ঢাকা ০২:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজার নাগরিক প্লাটফর্ম এর ত্রৈমাসিক সভা কমলগঞ্জে ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন ৭ শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে কুলাউড়ায় জামায়াতের নির্বাচনী কর্মশালা সম্পন্ন বিশ্ব ডিম দিবস দুর্গাপুরে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা ব্রিস্টল বাংলাদেশি ক্রিকেট ক্লাবের ঐতিহাসিক অর্জন ও ২০ বছরের গৌরবময় যাত্রা টাইফয়েড টিকা নিরাপদ ও হালাল: গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান কোটচাঁদপুরে বাওড়ে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃ/ত্যু,চিকিৎসাধীন দুই শিশু রেলওয়ে সেকশনের উপসহকারী প্রকৌশলী সড়ক দুর্ঘটনায় নি/হ/ত প্রবাসীদের কোটি টাকা আত্বসাতের অভিযোগে পালকপুত্র গ্রে/ফ/তা র

প্রধান উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের প্রতি মৌলভীবাজারবাসীর খোলা চিঠি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০৩:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৫২১ বার পড়া হয়েছে

যথাবিহিত সম্মানপূর্বক জানাচ্ছি যে, আমরা প্রবাসী ও পর্যটন অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা। এ জেলার অসংখ্য প্রবাসী যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মসূত্রে স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সাধারণত প্রবাসীরা বিদেশ থেকে দেশে আসার পর তাদের সাথে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তর করার জন্য মৌলভীবাজার শহরে বেরিপারস্থ জেলার একমাত্র মানি এক্সচেঞ্জ লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান সৈয়দ মানি এক্সচেঞ্জে তা নগদ বিনিময় করে থাকেন। একমাত্র লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান থাকায় তারা নানাভাবেই নিয়মবহির্ভূভাবে গ্রাহকদের হয়রানি করছেন। প্রতিনিয়তই এমনই নানা অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকের পাসপোর্ট যাচাইপূর্বক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট ছাড়াই নানা অনিয়মের মাধ্যমে মুদ্রা কেনাবেচা করেন। যার ফলে সরকার নিয়মিত বড় ধরনের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মৌলভীবাজারে আর কোন মানি এক্সচেঞ্জের দোকান না থাকায় একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে তারা নিজেদের ইচ্ছামতো মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করে আসছেন। এমনকি অনেকক্ষেত্রে মুঠোফোনে মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করার পর গ্রাহক তাদের প্রতিষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত হলে নানা কৌশলে পূর্বের নির্ধারিত হার থেকে টাকা কমিয়ে দেন। এসব কারণে প্রবাসীরা আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি এই প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি। তাদের এমন অনৈতিকতার প্রতিবাদ করলে নানা মিথ্যা, বানোয়াট তকমা দিয়ে মামলা কিংবা নানা দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে দুর্ভোগগ্রস্তদের। এখানকার অনেক ব্যবসায়ী |বৈধভাবে লাইসেন্স নিয়ে এ ব্যবসা করতে চাইলেও বাংলাদেশ ব্যাংক নতুনভাবে কোন লাইসেন্স না দেয়ার কারণে তারাও বৈধভাবে ব্যবসা করতে পারছেন না। এ সুযোগে সৈয়দ মানি এক্সচেঞ্জার’ অনেকটা জিম্মি করে অনৈতিক ও মনোপলি ব্যবসা করে যাচ্ছে। এ অঞ্চলের প্রবাসীদের একান্ত ইচ্ছা নতুন করে জেলা জুড়ে আরও কয়েকটি মানি এক্সচেঞ্জ লাইসেন্স প্রদান করে বৈধ ব্যবসার সুযোগ করে দিয়ে রাজস্ব আয়, প্রবাসীর দুর্ভোগ ও হয়রানি লাঘবে পদক্ষেপ নিবেন। এ অঞ্চলের সকল প্রবাসী জনগণের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, মাননীয় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের মাননীয় গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর মহোদয়গণ আপনাদের নিকট জেলাবাসী প্রবাসী ও তাদের আকুল আবেদন উপরোক্ত বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে আইনানুসারে আরও | কয়েকটি মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে প্রবাসীদের অর্জিত অর্থের প্রাপ্যতা নিশ্চিত এবং একই সাথে ওই | প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণামূলক মনোপলি ব্যবসা থেকে প্রবাসী জনগণকে সহায়তা প্রদানে সচেষ্ট হবেন।
মাজপ্রতি-০৭/২৫
বিনীত জেলাবাসীর পক্ষে আছদ্দর মিয়া
সানন্দপুর, মৌলভীবাজার।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রধান উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের প্রতি মৌলভীবাজারবাসীর খোলা চিঠি

