ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় মৌলভীবাজারে মৌলভীবাজারে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আযহা বৈরী আবহাওয়াতেও জমে উঠেছে মৌলভীবাজারের কোরবানির হাট হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রহ:) পৌর ঈদগাহে ৩ টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে তারেক জিয়া পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহবায়ক মান্না, সদস্য সচিব শাকিব নির্বাচিত হাসিনার দু:শাসনে সরকারের সব প্রতিষ্ঠান সর্বনাশ করে দিয়ে গেছে – সাবেক এমপি এম নাসের রহমান ছি ন তা ই য়ে র নাটক ছি ন তা ই কৃ ত টাকাসহ গ্রে ফ তা র -২  কমলগঞ্জে ডা/কা/তি/র রহস্য উদঘাটন, ডা/কা/ত দলের ৩ সদস্য গ্রে/ফ/তা/র কোটচাঁদপুরে, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত ঈদুল আযহা ও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সুশীল সমাজ, সাংবাদিকদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় বিআরটিএ’র অভিযানে মৌলভীবাজারে জরিমানা

প্রধানমন্ত্রী দিকে তাকিয়ে আছে চা শ্রমিকরা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২
  • / ৩০৫ বার পড়া হয়েছে

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা –শ্রমিকদের ধর্মঘট ১৮তম দিনের মতো চলছে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা –বাগানের কাজ বন্ধ থাকলেও শুক্রবার শ্রমিকদের সভা– সমাবেশ বা বিক্ষোভের মতো কোনো কর্মসূচিতে পালন করতে দেখা যায়নি।

বাগান মালিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে বসার ঘোষণার পর একধরনের নীরব ধর্মঘট পালন করছেন শ্রমিকেরা।

শুক্রবার শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা–বাগান ঘুরে শ্রমিকদের তেমন একটা দেখা মেলেনি। বেশির ভাগ শ্রমিকই বাড়িতে রয়েছেন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকদের একত্রিত হয়ে সমাবেশ করার কথা রয়েছে। ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি ও পরে ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করে আসছেন চা শ্রমিকরা।

প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ চা –শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও সেটা মানছেন না সাধারণ শ্রমিকেরা।

আন্দোলন সফল করতে সড়ক, মহাসড়ক, রেলপথ অবরোধ করতে দেখা গেছে তাঁদের। দাবি আদায়ে গত কয়েক দিন ধরে বেশ উত্তাল ছিল চা– বাগানগুলো। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার চা– বাগানের মালিকদের সঙ্গে সভা করবেন। শনিবার বিকেল চারটায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা হবে বলে।

এদিকে চলমান সংকট নিরসনে শ্রীমঙ্গলস্থ বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাহিদুল ইসলামের আহŸানে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন বেশ কয়েকজন বাগান পঞ্চায়েত নেতারা। সেখানে জেলা, উপজেলা ও থানা প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠকটি শেষ হয়।

বাংলাদেশ চা– শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, ‘আমরা সবাই প্রধানমন্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিবেন, সাধারণ চা– শ্রমিকেরা সেটাই মেনে নেবেন।

এ জন্য অবশ্যই সবকিছু বিবেচনা করে একটি মানসম্মত মজুরি নির্ধারণ করবেন। আমাদের শেষ ভরসাস্থল থেকে এই আশাটুকু আমরা সবাই করছি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রধানমন্ত্রী দিকে তাকিয়ে আছে চা শ্রমিকরা

আপডেট সময় ০১:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা –শ্রমিকদের ধর্মঘট ১৮তম দিনের মতো চলছে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা –বাগানের কাজ বন্ধ থাকলেও শুক্রবার শ্রমিকদের সভা– সমাবেশ বা বিক্ষোভের মতো কোনো কর্মসূচিতে পালন করতে দেখা যায়নি।

বাগান মালিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে বসার ঘোষণার পর একধরনের নীরব ধর্মঘট পালন করছেন শ্রমিকেরা।

শুক্রবার শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা–বাগান ঘুরে শ্রমিকদের তেমন একটা দেখা মেলেনি। বেশির ভাগ শ্রমিকই বাড়িতে রয়েছেন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকদের একত্রিত হয়ে সমাবেশ করার কথা রয়েছে। ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি ও পরে ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করে আসছেন চা শ্রমিকরা।

প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ চা –শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও সেটা মানছেন না সাধারণ শ্রমিকেরা।

আন্দোলন সফল করতে সড়ক, মহাসড়ক, রেলপথ অবরোধ করতে দেখা গেছে তাঁদের। দাবি আদায়ে গত কয়েক দিন ধরে বেশ উত্তাল ছিল চা– বাগানগুলো। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার চা– বাগানের মালিকদের সঙ্গে সভা করবেন। শনিবার বিকেল চারটায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা হবে বলে।

এদিকে চলমান সংকট নিরসনে শ্রীমঙ্গলস্থ বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাহিদুল ইসলামের আহŸানে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন বেশ কয়েকজন বাগান পঞ্চায়েত নেতারা। সেখানে জেলা, উপজেলা ও থানা প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠকটি শেষ হয়।

বাংলাদেশ চা– শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, ‘আমরা সবাই প্রধানমন্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিবেন, সাধারণ চা– শ্রমিকেরা সেটাই মেনে নেবেন।

এ জন্য অবশ্যই সবকিছু বিবেচনা করে একটি মানসম্মত মজুরি নির্ধারণ করবেন। আমাদের শেষ ভরসাস্থল থেকে এই আশাটুকু আমরা সবাই করছি।