পুরো পরিবার রাজাকার তবুও এমপি হচ্ছেন দিলারা
- আপডেট সময় ০৮:০৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৭১৯ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ
চট্টগ্রাম থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়নের পেয়েছে তিন নারী। এরমধ্যে দিলওয়ারা ইউসুফের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে মুক্তিযোদ্ধাসহ দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাদের মতে, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে উত্তর চট্টলার হাটহাজারী থানার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্যের তালিকায় আওয়ামী লীগ থেকে কুখ্যাত রাজাকার আলী আহমদ টি.কের ভাতিজি দিলওয়ারা ইউসুফ পেয়েছেন মনোনয়ন। দেশ স্বাধীন হওয়ার তিনদিন পর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকারের কমান্ডার আলী আহমেদ টি.কে’কে রাস্তায় পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করে জংগলে ফেলে দিলেও- একই পরিবারের মেয়ে হতে যাচ্ছেন ‘সংসদ সদস্য’।
সবকিছু ঠিকঠাক, স্বাধীনতার মাসেই রাজাকার পরিবারের সন্তান দিলওয়ারা ইউসুফ নারী সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ দেবেন।
মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা বলছেন , উত্তর চট্টগ্রামকে উজ্জীবিত করার জন্য হাটহাজারীর মুক্তিপাগল ছাত্র-জনতা মহান মুক্তিযুদ্ধে যে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন, সেটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত আলী আহমদ টিকের ভাই নুর আহমদের মেয়ে দিলওরা ইউসুফকে নারী সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেবার মাধ্যমে। তাদের দাবি, মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের কাছাকাছি দূরত্বে অবস্থিত ফতেপুরের স্বাধীনতাকামী অদম্য সাহসী যুবকদের সংগঠিত করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য ভারতে প্রেরণের পেছনে এই জনপদের অবদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে যেমন চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তেমনি এলাকার নারীদের হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে ‘কুখ্যাতি’ অর্জন করা একটি পরিবারের সদস্যকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ে শেষ পেরেক টুকেছে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’।
মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের মতে, ফতেপুরের রাজাকার আলী আহমদ যুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরিয়ে দেওয়া, নারীদের পাক বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে হানাদার বাহিনীকে সন্তুষ্ট করে পেয়েছিলেন ‘টিকে’ পদবী।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা ঐতিহাসিক দলিল অনুযায়ী, টি.কের অর্থ তকমায়ে খেদমত। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আনুগত্যের নিদর্শন হিসেবে দেওয়া হতো বিশেষ এই উপাধি। নারী সংরক্ষিত আসনে চট্টগ্রাম থেকে বর্তমান সংসদের এমপি হতে চলা দেলোওয়ারা ইউসুফের চাচা আলী আহমদও পেয়েছিলেন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দেওয়া সম্মানের এমন ‘বিশেষ মোহর’। বাবা নুর আহমেদও ছিলেন রাজাকার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। হাটহাজারীর হাফেজ কামাল নামের এক মুক্তিযোদ্ধাকে বাস থেকে নামিয়ে থানায় ধরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন নুর আহমেদ।
মুক্তিযোদ্ধা হাফেজ কামালের ভাষ্যমতে, আলী আহমদ এতোটাই দুর্ধর্ষ ছিলেন- স্বাধীনতার পরপর ক্ষুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের উপর্যুপরি পাথরের আঘাতে আলী আহমদ ‘টিকে’র মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়েছিলো। যুদ্ধের সময় ফতেপুরের নুর আহমেদ আমাকে বাস থেকে নামিয়ে পান্জাবীর হাতে ধরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। আমার সাথে রিভলভার আর গ্রেনেড থাকার কারণে আমি বেঁচে যাই। স্বাধীনতার পর আলী আহমদকে মেরে ফেলে মুক্তিযোদ্ধারা। নুর আহমেদকে আমরা ধরে মারধর করে ছেড়ে দিয়েছিলাম। শুধু তাই নয়, নারী কোটায় সংসদ সদস্য হতে চলা দিলারা ইউসুফের পিতা নুর আহমেদকে এলাকা ছাড়া করেছিলেন ক্ষুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা। ‘
ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, আলী আহমদ টি. কে ও নুর আহমেদ দুজনই রাজাকার ছিলেন। কোন কারনে নুর আহমেদের নাম তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে। তবে সমসাময়িক অনেকেই বেঁচে আছেন ; তারা যুদ্ধকালীন সময়ে ওই পরিবারের নির্যাতন সম্পর্কে স্পষ্ট বলতে পারবেন৷ ‘
