ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান এম এ রহিম আর নেই

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০১:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৭৭৪ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজরর২৪ ডেস্কঃ 

শ্রীমঙ্গল থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান এম এ রহিম আর নেই।

বৃহস্পতিবার ( ১৯ এপ্রিল)  রাত এগারোটা চল্লিশ মিনিটে তিনি মারা যান।

১৯৬৮ সালে তার নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গলের থানা ছাত্রলীগের কমিটি গঠিত হয়। ১৯৭০ সালে ৬ এপ্রিল পাকিস্তান সরকার সামরিক আইনে জয় বাংলা তথা পাকিস্তান ভাঙ্গা র অভিযোগে তাকে সহ অপর তিনজনকে গ্রেফতার করে মৌলভীবাজার জেলে প্রেরণ করে। কিন্তু জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও আন্দোলনের মুখে পাক সরকার পরদিন তাদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
জয় বাংলা মামলার তথা পাকিস্তান ভাঙ্গার চার আসামী মধ্যে তিনজনই শেষ হয়ে গেলেন। তাদের মধ্যে বাকি ৩ জন হলেন রাসেন্দ্র দত্ত, এস এ মুজিব ও মোহাম্মদ শাহজাহান ।

তিনি ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭০ এর নির্বাচন সর্বোপরি ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেন।

১৯৮৩ ও ১৯৮৮ পরপর দুবার পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

জাতীয় সংসদে নির্দলীয় প্রার্থীদের পাস করানোর অনেক কিছুই তিনি করেছেন।
১৯৭৫ সাল থেকে শুরু করে ১৯৯০ এর গণদ্বুত্থান পর্যন্ত প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবদান ছিল অপরিসীম।

১৯৭১ সালে ভারতের বিএলে ব্যস্ততা মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসেবে ভারতের ট্রেনিং নিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার ধারক বাহকদের সংকীর্ণমনা রাজনীতির কারণে তাঁর মুক্তিযোদ্ধা তলিকার আবেদন শ্রীমঙ্গল থানা যাচাই-বাছাই কমিটি মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত তথ্য মেনেনি বলে দ্বিধা বিভক্ত অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছিল।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান এম এ রহিম আর নেই

আপডেট সময় ০৭:০১:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩

মৌলভীবাজরর২৪ ডেস্কঃ 

শ্রীমঙ্গল থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান এম এ রহিম আর নেই।

বৃহস্পতিবার ( ১৯ এপ্রিল)  রাত এগারোটা চল্লিশ মিনিটে তিনি মারা যান।

১৯৬৮ সালে তার নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গলের থানা ছাত্রলীগের কমিটি গঠিত হয়। ১৯৭০ সালে ৬ এপ্রিল পাকিস্তান সরকার সামরিক আইনে জয় বাংলা তথা পাকিস্তান ভাঙ্গা র অভিযোগে তাকে সহ অপর তিনজনকে গ্রেফতার করে মৌলভীবাজার জেলে প্রেরণ করে। কিন্তু জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও আন্দোলনের মুখে পাক সরকার পরদিন তাদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
জয় বাংলা মামলার তথা পাকিস্তান ভাঙ্গার চার আসামী মধ্যে তিনজনই শেষ হয়ে গেলেন। তাদের মধ্যে বাকি ৩ জন হলেন রাসেন্দ্র দত্ত, এস এ মুজিব ও মোহাম্মদ শাহজাহান ।

তিনি ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭০ এর নির্বাচন সর্বোপরি ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেন।

১৯৮৩ ও ১৯৮৮ পরপর দুবার পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

জাতীয় সংসদে নির্দলীয় প্রার্থীদের পাস করানোর অনেক কিছুই তিনি করেছেন।
১৯৭৫ সাল থেকে শুরু করে ১৯৯০ এর গণদ্বুত্থান পর্যন্ত প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবদান ছিল অপরিসীম।

১৯৭১ সালে ভারতের বিএলে ব্যস্ততা মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসেবে ভারতের ট্রেনিং নিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার ধারক বাহকদের সংকীর্ণমনা রাজনীতির কারণে তাঁর মুক্তিযোদ্ধা তলিকার আবেদন শ্রীমঙ্গল থানা যাচাই-বাছাই কমিটি মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত তথ্য মেনেনি বলে দ্বিধা বিভক্ত অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছিল।