পাপিয়াকে কারাগারে ঝাড়ুদারের কাজ করতে হবে
- আপডেট সময় ০৩:৪১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
- / ৪৮০ বার পড়া হয়েছে
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে যুব মহিলা লীগের সাবেক নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়াকে। গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে সোমবার (৩ জুলাই) রাতে তাকে এখানে আনা হয়।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য জানান।
কারাসূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঝাড়ুদারের কাজ করতে হবে কারাবন্দি শামীমা নুর পাপিয়াকে। এই কারাগারে দুটি কাজই রয়েছে- এর মধ্যে ঝাড়ু দেওয়া এবং নকশিকাঁথা সেলাই। জেল বিধি অনুযায়ী, বন্দি মহিলাদের জন্য কাজ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু প্রাথমিকভাবে নকশিকাঁথার কাজ সবাই পারে না। তাই শুরুতে ঝাড়ুদারের কাজই করতে হয়। সে অনুযায়ী, পাপিয়াকে ঝাড়ুদারের কাজই করতে হবে।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪০ মাস ধরে শামীমা নুর পাপিয়া গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি। ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে জেল বিধি অনুযায়ী তাকে ‘রাইটার’ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। রুনা লায়লা নামের এক হাজতিকে সম্প্রতি নির্যাতন করেন পাপিয়া। তার কাছ থেকে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেন তিনি। এ নিয়ে কারাগারের ভেতরে সালিশ বৈঠক বসে। সেখানে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বন্দি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে বিষয়টি নিয়ে রুনার ছোট ভাই গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পাপিয়াকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।
জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে পাপিয়াকে কুমিল্লায় পাঠানো হয়। কুমিল্লার কারাগারটি পুরুষদের। এ কারাগারের একটি অংশে ছোট পরিসরে মহিলা কারাগারে বন্দিদের রাখা হয়। সীমিত স্থানে শামীমা নুর পাপিয়াকে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গেই সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। ইচ্ছা করলেই তিনি পুরো কারাগারে ঘুরতে পারবেন না।
আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, এখানে অন্য বন্দিরা যেভাবে থাকেন পাপিয়াও সেভাবেই থাকবেন। জেলবিধি অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারে কাজ করা বাধ্যতামূলক। কুমিল্লা কারাগারে মহিলা বন্দিদের জন্য ঝাড়ু দেওয়া ও নকশিকাঁথার কাজ রয়েছে। এ দুটির মধ্যে যে কোনো একটি কাজ মহিলা বন্দিদের বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মফিজুর রহমান ও পাপিয়া দম্পতিকে আটক করা হয়। অস্ত্র আইনের মামলায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামীকে ২৭ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।