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে আলোচিত রাজাকার পরিবারের সদস্যকে আওয়ামী লীগে পুনর্বাসিত করেছেন দলটির এক প্রবীণ নেতা। দেশের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখা সেই আওয়ামী লীগ নেতার হাত ধরে পরিচয় লুকিয়ে দিলওয়ারা ইউসুফ হন উত্তর জেলা মহিলা লীগের সভাপতি। কমিটিতে ঢুকার সময় কৌশলে পরিচয় পাল্টে ঠিকানা হিসেবে স্বামীর ঠিকানা রাউজান দেখিয়েছেন।
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দা রাজিয়া মোস্তফা বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধ সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ড প্রকাশিত ‘মুক্তি’ বইয়ে আলী আহমদ টি.কে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আমি অবাক হয়েছি। ২০১৩ সালে উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটির অনুমোদন এক বছর দেরি করা হয়েছে। আমি নিজে প্রধানমন্ত্রীর হাতে পায়ে ধরে সেই কমিটির অনুমোদন নিয়েছিলাম। বিষয়টি আমার জানা ছিলো না; আজ এই রাজাকার পরিবারের নৃশংসতার তথ্য জেনে আমি অনুতপ্ত। কারণ উত্তর চট্টগ্রামে কুখ্যাত রাজাকার পরিবার থেকে এক নেত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন পেয়েছে, এটা মুক্তিযুদ্ধের অপমান- আমাদের জন্য লজ্জার। আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কাছে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার চাই।’
একাধিক সুত্র জানিয়েছে, এক নেতার আশির্বাদে ২০১৩ সালের ১৪ এপ্রিল মহিলা লীগের সভাপতি পদে বসেছিলেন তিনি।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক এক সাধারণ সম্পাদক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘দিলওয়ারার ভাই নজরুল জাসদের নেতা ছিলেন। তিনি কট্টর সমালোচক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এছাড়া এই রাজাকার পরিবারের বাকি সদস্যদের কেউই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত নন।’
মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, আলী আহমদ টি.কে উত্তর চট্টগ্রামের আলোচিত, ‘ কুখ্যাত রাজাকার যিনি মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত হয়েছেন, তার পরিবারের সদস্য সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন পেলে- এরচেয়ে লজ্জার কিছু নেই। এর মানে, আওয়ামী লীগসহ ক্ষমতার লড়াইয়ে জড়িত দলগুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না। রাজনৈতিক দলগুলো যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ব্যবসা করে, ক্ষমতায় থাকতে চায়, এমন অভিযোগের জ্বলজ্বল উদাহরণ কুখ্যাত রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত আলী আহমদ টি.কের ভাতিজিকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন দেওয়া।’
যদিও আওয়ামী লীগের দেওয়া মনোনয়ন ফর্মের ১০(ঙ) কলামে মুক্তিযুদ্ধে পরিবারের ভূমিকা জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু আপাদমস্তক রাজকার পরিবারের এই মেয়ে মনোনয়ন ফর্মের সেই কলামে মুক্তিযুদ্ধে তার পরিবারের ভূমিকা সম্পর্কে কি লেখেছেন সেই বিষয়ে কোন তথ্য মেলেনি।
বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন নিয়ে এমনিতেই দেশ বিদেশে তীব্র সমালোচনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মহান জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে ‘দিলওয়ারা ইউসুফ’ নামের রাজাকার পরিবারের সদস্য কিভাবে মনোনয়ন পেলেন সেটি আসলেই বড় প্রশ্ন। শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতাদের ম্যানেজ করে রাজাকারের তকমা মুছে পরিস্কার করে ফেললেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে তার পূর্বপুরুষদের নির্যাতনে সৃষ্ট ক্ষত আর রক্তের দাগ মুছা অসম্ভব।
অনুসন্ধান বলছে, মুক্তিযুদ্ধের অগ্নিঝরা দিনে হাটহাজারীর ফতেপুর গ্রামের আলী আহমেদ, অলি আহমেদ, নুর আহমেদসহ ছয় ভাইয়ের ঘরে স্থাপন করা করা হয়েছিলো টর্চার সেল। ছয় রাজাকারের মধ্যে নুর আহমেদের মেয়ে দিলওয়ারা।
মুক্তিযুদ্ধ গবেষকদের তথ্যমতে, মুক্তিযুদ্ধকালীন হাটহাজারীর ইসলামিয়া হাটস্থ রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার ও শান্তি কমিটির প্রধান আলী আহমেদ টি.কে। তাদের টর্চার সেল থেকে সাকা চৌধুরীর গুডস হিলে পাঠানো হতো মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া পরিবারের নারীদের।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ড প্রকাশিত দ্বিবার্ষিক প্রকাশনা মুক্তি’র তথ্য অনুযায়ী, হাটহাজারীর বারেক সওদাগর বাড়ির মৌলানা আবদুস সভুরকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন আলী আহমদ টি.কে। বারেক সওদাগরের মেজ ছেলে মৌলানা তৈয়বকে মেরে মুমূর্ষু অবস্থায় গুডস হিলে ফেলে দেবার নায়ক আলী আহমদ টি. কে।
