পুলিশের গোটা পরিবার মেঘনায় ডুবে গেলো
- আপডেট সময় ০৩:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
- / ১৯২ বার পড়া হয়েছে
ভাগনি মারিয়াকে নিয়ে ভৈরবে বেড়াতে যান পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা। ভাগনির অনুরোধে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ট্রলার নিয়ে ঘুরতে বের হন। মেঘনা নদীতে কয়েকজন পর্যটক মাঝিকে ছবি তোলার জন্য অনুরোধ করেন। এ সময় তিনি হাতের বৈঠা ছেড়ে ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। তখন ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয়। আর আমার ভাইসহ তার পরিবার শেষ। এখনও তাদের পাই না। আমার জেঠা-জেঠিও ভাই আর তার পরিবারের লাশের অপেক্ষায় আছেন।’
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে ভৈরব জেলার মেঘনা নদীর রেলওয়ের দুই সেতু সংলগ্ন এলাকায় ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
ভৈরবে পর্যটকবাহী ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ কনস্টেবল সোহেল রানার চাচাতো ভাই ইমরান হোসেন এভাবেই ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন। এ সময় তিনি কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ ঘটনায় কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার পূর্ব ফতেহাবাদ গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য আবদুল আলিমের ছেলে কনস্টেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (২৫) দুই সন্তান মাহমুদা সুলতানা ইভা (৪) ও রাইসুল ইসলাম (৩) নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ সোহেলা রানা ভৈরব হাইওয়ে থানায় কনস্টেবল পদে চাকরি করতেন। ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগ দেন।