ব্রেকিং নিউজ
নিভৃত মানবতার ফেরিওয়ালা ফখরুল ইসলাম
নিজস্ব সংবাদ :
- আপডেট সময় ১০:১১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪৯৪ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিবেদক: সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে কিছু মানুষ আছেন যাঁরা গড়ে উঠেন সমাজের প্রয়োজনেই। কাজ করেন যাঁরা সমাজ বিনির্মাণের জন্য। কিন্তু কিছু মানুষ এই সমাজের ফেরিওয়ালা হিসেবে কাজ করেন, তবে তা নীরবে নিভৃতে। এমনই একজন মানুষ মো. ফখরুল ইসলাম। আত্মপ্রচার নয়, আত্মতৃপ্তিই যাঁর মূল উদ্দেশ্য। মানবতার কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া তেমনই একজন মানুষ তিনি। কখনও মাদরাসার এতিমদের পাশে আবার কখনও কোন দরিদ্র মানুষের ঘরে। প্রতিদিন কোন না কোন ভাল কাজ করা তার নিত্যদিনের অভ্যাস।
মো: ফখরুল ইসলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্বে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্ৰহণ করেন। তার পিতা ডা: মো: কুতুব উদ্দিন ও মাতা হালিমা খাতুন। পারিবারিকভাবে ফখরুল ইসলামের বাড়ি সামাজিক অনুশাসন ও ইসলামী সংস্কৃতির উপর প্রতিষ্ঠিত। তাঁর বাড়িতে বিশ্বের অনেক স্বনামখ্যাত স্কলার, আলিম-উলামা এসেছেন এবং তাঁর খিদমাতগুলো পরিদর্শন করেছেন।
এর মধ্যে রয়েছেন প্রখ্যাত বুযুর্গ মদিনা মোনাওয়ার সাইয়্যিদ আসিম আদি ইয়াহইয়া, শামসুল উলামা হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলা রহ., হযরত মাওলানা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী বড় ছাহেব ফুলতলী, সিরিয়ার সাইয়্যিদ শায়খ ফাদি জুবা ইবনে আলী, মক্কা শরীফের সাইয়্যিদ শায়খ আব্দুল্লাহ আল আয়দুরুস, শায়খুল হাদীস আল্লামা হবিবুর রহমান রহ., মিশরের বিশ্বক্বারী ইয়াছির আব্দুল বাছিত, ভারতের সাইয়্যিদ মোস্তাক আহমদ আল মাদানী, সাইয়্যিদ জুনাইদ আহমদ মাদানী, আল্লামা কবি রূহুল আমীন খানসহ বিশ্ববর্ণ্য আরও অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ।
এসময় তারা মোঃ ফখরুল ইসলাম এর আব্বা মরহুম আলহাজ্ব ডাঃ মোঃ কুতুন উদ্দীন সাহেবের কবর জিয়ারত করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ফখরুল ইসলামের চাচা দুদু মিয়া শহীদ হন। আরেক চাচা বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল খালিক মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। বাংলাদেশের সাবেক প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও সফল অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন তিনি। তৎকালীন সময়ে তিনি সাইফুর রহমানের সাথে থেকে ও দিকনির্দেশনা দিয়ে মৌলভীবাজার জেলায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন কার্মকান্ডে অবদান রাখেন। রাস্তাঘাট নির্মাণ, কালভার্ট ও সেতু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনসহ বিভিন্ন অনুদান বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রীয় হন। সর্বশেষ মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, মো. ফখরুল ইসলাম এম. সাইফুর রহমানপুত্র মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমানের বিশেষ আস্থাভাজন একজন। মো. ফখরুল ইসলাম নিজ এলাকা শমসেরগঞ্জ আবুরু মিয়া লতিফিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার পরিচালক, শমসেরগনজ দারুল কিরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাস্ট খামিছ শাখার সভাপতি, লতিফিয়া হিফজুল কুরআন মাদরাসা মৌলভীবাজারের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য, ডা: কুতুব উদ্দিন এডুকেশন ট্রাস্ট মৌলভীবাজারের চেয়ারম্যান, সিরাজাম মুনিরা কিন্ডার গার্টেন স্কুল, মৌলভীবাজারের সভাপতি, দৌলতপুর জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লি, লতিফিয়া ক্বারী সোসাইটি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার উপদেষ্ঠা, পূর্বদিক অফসেট প্রেসের পরিচালক, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান ও সাপ্তাহিক পূর্বদিক পত্রিকার উপদেষ্ঠা।
এছাড়াও অসংখ্যা স্কুল, কলেজ, মাদরাসা এ মসজিদের দাতা সদস্য তিনি। বিভিন্ন সময় সেইসব প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করেছেন। বিশেষ করে তাঁর তত্বাবধানে বিভিন্ন দারুল কিরাত কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসছেন শত শত ক্বারী। তাঁর সভাপতিত্বে পরিচালিত লতিফিয়া হিফজুল কুরআন মাদরাসা মৌলভীবাজার থেকে ইতোমধ্যে শ খানেক ছাত্র পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফের হিফজ সম্পন্ন করেছে। ডা. মো. কুতুব উদ্দিন ট্রাস্টের অধীনে অসহায় দরিদ্রদের ঘর বানিয়ে দেয়াসহ আরও অনেক সামাজিক খিদমাত আঞ্জাম দেয়া হয় যার অনেক কিছু প্রচারের বাইরে থাকে আর এইসব নীরবে নিভৃতে সম্পাদিত হয় মো. ফখরুল ইসলামের তত্বাবধানে।
মো. ফখরুল ইসলাম মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আপার কাগাবালা ইউনিয়ন, নাজিরাবাদ ইউনিয়ন, আমতৈল ইউনিয়ন, শ্রীমঙ্গলের মির্জাপুর ইউনিয়ন ও নবীগঞ্জের পানিউমদা ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক সালিশে নিয়মিত অংশ নেন। এসব এলাকার সর্বস্থরের মানুষ মো. ফখরুল ইসলামকে শ্রদ্ধা তাঁর অমায়িক ব্যবহারের জন্য।
দলমত নির্বিশেষে হিন্দু মুসলিম সকল মানুষ তাঁকে পছন্দ করেন। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মো. ফখরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা অবস্থান করছেন। কেউ ব্যবসায় আবার কেউ পড়ালেখায় নিয়োজিত আছেন। ইসলাম ধর্মের প্রচারের মো. ফখরুল ইসলামের পরিবারের অবদান দেশের মতো প্রবাসেও ভূমিকা রাখছেন। মো. ফখরুল ইসলামের ছোট ভাই হাফিজ সাব্বির আহমদ ইউরোপের অন্যতম বৃহত দীনি প্রতিষ্ঠান সিরাজাম মুনিরা মসজিদ এন্ড এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট বার্মিংহাম, ইংল্যান্ডের পরিচালক। ওনার সকল ভাই-ই স্বনামে প্রতিষ্ঠিত। সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে মো. ফখরুল ইসলামের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মো. ফখরুল ইসলাম বেঁচে থাকুন তাঁর কাজের মাধ্যে হাজারও, লাখো মানুষের হৃদয়ে। মানুষ থাকে না তবে থেকে যাবে নাম মানুষের খিদমাতে ফখরুল ইসলাম ।
ট্যাগস :