শুধু তাই নয়, সুকেন্দু বিকাশ দাশ নামের এক প্রাইমারি স্কুল শিক্ষককে হাটহাজারীর অদুদিয়া মাদ্রাসায় নিয়ে হত্যা করে বালি চাপা দিয়েছিলেন আলী আহমদ টি. কে। মুক্তিযোদ্ধা আবুল মেম্বারকে হাটহাজারীর মদনহাট এলাকায় বেদম মারধর করেছেন আলী আহমদ টি. কে ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এছাড়া মদন হাটের হাফেজ কামালকে বেদম মারধর করেছিলেন এই আলী আহমদ টি.কে। নির্যাতনের ক্ষতচিহ্ন নিয়ে আজও বেঁচে আছেন হাফেজ কামাল।
জানতে চাইলে হাফেজ কামাল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার মতো অনেকেই ওই পরিবারের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। নারীদের পাক বাহিনীর হাতে তুলে দিতেন আলী আহমদ টি.কে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের পাক বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা আদায় করতেন। আলী আহমদ টি কে’র ভাই নুর আহমেদ ( দিলারা ইউসুফের বাবা) মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাকে ধরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন পাঞ্জাবিদের হাতে। আমার কাছে গেনেট থাকায় পারে নি। ‘
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম অঞ্চলের এক মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডার বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন পত্র কিনেছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাবপ্রাপ্ত বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছোট মেয়ে ফাতেমা আমিন। ফাতেমা আমিন কিংবা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পরিবার থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতার জন্য মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেও কুখ্যাত রাজাকার আলী আহমদ টি. কে’র ভাতিজির হাতেই চড়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন।
তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের আলাদা ভাবমূর্তি রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার মাসে নারী সংসদ সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদে ডুকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে কালি ছড়াবেন দিলওয়ারা ইউসুফ। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর কুখ্যাত রাজাকার কণ্যাকে মনোনয়ন দিয়ে সংসদে ঢুকার রাস্তা মসৃণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে চুনখালী দেওয়ার সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
এবিষয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ এক যুগ ধরে দিলারা ইউসুফ উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। মনোনয়ন পাবার পরে কেন প্রশ্ন উঠলো। ‘
অনেকেই বলছেন দিলওয়ারার স্বামী ইউসুফ সিকদার ছাত্রলীগ করেছেন। মেয়েরা বিয়ের পর বাবা নয় স্বামীর পরিচয়ে পরিচিতি পান।
জানতে চাইলে উত্তর জেলা মহিলা লীগের এক নেত্রী বলেন, তার স্বামীও দুবাই থেকে স্বর্ণের ব্যবসা করতে গিয়ে আটক হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নয়। ‘
মহিলা সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন শামীমা হারুন লুবনা ; আবদুল্লাহ আল হারুনের মেয়ে। তার চাচা আবদুল্লাহ আল নোমান বিএনপির সাবেক মন্ত্রী। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় হারুনের ভূমিকা তার পথ পরিস্কার করেছে৷ একইভাবে ওয়াসিকা আয়েশা খান, আতাউর রহমান খান কায়সারের মেয়ে। তিনিও বাবার পরিচয় ও মুক্তিযুদ্ধে পরিবারের ভূমিকার কারণে বার বার মহিলা সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন। দিলওয়ারা ইউসুফের পুরো পরিবার রাজাকার সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকায়।
প্রসঙ্গত, আইন প্রণয়নে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ১৯৭২ সালে সংবিধানে বিশেষ কোটা চালু করা হয়। তারপর থেকে প্রতিটি সংসদ নির্বাচনেই নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ থাকছে। একাদশ সংসদে চট্টগ্রাম থেকে দু’জন নারী সংরক্ষিত আসনে এমপি ছিলেন। দিলওয়ারা ইউসুফসহ এবার সেই সংখ্যা বেড়ে তিন হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য চট্টগ্রামের ৭৪ নারীনেত্রী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।