আপডেট সময় ০৩:০৩:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

যথাবিহিত সম্মানপূর্বক জানাচ্ছি যে, আমরা প্রবাসী ও পর্যটন অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা। এ জেলার অসংখ্য প্রবাসী যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মসূত্রে স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সাধারণত প্রবাসীরা বিদেশ থেকে দেশে আসার পর তাদের সাথে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তর করার জন্য মৌলভীবাজার শহরে বেরিপারস্থ জেলার একমাত্র মানি এক্সচেঞ্জ লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান সৈয়দ মানি এক্সচেঞ্জে তা নগদ বিনিময় করে থাকেন। একমাত্র লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান থাকায় তারা নানাভাবেই নিয়মবহির্ভূভাবে গ্রাহকদের হয়রানি করছেন। প্রতিনিয়তই এমনই নানা অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকের পাসপোর্ট যাচাইপূর্বক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট ছাড়াই নানা অনিয়মের মাধ্যমে মুদ্রা কেনাবেচা করেন। যার ফলে সরকার নিয়মিত বড় ধরনের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মৌলভীবাজারে আর কোন মানি এক্সচেঞ্জের দোকান না থাকায় একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে তারা নিজেদের ইচ্ছামতো মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করে আসছেন। এমনকি অনেকক্ষেত্রে মুঠোফোনে মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করার পর গ্রাহক তাদের প্রতিষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত হলে নানা কৌশলে পূর্বের নির্ধারিত হার থেকে টাকা কমিয়ে দেন। এসব কারণে প্রবাসীরা আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি এই প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি। তাদের এমন অনৈতিকতার প্রতিবাদ করলে নানা মিথ্যা, বানোয়াট তকমা দিয়ে মামলা কিংবা নানা দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে দুর্ভোগগ্রস্তদের। এখানকার অনেক ব্যবসায়ী |বৈধভাবে লাইসেন্স নিয়ে এ ব্যবসা করতে চাইলেও বাংলাদেশ ব্যাংক নতুনভাবে কোন লাইসেন্স না দেয়ার কারণে তারাও বৈধভাবে ব্যবসা করতে পারছেন না। এ সুযোগে সৈয়দ মানি এক্সচেঞ্জার’ অনেকটা জিম্মি করে অনৈতিক ও মনোপলি ব্যবসা করে যাচ্ছে। এ অঞ্চলের প্রবাসীদের একান্ত ইচ্ছা নতুন করে জেলা জুড়ে আরও কয়েকটি মানি এক্সচেঞ্জ লাইসেন্স প্রদান করে বৈধ ব্যবসার সুযোগ করে দিয়ে রাজস্ব আয়, প্রবাসীর দুর্ভোগ ও হয়রানি লাঘবে পদক্ষেপ নিবেন। এ অঞ্চলের সকল প্রবাসী জনগণের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, মাননীয় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের মাননীয় গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর মহোদয়গণ আপনাদের নিকট জেলাবাসী প্রবাসী ও তাদের আকুল আবেদন উপরোক্ত বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে আইনানুসারে আরও | কয়েকটি মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে প্রবাসীদের অর্জিত অর্থের প্রাপ্যতা নিশ্চিত এবং একই সাথে ওই | প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণামূলক মনোপলি ব্যবসা থেকে প্রবাসী জনগণকে সহায়তা প্রদানে সচেষ্ট হবেন।
মাজপ্রতি-০৭/২৫
বিনীত জেলাবাসীর পক্ষে আছদ্দর মিয়া
সানন্দপুর, মৌলভীবাজার।