ঢাকা ০১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কমলগঞ্জে আমদানী নিষিদ্ধ ৫২ হাজার শলাকা বিদেশী সিগারেট জব্দ,আটক – ২ জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শ্রমিকের মৃ-ত্যু মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও নির্বাচন চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ দূর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক এম নাসের রহমানের বিরুদ্ধে “অবৈধ সম্পদ অর্জনের” বিষয়ে যা বললেন নাসের রহমান মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব এর উদ্যাগে মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ শ্রীমঙ্গল বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রা ণ গেল যুবকের কুলাউড়ার স্কুল ছাত্রী হ ত্যা কা ন্ডে র রহস্য ১৮ ঘন্টার মধ্যে উদঘাটন হ ত্যা কা রী গ্রেফতার কলেজে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে বিড়ম্বনা,শিক্ষার্থীদের অনিশ্চয়তা ৫ আগস্টের আগেই দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান এনআরবি ব্যাংকের ১০ম বর্ষপূর্তি উদযাপন

নাসিব ধ্বংসে নানামুখী ষড়যন্ত্র

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৩৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৪৩ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ অতি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালে গড়ে তোলা সংগঠন নাসিব এখন ধ্বংসের পথে। বহিরাগত কিছু লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে গুটিকয়েক বহিষ্কৃত সদস্যের নানান কারসাজি ও বিগত সরকারের মন্ত্রী পর্যায়ের কয়েকজন সদস্যের সরাসরি হস্তক্ষেপে এই সংগঠনটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারিতে সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে একজন প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে শুরু হয়েছে সংগঠনটিকে মাটির তলায় মিশিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা। এই অভিযোগ সংগঠনের প্রায় সব সদস্যেরই।

নাসিবের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মির্জা নুরুল গণী শোভন ও ঢাকা জেলা সভাপতি মুহম্মদ মুনির-উজ-জামান স্বপন অভিযোগ করে জানান, তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত ময়মনসিংহ জেলার সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে এই চক্রটি সংগঠনটিকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। বৈধ পন্থায় সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত একটি সফল কমিটির বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রকারী ও কুচক্রী মহল বানোয়াট অভিযোগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। আর সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো ধরনের তদন্ত ও যথাযথ শুনানি ছাড়াই প্রশাসক নিয়োগ দেয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনিয়মতান্তিকভাবে এই প্রশাসক নিয়োগ করান। প্রশাসক নিয়োগের পর থেকে এই সংগঠনটি কার্যক্রম গতিশীলতা হারিয়ে দিন দিন স্থবির হয়ে পড়ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুব্রত কুমার দে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে নাসিবে কোনো কার্যক্রম নেই। এখন পর্যন্ত এসএমই খাত উন্নয়নে একটি কর্মসূচিও নেয়া হয়নি। প্রশাসকের দায়িত্ব নেয়ার পর জেলা সভাপতিদের নিয়ে তিনি আজ পর্যন্ত একটি বৈঠকও করেননি। উপরন্তু নাসিবের ৬২টি জেলা কমিটি ভেঙে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছেন তিনি।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

নাসিব ধ্বংসে নানামুখী ষড়যন্ত্র

আপডেট সময় ০৮:৩৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ অতি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালে গড়ে তোলা সংগঠন নাসিব এখন ধ্বংসের পথে। বহিরাগত কিছু লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে গুটিকয়েক বহিষ্কৃত সদস্যের নানান কারসাজি ও বিগত সরকারের মন্ত্রী পর্যায়ের কয়েকজন সদস্যের সরাসরি হস্তক্ষেপে এই সংগঠনটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারিতে সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে একজন প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে শুরু হয়েছে সংগঠনটিকে মাটির তলায় মিশিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা। এই অভিযোগ সংগঠনের প্রায় সব সদস্যেরই।

নাসিবের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মির্জা নুরুল গণী শোভন ও ঢাকা জেলা সভাপতি মুহম্মদ মুনির-উজ-জামান স্বপন অভিযোগ করে জানান, তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত ময়মনসিংহ জেলার সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে এই চক্রটি সংগঠনটিকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। বৈধ পন্থায় সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত একটি সফল কমিটির বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রকারী ও কুচক্রী মহল বানোয়াট অভিযোগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। আর সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো ধরনের তদন্ত ও যথাযথ শুনানি ছাড়াই প্রশাসক নিয়োগ দেয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনিয়মতান্তিকভাবে এই প্রশাসক নিয়োগ করান। প্রশাসক নিয়োগের পর থেকে এই সংগঠনটি কার্যক্রম গতিশীলতা হারিয়ে দিন দিন স্থবির হয়ে পড়ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুব্রত কুমার দে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে নাসিবে কোনো কার্যক্রম নেই। এখন পর্যন্ত এসএমই খাত উন্নয়নে একটি কর্মসূচিও নেয়া হয়নি। প্রশাসকের দায়িত্ব নেয়ার পর জেলা সভাপতিদের নিয়ে তিনি আজ পর্যন্ত একটি বৈঠকও করেননি। উপরন্তু নাসিবের ৬২টি জেলা কমিটি ভেঙে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছেন তিনি।