প্রাণী সম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ কর্মীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে
- আপডেট সময় ১১:৫০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩
- / ২৮৫ বার পড়া হয়েছে
এম এ ওয়াহেদ লাখাইয়ে প্রাণী সম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের এমএ জুয়েল রানা ওরফে জুবেল নামে এক মাঠ কর্মীর বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে গতকাল ৬ অক্টোবর রোজ সোমবার লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মোছাঃ কারিমা আক্তার নামে এক ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রাণী সম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে হাস,মুরগির খামার স্হাপনে জন্য ৩৫ টি বাসস্থানের অনুদান আসিলে ৩৫ জন মহিলা সদস্যের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। উক্ত সদস্যগনের প্রত্যেকের নিজ নিজ নামে কৃষি ব্যাংক লাখাই শাখায় একাউন্ট খোলা হয়।পরবর্তীতে প্রকল্প অনুমোদন পাওয়ার পর হাস মুরগির খামার নির্মাণের জন্য প্রত্যেক সদস্যগনের একাউন্টে ২০ হাজার টাকা করে আসে।সমুদয় টাকা উক্ত প্রকল্পের মাঠকর্মী এম.এ জুয়েল রানা ওরফে জুবেল প্রত্যেক সদস্যের নিকট হইতে চেক সংগ্রহ করিয়া ৩৫ জন সদস্যের সমস্ত টাকা নিজে ব্যাংক হতে উত্তোলন করিয়া খামার নির্মাণের জন্য প্রত্যেক সদস্যের নিকট হইতে খরচ বাবদ ১৮ হাজার টাকা নিজের কাছে রাখিয়া পরবর্তীতে প্রত্যেক সদস্য কে ২ হাজার টাকা করিয়া প্রদান করেন। কিন্তু আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগন মিস্তীর নিকট হতে তথ্য সংগ্রহ করিয়া বিভিন্ন ভাবে যাচাই করিয়া জানতে পারি যে,উক্ত খামার নির্মাণের জন্য সর্বমোট ৯ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট টাকা প্রত্যেক সদস্য গন কে ফেরত না দিয়ে মাঠ কর্মী এম.এ জুয়েল রানা ওরফে জুবেল তাহার নিজের পকেটে ঢুকিয়েছে।এমনকি উক্ত প্রকল্পের ৩৫ টি খামারের মধ্যে ৪ টি খামারের নাম মাঠ কর্মী তাহার নিজের পরিবারের সদস্য গনের নামে অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং খামার ৪ টি এখনও স্হাপন করা হয়নি।পুরো টাকাই সে নিজে আত্মসাত করিয়াছে।অতঃপর আরও জানা যায় যে, উক্ত প্রকল্পের আরও ৪ জন মহিলা সদস্যের খামার এখনও নির্মাণ করা হয় নি এবং তাদের প্রাপ্য টাকা তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।পুরো টাকাই মাঠ কর্মী নিজে আত্মসাত করিয়াছে।
ভুক্তভোগী মোছাঃ কারিমা আক্তার বলেন প্রাণী সম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ কর্মী এম.এ জুয়েল রানা ওরফে জুবেলের বিরুদ্ধে এবং উক্ত প্রকল্পের সদস্যগনের প্রাপ্য টাকা উদ্ধার পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রার্থনা করছি।
অভিযুক্ত এম এ জুয়েল রানা বলেন, বাসস্থান তৈরির জন্য ১৮ হাজার টাকা করে ট্যান্ডার নিছি সেসময়কার উপজেলা প্রাণিজ সম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ শাহাদাত হোসেনের কাছ থেকে। আমি সিস্টেম অনুযায়ী কাজ করেছি, প্রতি বাসস্থান তৈরিতে ১৮ হাজার টাকার কাছাকাছি খরচ হয়েছে, এছাড়াও প্রকল্পের স্বস্ব সদস্যদের উপস্থিতে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে এবং আমি কোন টাকা আত্মসাত করিনি।
লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান অভিযোগটি আজ (৬ নভেম্বর) আমার দপ্তরে এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।