ঢাকা ০৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
শ্রীমঙ্গল ২৩ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএস মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৮ জনকে পুশইন করলো বিএসএফ  আসামিকে জামিনের প্রলোভনে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক গ্রে/ফ/তা/র ইউএনডিপির স্টোরি টেলিং অ্যাওয়ার্ড জিতলেন মৌলভীবাজারের সিপন দেব গ্রীন মৌলভীবাজার গড়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের ১ লক্ষ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি ATN বাংলা ইউকে প্রতিদিন হলেন মৌলভীবাজার শাওন মৌলভীবাজার সড়ক দু/র্ঘ/ট/না/য় পৌরসভার কর্মচারী নি/হ/ত ৪৪তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে প্রথমস্থান অর্জন করেছে জুড়ীর ছেলে কুলাউড়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের নতুন নেতৃত্বে পারভেজ ও সুমন ৩৬ দিন ব্যাপি নানা কর্মসূচী মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে জুলাই বিপ্লবের স্থির চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন

পরিবারের চার ভাই-ই বাকপ্রতিবন্ধী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৪৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • / ১৯৯ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কালিটি চা-বাগানের একটি শ্রমিক পরিবারে যে পরিবারের চার ভাই-ই কথা বলতে পারেনা অর্থাৎ বাকপ্রতিবন্ধী।

 

কালিটি চা-বাগানের ৮ নম্বর লাইনের বাসিন্দা রামজনম গড় (৬৫) ও বাসন্তী গড় (৫২)। তাঁদের ২ মেয়ে, ৪ ছেলে। জন্মগতভাবে সব ছেলেই বাকপ্রতিবন্ধী। বড় ছেলে হীরা গড় (২২) বাবা অবসরে যাবার পর বাগানে কাজ করছেন। কানাইলাল গড় (১৪) ও কৃষ্ণলাল গড় (১৪) তারা জমজ ভাই। ছোট ছেলে দিপক গড় (৭)। সুমিত্রা গড় নামে একজন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন কমলগঞ্জের ধলই চা-বাগানে। আরেক মেয়ে  গড়কেও বিয়ে দিতে চাচ্ছেন কিন্তু পারছেন না। পাত্রপক্ষ দেখে চলে যায়। একে তো পরিবারের সব ছেলে প্রতিবন্ধী তার ওপর মেয়েটাও স্পষ্ট করে কথা বলতে পারে না। এইজন্য রামজনম গড়েরও আক্ষেপের শেষ নাই।

 

রামজনম জানান, চার ছেলের মধ্যে শুধুমাত্র এক ছেলে কৃষ্ণলাল প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। তিনি মাঝেমধ্যে ঘাস কেটে বিক্রি করে কিছু আয় করেন। তাঁর স্ত্রীও দীর্ঘদিন পক্ষাঘাতগ্রস্থ ছিলেন। ডান হাত দিয়ে কিছু করতে পারেন না। অন্য ছেলেরা ঘরেই থাকে। এতো বড় সংসারে প্রতিদিনের খরচ যোগাতে এখন একমাত্র বড় ছেলের রোজগারই সম্বল।

 

তিনি আরও জানান, সিলেটে শেখঘাটের বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ছেলেরা দুই বছর পড়েছে। শায়েস্তাগঞ্জেরও একটি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে কারিতাসের মাধ্যমে পড়েছে। পড়তে ও লিখতে পারে ছেলেরা কিন্তু এ দিয়ে তো কিছুই হচ্ছে না। প্রতিবন্ধী ভাতা তো সবারই পাবার কথা কিন্তু এক ছেলে শুধু পাচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আশ্বাস দিয়েছেন তাও কিছু হচ্ছে না।

প্রতিবন্ধী ভাতার বিষয়ে কর্মধা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লছমী নারায়ণ অলমিক বলেন, তাদের পরিবারের একজনকে ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বাকিদের বলেছিলাম তারা এসে প্রতিবন্ধী কার্ড করার জন্য এখনো আসেনি। আসলে কার্ড করে দেব।

 

রামজনম ও বাসন্তী গড় দম্পতি প্রতিবন্ধী সন্তানদের নিয়ে দিনের পর দিন অবহেলা আর অনাদরে পড়ে থাকবেন এটা কারও কাম্য হতে পারে না।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

পরিবারের চার ভাই-ই বাকপ্রতিবন্ধী

আপডেট সময় ১০:৪৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কালিটি চা-বাগানের একটি শ্রমিক পরিবারে যে পরিবারের চার ভাই-ই কথা বলতে পারেনা অর্থাৎ বাকপ্রতিবন্ধী।

 

কালিটি চা-বাগানের ৮ নম্বর লাইনের বাসিন্দা রামজনম গড় (৬৫) ও বাসন্তী গড় (৫২)। তাঁদের ২ মেয়ে, ৪ ছেলে। জন্মগতভাবে সব ছেলেই বাকপ্রতিবন্ধী। বড় ছেলে হীরা গড় (২২) বাবা অবসরে যাবার পর বাগানে কাজ করছেন। কানাইলাল গড় (১৪) ও কৃষ্ণলাল গড় (১৪) তারা জমজ ভাই। ছোট ছেলে দিপক গড় (৭)। সুমিত্রা গড় নামে একজন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন কমলগঞ্জের ধলই চা-বাগানে। আরেক মেয়ে  গড়কেও বিয়ে দিতে চাচ্ছেন কিন্তু পারছেন না। পাত্রপক্ষ দেখে চলে যায়। একে তো পরিবারের সব ছেলে প্রতিবন্ধী তার ওপর মেয়েটাও স্পষ্ট করে কথা বলতে পারে না। এইজন্য রামজনম গড়েরও আক্ষেপের শেষ নাই।

 

রামজনম জানান, চার ছেলের মধ্যে শুধুমাত্র এক ছেলে কৃষ্ণলাল প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। তিনি মাঝেমধ্যে ঘাস কেটে বিক্রি করে কিছু আয় করেন। তাঁর স্ত্রীও দীর্ঘদিন পক্ষাঘাতগ্রস্থ ছিলেন। ডান হাত দিয়ে কিছু করতে পারেন না। অন্য ছেলেরা ঘরেই থাকে। এতো বড় সংসারে প্রতিদিনের খরচ যোগাতে এখন একমাত্র বড় ছেলের রোজগারই সম্বল।

 

তিনি আরও জানান, সিলেটে শেখঘাটের বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ছেলেরা দুই বছর পড়েছে। শায়েস্তাগঞ্জেরও একটি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে কারিতাসের মাধ্যমে পড়েছে। পড়তে ও লিখতে পারে ছেলেরা কিন্তু এ দিয়ে তো কিছুই হচ্ছে না। প্রতিবন্ধী ভাতা তো সবারই পাবার কথা কিন্তু এক ছেলে শুধু পাচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আশ্বাস দিয়েছেন তাও কিছু হচ্ছে না।

প্রতিবন্ধী ভাতার বিষয়ে কর্মধা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লছমী নারায়ণ অলমিক বলেন, তাদের পরিবারের একজনকে ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বাকিদের বলেছিলাম তারা এসে প্রতিবন্ধী কার্ড করার জন্য এখনো আসেনি। আসলে কার্ড করে দেব।

 

রামজনম ও বাসন্তী গড় দম্পতি প্রতিবন্ধী সন্তানদের নিয়ে দিনের পর দিন অবহেলা আর অনাদরে পড়ে থাকবেন এটা কারও কাম্য হতে পারে না।