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডসহ সর্বস্তরের জনসাধারণকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা মৌলভীবাজার জেলা বাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এম নাসের রহমান

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৮ বার পড়া হয়েছে

নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনকে বেকসুর খালাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

 

খালেদা জিয়া বর্তমানে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছেন। তার পক্ষে আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন তার আইনজীবী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন জিয়া।

 

খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহিদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসেন, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

 

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। ওই দিন আদালতে বেগম জিয়ার খালাস চেয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

 

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আদালত এ মামলার রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকেই খালাস প্রদান করেছেন। এ মামলায় এক আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থাকলেও তা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত ছিল না। দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমান করতে না পারায় আদালত সবাইকে খালাস প্রদান করেছেন।

 

সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা করে দুদক। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছরের ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠন করেছিলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস

আপডেট সময় ০২:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনকে বেকসুর খালাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

 

খালেদা জিয়া বর্তমানে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছেন। তার পক্ষে আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন তার আইনজীবী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন জিয়া।

 

খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহিদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসেন, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

 

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। ওই দিন আদালতে বেগম জিয়ার খালাস চেয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

 

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আদালত এ মামলার রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকেই খালাস প্রদান করেছেন। এ মামলায় এক আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থাকলেও তা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত ছিল না। দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমান করতে না পারায় আদালত সবাইকে খালাস প্রদান করেছেন।

 

সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা করে দুদক। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছরের ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠন করেছিলেন।